মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
১৭. ক্রয়-বিক্রয়ের বিধান
হাদীস নং: ৩৩২
একটির পরিবর্তে দু'টি গোলাম ক্রয় করা
হাদীস নং- ৩৩২
হযরত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি খাদ্যশস্য ক্রয় করবে, সে তা বিক্রি করবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সম্পূর্ণ গ্রহণ না করবে।
হযরত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি খাদ্যশস্য ক্রয় করবে, সে তা বিক্রি করবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সম্পূর্ণ গ্রহণ না করবে।
عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «مَنِ اشْتَرَى طَعَامًا، فَلَا يَبِعْهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
বুখারী শরীফে বর্ণিত আছে, আঁ হযরত (সা) যে সমস্ত বস্তু নিষেধ করেছেন, এগুলোর মধ্যে একটি হলো ঐ খাদ্যশস্য যা অধিকার বা মালিকানা লাভের পূর্বে বিক্রি করা হয়। মুসলিম শরীফে একই হাদীস বর্ণিত হয়েছে। সেখানে শুধু اشترى এর স্থলে اتباع রয়েছে। এ হাদীসেও ইমাম চতুষ্টয়ের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। ইমাম মালিক এ বিধানকে নাযিলকৃত আয়াত অর্থাৎ খাদ্যশস্যের সাথে নির্দিষ্ট করেছেন। তাঁর মতে খাদ্যশস্য ব্যতীত অন্যান্য দ্রব্য অধিকারের পূর্বে বিক্রি করা জায়েয। ইমাম আহমদ (র) এ বিধানকে প্রত্যেক ওজন ও পরিমাপের বস্তুর উপর কার্যকর মনে করেন। ইমাম আবূ হানীফা (র) প্রত্যেক স্থানান্তরযোগ্য বস্তুকে এ বিধানের অন্তর্ভুক্ত মনে করেন এবং জমি বিক্রি জায়েয মনে করেন।
ইমাম শাফিঈ (র)-এর মতে যে কোন বস্তুর অধিকার ব্যতীত বিক্রি জায়েয নয় এবং ইমাম মালিক (র)-এর মতে জমির উপর হাদীসের বিধান জারীর বিষয়টি সীমবদ্ধ করাই মূল উদ্দেশ্য। ইমাম আহমদ (র)-এর মত এর চেয়ে ব্যাপক। ইমাম আবূ হানীফা (র)-এর মত তো আরো ব্যাপক। ইমাম শাফিঈ (র)-এর মত এর চেয়ে আরো ব্যাপক। ইমাম আবূ হানীফা (র) স্বীয় মাযহাবের স্বপক্ষে আঁ হযরত (সা)-এর বাণীঃ حتى يستوفيه দ্বারা দলীল পেশ করেন। অর্থাৎ অধিকারের সম্পর্ক স্থাবর বস্তুর সাথে, অস্থাবর বস্তুর সাথে নয়। অথবা বুখারী শরীফে হযরত ইব্ন উমর (রা) বর্ণিত হাদীস :
نهاهم رسول الله صلى الله عليه وسلم عن بيعه في مكانه حتى ينقلوه
“রাসূলুল্লাহ (সা) খাদ্যশস্য স্থান পরিবর্তন না করে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন।"
ইমাম শাফিঈ (র)-এর মতে যে কোন বস্তুর অধিকার ব্যতীত বিক্রি জায়েয নয় এবং ইমাম মালিক (র)-এর মতে জমির উপর হাদীসের বিধান জারীর বিষয়টি সীমবদ্ধ করাই মূল উদ্দেশ্য। ইমাম আহমদ (র)-এর মত এর চেয়ে ব্যাপক। ইমাম আবূ হানীফা (র)-এর মত তো আরো ব্যাপক। ইমাম শাফিঈ (র)-এর মত এর চেয়ে আরো ব্যাপক। ইমাম আবূ হানীফা (র) স্বীয় মাযহাবের স্বপক্ষে আঁ হযরত (সা)-এর বাণীঃ حتى يستوفيه দ্বারা দলীল পেশ করেন। অর্থাৎ অধিকারের সম্পর্ক স্থাবর বস্তুর সাথে, অস্থাবর বস্তুর সাথে নয়। অথবা বুখারী শরীফে হযরত ইব্ন উমর (রা) বর্ণিত হাদীস :
نهاهم رسول الله صلى الله عليه وسلم عن بيعه في مكانه حتى ينقلوه
“রাসূলুল্লাহ (সা) খাদ্যশস্য স্থান পরিবর্তন না করে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন।"
