মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
১৭. ক্রয়-বিক্রয়ের বিধান
হাদীস নং: ৩৩৮
ক্রেতার পক্ষ থেকে শর্ত আরোপের বর্ণনা
হাদীস নং-৩৩৮
হযরত জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ আনসারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (ﷺ) বলেছেন, যদি কোন ব্যক্তি নর ও মাদী খেজুর বৃক্ষ প্রজনন করার পর বিক্রি করে অথবা এমন গোলাম যার সম্পদ আছে, তাকে বিক্রি করে, তাহলে ফল এবং মাল বিক্রেতার। কিন্তু যদি ক্রেতা কোন শর্ত করে থাকে।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, যে ব্যক্তি এমন গোলাম বিক্রি করে যার সম্পদ আছে, তাহলে ঐ সম্পদ ও মাল বিক্রেতার হবে। কিন্তু ক্রেতা যদি কোন শর্ত আরোপ করে থাকে। যে ব্যক্তি প্রজননকৃত খেজুর বৃক্ষ বিক্রি করে, তাহলে এর ফলের মালিক হবে বিক্রেতা, তবে ক্রেতা যদি অন্য কোন শর্ত আরোপ করে থাকে।
হযরত জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ আনসারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (ﷺ) বলেছেন, যদি কোন ব্যক্তি নর ও মাদী খেজুর বৃক্ষ প্রজনন করার পর বিক্রি করে অথবা এমন গোলাম যার সম্পদ আছে, তাকে বিক্রি করে, তাহলে ফল এবং মাল বিক্রেতার। কিন্তু যদি ক্রেতা কোন শর্ত করে থাকে।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, যে ব্যক্তি এমন গোলাম বিক্রি করে যার সম্পদ আছে, তাহলে ঐ সম্পদ ও মাল বিক্রেতার হবে। কিন্তু ক্রেতা যদি কোন শর্ত আরোপ করে থাকে। যে ব্যক্তি প্রজননকৃত খেজুর বৃক্ষ বিক্রি করে, তাহলে এর ফলের মালিক হবে বিক্রেতা, তবে ক্রেতা যদি অন্য কোন শর্ত আরোপ করে থাকে।
عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «مَنْ بَاعَ نَخْلًا مُؤَبَّرًا، أَوْ عَبْدًا لَهُ مَالٌ، فَالثَّمَرَةُ وَالْمَالُ لِلْبَائِعِ إِلَّا أَنْ يَشْتَرِطَ الْمُشْتَرِي» ، وَفِي رِوَايَةٍ: «مَنْ بَاعَ عَبْدًا وَلَهُ مَالٌ، فَالْمَالُ لِلْبَائِعِ، إِلَّا أَنْ يَشْتَرِطَ الْمُبْتَاعُ، وَمَنْ بَاعَ نَخْلًا مُوَبَّرًا، فَثَمَرَتُهُ لِلْبَائِعِ إِلَّا أَنْ يَشْتَرِطَ الْمُبْتَاعُ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
موبر খেজুরের ঐ বৃক্ষকে বলা হয় যা প্রজনন করানো হয়ে থাকে। এর পদ্ধতি হলো এই যে, আরবের লোকেরা মনে করে, খেজুর গাছের মধ্যে পুংলিঙ্গ ও স্ত্রীলিঙ্গ আছে। ফলে তারা স্ত্রী লিঙ্গধারী গাছটিকে চিড়ে এর ভিতর পুংলিঙ্গধারী গাছের গাবা সংযুক্ত করে দেয়। এ পদ্ধতিতে গাছ ফলন বেশি হয়। এ পদ্ধতিকে আরবীতে তাবীর বলা হয়।
এ হাদীসের দৃষ্টিকোণ থেকে ইমাম শাফিঈ, ইমাম মালিক এবং ইমান আহমদ (র)-এর মাযহাব হলো এই যে, যদি খেজুর বৃক্ষে প্রজনন করানো হয়, তা হলে এর বিধান হলো কোন শর্ত ছাড়াই ফল বিক্রেতার এবং যদি শর্ত থাকে, তা হলে তা ক্রেতার। যদি প্রজনন না করানো হয়, তাহলে সর্বাবস্থায় তা ক্রেতার।
ইমাম আবূ হানীফা (র) যেহেতু দ্বিতীয় পদ্ধতির সাথে একমত নন, তাই তাঁর মতে খেজুর বৃক্ষ প্রজনন করানো হোক বা না হোক, উভয় পদ্ধতিতে শর্তের কারণে ক্রেতার হবে এবং শর্ত ছাড়া হবে বিক্রেতার। তাঁর মতে হাদীসের বিধানের জন্য তাবীরের শর্ত নেই। তাঁর মতে এ শর্ত প্রচলন এবং অধিকাংশ অবস্থার প্রেক্ষিতে জুড়ে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইমাম মুহাম্মদ (র) আঁ হযরত (সা) থেকে এক হাদীস বর্ণনা করেছেন : من اشترى أرضا فيها نحل فالثمرة للبائع إلا أن يشترط المبتاع
“যে ব্যক্তি এমন জমি ক্রয় করে যেখানে ফলসহ খেজুর রয়েছে, তা হলে ফলসমূহ হবে বিক্রেতার। কিন্তু ক্রেতা যদি কোন শর্ত করে থাকে।
এখানে গাছে কলম লাগান বা না লাগান এ ব্যাপারে কোন শর্ত নেই, বরং এটা সাধারণ রাখা হয়েছে। এতে প্রতীয়মান হয় যে, এ বিধান মূলত কলমের শর্তের সাথে নির্দিষ্ট করা হয়নি। এ হাদীসটি হিদায়া গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ হাদীসের দৃষ্টিকোণ থেকে ইমাম শাফিঈ, ইমাম মালিক এবং ইমান আহমদ (র)-এর মাযহাব হলো এই যে, যদি খেজুর বৃক্ষে প্রজনন করানো হয়, তা হলে এর বিধান হলো কোন শর্ত ছাড়াই ফল বিক্রেতার এবং যদি শর্ত থাকে, তা হলে তা ক্রেতার। যদি প্রজনন না করানো হয়, তাহলে সর্বাবস্থায় তা ক্রেতার।
ইমাম আবূ হানীফা (র) যেহেতু দ্বিতীয় পদ্ধতির সাথে একমত নন, তাই তাঁর মতে খেজুর বৃক্ষ প্রজনন করানো হোক বা না হোক, উভয় পদ্ধতিতে শর্তের কারণে ক্রেতার হবে এবং শর্ত ছাড়া হবে বিক্রেতার। তাঁর মতে হাদীসের বিধানের জন্য তাবীরের শর্ত নেই। তাঁর মতে এ শর্ত প্রচলন এবং অধিকাংশ অবস্থার প্রেক্ষিতে জুড়ে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইমাম মুহাম্মদ (র) আঁ হযরত (সা) থেকে এক হাদীস বর্ণনা করেছেন : من اشترى أرضا فيها نحل فالثمرة للبائع إلا أن يشترط المبتاع
“যে ব্যক্তি এমন জমি ক্রয় করে যেখানে ফলসহ খেজুর রয়েছে, তা হলে ফলসমূহ হবে বিক্রেতার। কিন্তু ক্রেতা যদি কোন শর্ত করে থাকে।
এখানে গাছে কলম লাগান বা না লাগান এ ব্যাপারে কোন শর্ত নেই, বরং এটা সাধারণ রাখা হয়েছে। এতে প্রতীয়মান হয় যে, এ বিধান মূলত কলমের শর্তের সাথে নির্দিষ্ট করা হয়নি। এ হাদীসটি হিদায়া গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে।
