মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

১৫. শরীআতের দন্ড বিধি অধ্যায়

হাদীস নং: ৩১২
মদ, জুয়া এবং এরূপ অন্যান্য হারাম বস্তুর বর্ণনা
হাদীস নং- ৩১২

হযরত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (ﷺ) বলেছেন : আল্লাহ তা'আলা তোমাদের উপর মদ, জুয়া, বাঁশী এবং তবলা হারাম করেছেন।
عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ كَرِهَ لَكُمُ الْخَمْرَ وَالْمَيْسِرَ وَالْمِزْمَارَ وَالْكُوبَةَ»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হাদীসের কুবাতা (كوبة) শব্দের ব্যাখ্যায় কেউ কেউ বলেছেন, এর অর্থ নারদ ও শতরঞ্জ কেউ কেউ বলেছেন, ছোট তবলা এবং বরবত। মোট কথা এ সমস্ত বাদ্যযন্ত্র হলো হারাম। এভাবে মিযমার (مزمار) ঐ সমস্ত যন্ত্রকে অন্তর্ভুক্ত করে যা গান-বাজনার মধ্যে ব্যবহার করা হয়। যেমন বীণা ও তাম্বুরা ইত্যাদি। মদ ও গানের বাদ্যযন্ত্রের হারাম হওয়া সম্পর্কে অনেক সহীহ হাদীস বর্ণিত আছে। মুসলিম শরীফে হযরত বুরায়দা (রা) থেকে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি জুয়া বা দাবা খেলে, সে যেন স্বীয় হাত শূকরের মাংস ও রক্ত যারা অপবিত্র করল। ইমাম আহমদ হযরত আবূ উমামা (রা) থেকে একটি মরফু হাদীসে বর্ণনা করেন যে, আঁ হযরত (সা) বলেছেন। আল্লাহ তা'আলা আমাকে দুনিয়াবাসীর জন্য রহমত স্বরূপ এবং পথ প্রদর্শক হিসেবে প্রেরণ করেছেন, তিনি আমাকে এ নির্দেশ প্রদান করেছেন, যেন আমি পৃথিবী থেকে বাদ্যযন্ত্র, মূর্তিপূজা, ক্রুশপূজা এবং মূর্খতাকে ধ্বংস ও রহিত করি। এবং আমার প্রতিপালক স্বীয় ইযযতের কসম করে বলেছেন, আমার যে বান্দা মদের এক ঢোক পান করবে, আমি তাকে সমপরিমাণ পুঁজ পান করাবো। আর যে ব্যক্তি আমার ভয়ে মদ্যপান ত্যাগ করবে, আমি তাকে পবিত্র নহর বা ঝর্ণাধারা থেকে তৃষ্ণা মিটাবো।
ফকীহগণ এ ব্যাপারে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন যে, বাদ্যযন্ত্র ছাড়া যে গান গীত হয় এবং অন্যান্য হারাম বস্তু থেকে মুক্ত ও পবিত্র যেমন নারী বা পুরুষের আওয়ায না থাকে এবং কোন
মুসলিমের দুর্নাম অথবা ধর্মের অবমাননা থেকে মুক্ত হয়, তা হলে এরূপ গান জায়েয কিনা।
কেউ কেউ এরূপ গানকে জায়েয বলেছেন আবার কেউ কেউ নাজায়েয বলেছেন। মদ ও জুয়ার হারাম হওয়া সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের বেশ কিছু আয়াত রয়েছে। যেমন يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ (২ঃ২১৯) শেষ আয়াত অথবা إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالْأَنْصَابُ وَالْأَزْلَامُ الآية (৫ঃ৯০)
মুসনাদে আবু হানীফা রহঃ - হাদীস নং ৩১২ | মুসলিম বাংলা