মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

১৭. ক্রয়-বিক্রয়ের বিধান

হাদীস নং: ৩৪২
শিকারী কুকুরের মূল্য আদায় করার অনুমতি
হাদীস নং- ৩৪২

হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (ﷺ) আত্তাব ইব্ন উসায়দ (রাযিঃ)-কে এ নির্দেশ নিয়ে মক্কায় প্রেরণ করেন যে, তুমি তাদেরকে দুটি শর্তের সাথে ক্রয়-বিক্রয় নিষেধ কর। কর্জ ও অনিশ্চিত মাল বিক্রয় এবং এরদ্বারা লাভ করা থেকে ও অধিকার লাভ করার পূর্বে বিক্রয় করা থেকে।
عَنْ أَبِي يَعْفُورٍ، عَنْ مَنْ حَدَّثَهُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ عَتَّابَ بْنَ أُسَيْدٍ إِلَى أَهْلِ مَكَّةَ، فَقَالَ: «انْهَهُمْ عَنْ شَرْطَيْنِ فِي بَيْعٍ، وَعَنْ بَيْعٍ وَسَلَفٍ، وَعَنْ رِبْحٍ مَا لَمْ يَضْمَنْ، وَعَنْ بَيْعٍ مَا لَمْ يُقْبَضْ»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

বর্ণিত হাদীসে দুটি শর্তকে যুক্ত করা হয়েছে। কেননা ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যে এ দুটো শর্ত জায়েয নয়। বিক্রির মধ্যে শর্ত করার কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে যা সামগ্রীকভাবে অবৈধ। প্রথম হলো এই যে, কোন ব্যক্তি কারো নিকট স্বীয় গোলাম এ শর্তে বিক্রি করে যে, সে তার ঘরও তার নিকট বিক্রি করে দিয়েছে।।
দ্বিতীয় হলো, বিক্রেতা এটা বলে যে, আমি তোমার নিকট এ দ্রব্য নগদ দশ টাকায় বিক্রি করছি এবং বিশ টাকা ধার নেব।
তৃতীয় হলো, বিক্রেতা এটা বলে যে, এ কাপড় আমি তোমার নিকট এ শর্তে বিক্রি করছি যে, এটা ধোলাই করে এবং সেলাই করে দেব।
শায়খ আবদুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী লিখেছেন, বিক্রি এবং কর্জের পদ্ধতি হলো এই যে,বিক্রেতা এটা বলে যে, আমি এ দ্রব্য তোমার নিকট এ শর্তে বিক্রি করছি যে, তুমি আমাকে এত টাকা কর্জ প্রদান করবে।
অধিকারবিহীন মাস থেকে লাভবান হওয়ার পদ্ধতি হলো এই যে, কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তি থেকে কোন দ্রব্য ক্রয় করল। ক্রেতা এখনো ঐ মাপের অধিকার লাভ করেনি কিন্তু ক্রেতা ঐ দ্রব্যের ভাড়া গ্রহণের অধিকার লাভ করতে চায়। এটা তার জন্য জায়েয নয় এবং ভাড়ার অধিকার লাভ করবে বিক্রেতা। কেননা এ অবস্থায় যদি ঐ দ্রব্য হারিয়ে যায়, তা হলে এটা বিক্রেতার ক্ষতি হবে, ক্রেতার নয়। অধিকারবিহীন বস্তুর বিক্রির পদ্ধতি হলো এই যে, যে মাল অধিকার ও মালিকানায় নেই, তা যেন বিক্রয় করা না হয়। এরূপ করা হলে তা হারাম হবে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মুসনাদে আবু হানীফা রহঃ - হাদীস নং ৩৪২ | মুসলিম বাংলা