মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
১৪. শপথ করার বর্ণনা
হাদীস নং: ৩০৫
মিথ্যা শপথ করা নিষিদ্ধ
হাদীস নং- ৩০৫
হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলার নাফরমানীর মধ্যে এমন কিছুই নেই যা বিদ্রোহ ও অবাধ্যতা থেকে অধিক দ্রুত শাস্তির যোগ্য করে দেয় এবং আল্লাহ্ তা'আলার আনুগত্যের যাবতীয় নীতি ও পদ্ধতির মধ্যে এমন কিছু নেই যা আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার কাজ থেকে অধিক সওয়াব ও পুরস্কার পাওয়া যায়। মিথ্যা অঙ্গীকার শহরসমূহ ধ্বংস করে দেয়। অপর এক রিওয়ায়েতে আছে, কোন বস্তুই আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা থেকে দ্রুত সওয়াবের অধিকারী করে না এবং কোন বস্তুই অবাধ্যতা ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা থেকে দ্রুত আযাব ও শাস্তির সম্মুখীন করে না। মিথ্যা অঙ্গীকার বা শপথ শহরসমূহ ধ্বংস করে দেয়।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, আল্লাহ তা'আলার আনুগত্যের জন্য যে সমস্ত আমল করা হয়, এর মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা থেকে অধিক দ্রুত সওয়াব ও পূণ্যের আর কোন কিছু নেই এবং আল্লাহ তা'আলার নাফরমানীর মধ্যে বিদ্রোহ ও অবাধ্যতা থেকে দ্রুত শাস্তির সম্মুখীন হওয়ার মত আর কিছু নেই। মিথ্যা শপথ বা অঙ্গীকার শহরসমূহ ধ্বংস করে দেয়।
অপর এক রিওয়ায়েতে আছে, আল্লাহ্ তা'আলার নাফরমানীর মধ্যে বিদ্রোহ ও অবাধ্যতা থেকে দ্রুত শাস্তির কারণ হওয়ার জন্য আর কিছু নেই।
হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলার নাফরমানীর মধ্যে এমন কিছুই নেই যা বিদ্রোহ ও অবাধ্যতা থেকে অধিক দ্রুত শাস্তির যোগ্য করে দেয় এবং আল্লাহ্ তা'আলার আনুগত্যের যাবতীয় নীতি ও পদ্ধতির মধ্যে এমন কিছু নেই যা আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার কাজ থেকে অধিক সওয়াব ও পুরস্কার পাওয়া যায়। মিথ্যা অঙ্গীকার শহরসমূহ ধ্বংস করে দেয়। অপর এক রিওয়ায়েতে আছে, কোন বস্তুই আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা থেকে দ্রুত সওয়াবের অধিকারী করে না এবং কোন বস্তুই অবাধ্যতা ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা থেকে দ্রুত আযাব ও শাস্তির সম্মুখীন করে না। মিথ্যা অঙ্গীকার বা শপথ শহরসমূহ ধ্বংস করে দেয়।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, আল্লাহ তা'আলার আনুগত্যের জন্য যে সমস্ত আমল করা হয়, এর মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা থেকে অধিক দ্রুত সওয়াব ও পূণ্যের আর কোন কিছু নেই এবং আল্লাহ তা'আলার নাফরমানীর মধ্যে বিদ্রোহ ও অবাধ্যতা থেকে দ্রুত শাস্তির সম্মুখীন হওয়ার মত আর কিছু নেই। মিথ্যা শপথ বা অঙ্গীকার শহরসমূহ ধ্বংস করে দেয়।
অপর এক রিওয়ায়েতে আছে, আল্লাহ্ তা'আলার নাফরমানীর মধ্যে বিদ্রোহ ও অবাধ্যতা থেকে দ্রুত শাস্তির কারণ হওয়ার জন্য আর কিছু নেই।
عَنْ نَاصِحِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَيُقَالُ: ابْنُ عَجْلَانَ، وَيَحْيَى بْنِ يَعْلَى، وَإِسْحَاقَ السَّلُولِيِّ، وَأَبِي عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ نُفَيْلٍ الْحَافِظُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيْسَ مِمَّا عُصِيَ اللَّهُ تَعَالَى بِهِ شَيْءٌ هُوَ أَعْجَلَ عِقَابًا مِنَ الْبَغْيِ، وَمَا مِنْ شَيْءٍ أَطْيَعَ لِلَّهِ تَعَالَى بِهِ أَسْرَعُ ثَوَابًا مِنَ الصِّلَةِ، وَالْيَمِينِ الْفَاجِرَةِ تَدَعُ الدِّيَارَ بَلَاقِعَ» ، وَفِي رِوَايَةٍ: «لَيْسَ شَيْءٌ أَعْجَلَ ثَوَابًا مِنْ صِلَةِ الرَّحِمِ، وَلَيْسَ شَيْءٌ أَعْجَلَ عُقُوبَةً مِنَ الْبَغْيِ وَقَطِيعَةِ الرَّحِمِ، وَالْيَمِينِ الْفَاجِرَةِ تَدَعُ الدِّيَارَ بَلَاقِعَ» ، وَفِي رِوَايَةٍ: " مَا مِنْ عَمَلٍ أَطْيَعُ لِلَّهِ تَعَالَى فِيهِ بِأَعْجَلَ ثَوَابًا مِنْ صِلَةِ الرَّحِمِ، وَمَا مِنْ عَمَلٍ عُصِيَ اللَّهُ تَعَالَى فِيهِ بِأَعْجَلَ عُقُوبَةً مِنَ الْبَغْيِ، وَالْيَمِينِ الْفَاجِرَةِ تَدَعُ الدِّيَارَ بَلَاقِعَ.
وَفِي رِوَايَةٍ: مَا مِنْ عُقُوبَةٍ مِمَّا يُعْصَى اللَّهُ تَعَالَى فِيهِ بِأَعْجَلَ مِنَ الْبَغْيِ "
وَفِي رِوَايَةٍ: مَا مِنْ عُقُوبَةٍ مِمَّا يُعْصَى اللَّهُ تَعَالَى فِيهِ بِأَعْجَلَ مِنَ الْبَغْيِ "
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এটা হলো কসম গামুসের প্রতিক্রিয়া যা অতীত কথা বা কাজের উপর কসম করা হয়। এটাকে এজন্য গামুস' বলা হয় যে, এটা শপথকারীকে ইহকালে পাপী এবং পরকালে দোযখের অধিবাসী করে থাকে।
ইমাম আবূ হানীফা, ইমাম মালিক, আহমদ, আওযাঈ, সুফয়ান সাওরী, ইসহাক ও অন্যান্যদের মতে হাদীসে কসম বা অঙ্গীকারের জন্য কোন কাফফারা নেই। হযরত ইব্ন মাসউদ (রা)-ও একই মত পোষণ করেছেন। কুরআন ও হাদীসে এর স্বপক্ষে দলীল রয়েছে। ইমাম শাফিঈ (র)-এর মতে এতে কাফফারা প্রদান করতে হবে। কিন্তু তাঁর মতের স্বপক্ষে দলীল হিসেবে কোন হাদীস পাওয়া যায় না।
এ হানীদের দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, মিথ্যা কসম, নেতা বা রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা কবীরা গুনাহ। হাদীসে বিদ্রোহকারীর কঠোর শাস্তির কথা উল্লেখ রয়েছে এবং এগুলো মুতাওয়াতির পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছেছে। তিবরানী তারিখে কবীরে, বুখারী তাঁর তারিখ গ্রন্থে আবূ বাকরা (রা) থেকে এ মরফু হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, বিদ্রোহ ও পিতামাতার অবাধ্যতা দু'টো এরূপ বস্তু যার ফলে আল্লাহ্ তা'আলা বান্দাকে খুব দ্রুত শাস্তি প্রদান করে থাকেন। ইমাম আহমদ স্বীয় মুসনাদে ইমাম বুখারী আদাবুল মুফরাদে, ইব্ন হিব্বান এবং হাকিম (র) নিজ নিজ সহীহ গ্রন্থে আবূ বাকরা (রা) থেকে মরফু হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, বিদ্রোহ এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা থেকে বড় এমন কোন পাপ নেই যার কারণে পরকালের শাস্তি ছাড়াও ইহকালেই আল্লাহ তা'আলা দ্রুত শাস্তি প্রদান করে থাকেন।
মোট কথা পবিত্র কুরআন ও হাদীস দ্বারা এগুলোর মারাত্মক পাপ হওয়া প্রমাণিত হয়েছে এবং উলামায়ে উম্মত এ ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। অবশ্য পূর্ববর্তীকালে সংঘটিত বিদ্রোহ সম্পর্কে উলামায়ে কিরামের বিভিন্ন মত রয়েছে। যেমন সিফ্ফীনের যুদ্ধে কেউ কেউ এই ভেবে বিরোধিতা করেছেন যে, এটা খিলাফতের প্রতি বিদ্রোহ ছিল না। কিন্তু ঐ সমস্ত সম্মানিত ব্যক্তি যেহেতু যুদ্ধরত ছিলেন এবং মুজতাহিদ ছিলেন, তাই তাঁরা ইজতিহাদের জন্য পাপী হওয়ার (লাউযুবিল্লাহ) পরিবর্তে আল্লাহর নিকট পুণ্যের অধিকারী হবেন। কারণ ইজতিহাদের এটাই বিধান। এক দল এর বিপরীত ধারণাও করেছেন যে, হয়ত এটা প্রকৃতপক্ষে যুদ্ধ ছিল কিন্তু সময় পর্যন্ত প্রচার না হওয়ার কারণে ঐ সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের নিকট এ হাদীস পৌঁছেনি। কাজেই এ ক্ষেত্রে তাঁরা মায়ূর বা ক্ষমার যোগ্য হবেন। কিন্তু এ বর্ণনা গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা এরূপ প্রসিদ্ধ মুতাওয়াতির হাদীস কিভাবে ঐ সমস্ত সম্মানিত ব্যক্তির নিকট গোপন থাকতে পারে। কাজেই অধিকাংশ এটাকে বিদ্রোহ বলেছেন। কিন্তু এটা হলো ইজতিহাদী বিষয় যা পাপের পরিবর্তের পুণ্য ও সওয়াবের বিষয়। অন্যথায় এটা হবে কবীরা গুনাহ (নাউযুবিল্লাহ)। এরপর এরূপ ধারণা কিভাবে হতে পারে যেখানে হযরত আলী (রা) থেকে ইব্ন আদী স্বীয় কামিল গ্রন্থে মরফু হাদীস বর্ণনা করেছেন, 'বিদ্রোহ থেকে ভয় কর। কেননা বিদ্রোহ থেকে অন্য কিছুর শাস্তি এত দ্রুত পৌঁছে না, এবার রইল জঙ্গে জামালের (উষ্ট্রের যুদ্ধ) ঘটনা। তবে এটা ইচ্ছাকৃত সংঘটিত হয়নি এবং এতে খিলাফতের বিরোধিতা করাও উদ্দেশ্য ছিল না বলে এটা বিদ্রোহের মধ্যে গণ্য হয়নি। সুতরাং এটা মতানৈক্যের বিষয়বস্তু হতে পারে না। এ মর্মে তিরমিযী ও ইব্ন মাজাহ এক মরফু হাদীসে হযরত আয়েশা (রা) বলেছেন, ঐ উত্তম কাজ, যাতে সওয়াব দ্রুত লাভ করা যায়, তাহলো মানুষের কল্যাণ করা এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা এবং ঐ অন্যায় কাজ, যা দ্রুত শাস্তির অধিকারী করে, তা হলো বিদ্রোহ ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা।
ইমাম আবূ হানীফা, ইমাম মালিক, আহমদ, আওযাঈ, সুফয়ান সাওরী, ইসহাক ও অন্যান্যদের মতে হাদীসে কসম বা অঙ্গীকারের জন্য কোন কাফফারা নেই। হযরত ইব্ন মাসউদ (রা)-ও একই মত পোষণ করেছেন। কুরআন ও হাদীসে এর স্বপক্ষে দলীল রয়েছে। ইমাম শাফিঈ (র)-এর মতে এতে কাফফারা প্রদান করতে হবে। কিন্তু তাঁর মতের স্বপক্ষে দলীল হিসেবে কোন হাদীস পাওয়া যায় না।
এ হানীদের দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, মিথ্যা কসম, নেতা বা রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা কবীরা গুনাহ। হাদীসে বিদ্রোহকারীর কঠোর শাস্তির কথা উল্লেখ রয়েছে এবং এগুলো মুতাওয়াতির পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছেছে। তিবরানী তারিখে কবীরে, বুখারী তাঁর তারিখ গ্রন্থে আবূ বাকরা (রা) থেকে এ মরফু হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, বিদ্রোহ ও পিতামাতার অবাধ্যতা দু'টো এরূপ বস্তু যার ফলে আল্লাহ্ তা'আলা বান্দাকে খুব দ্রুত শাস্তি প্রদান করে থাকেন। ইমাম আহমদ স্বীয় মুসনাদে ইমাম বুখারী আদাবুল মুফরাদে, ইব্ন হিব্বান এবং হাকিম (র) নিজ নিজ সহীহ গ্রন্থে আবূ বাকরা (রা) থেকে মরফু হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, বিদ্রোহ এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা থেকে বড় এমন কোন পাপ নেই যার কারণে পরকালের শাস্তি ছাড়াও ইহকালেই আল্লাহ তা'আলা দ্রুত শাস্তি প্রদান করে থাকেন।
মোট কথা পবিত্র কুরআন ও হাদীস দ্বারা এগুলোর মারাত্মক পাপ হওয়া প্রমাণিত হয়েছে এবং উলামায়ে উম্মত এ ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। অবশ্য পূর্ববর্তীকালে সংঘটিত বিদ্রোহ সম্পর্কে উলামায়ে কিরামের বিভিন্ন মত রয়েছে। যেমন সিফ্ফীনের যুদ্ধে কেউ কেউ এই ভেবে বিরোধিতা করেছেন যে, এটা খিলাফতের প্রতি বিদ্রোহ ছিল না। কিন্তু ঐ সমস্ত সম্মানিত ব্যক্তি যেহেতু যুদ্ধরত ছিলেন এবং মুজতাহিদ ছিলেন, তাই তাঁরা ইজতিহাদের জন্য পাপী হওয়ার (লাউযুবিল্লাহ) পরিবর্তে আল্লাহর নিকট পুণ্যের অধিকারী হবেন। কারণ ইজতিহাদের এটাই বিধান। এক দল এর বিপরীত ধারণাও করেছেন যে, হয়ত এটা প্রকৃতপক্ষে যুদ্ধ ছিল কিন্তু সময় পর্যন্ত প্রচার না হওয়ার কারণে ঐ সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের নিকট এ হাদীস পৌঁছেনি। কাজেই এ ক্ষেত্রে তাঁরা মায়ূর বা ক্ষমার যোগ্য হবেন। কিন্তু এ বর্ণনা গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা এরূপ প্রসিদ্ধ মুতাওয়াতির হাদীস কিভাবে ঐ সমস্ত সম্মানিত ব্যক্তির নিকট গোপন থাকতে পারে। কাজেই অধিকাংশ এটাকে বিদ্রোহ বলেছেন। কিন্তু এটা হলো ইজতিহাদী বিষয় যা পাপের পরিবর্তের পুণ্য ও সওয়াবের বিষয়। অন্যথায় এটা হবে কবীরা গুনাহ (নাউযুবিল্লাহ)। এরপর এরূপ ধারণা কিভাবে হতে পারে যেখানে হযরত আলী (রা) থেকে ইব্ন আদী স্বীয় কামিল গ্রন্থে মরফু হাদীস বর্ণনা করেছেন, 'বিদ্রোহ থেকে ভয় কর। কেননা বিদ্রোহ থেকে অন্য কিছুর শাস্তি এত দ্রুত পৌঁছে না, এবার রইল জঙ্গে জামালের (উষ্ট্রের যুদ্ধ) ঘটনা। তবে এটা ইচ্ছাকৃত সংঘটিত হয়নি এবং এতে খিলাফতের বিরোধিতা করাও উদ্দেশ্য ছিল না বলে এটা বিদ্রোহের মধ্যে গণ্য হয়নি। সুতরাং এটা মতানৈক্যের বিষয়বস্তু হতে পারে না। এ মর্মে তিরমিযী ও ইব্ন মাজাহ এক মরফু হাদীসে হযরত আয়েশা (রা) বলেছেন, ঐ উত্তম কাজ, যাতে সওয়াব দ্রুত লাভ করা যায়, তাহলো মানুষের কল্যাণ করা এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা এবং ঐ অন্যায় কাজ, যা দ্রুত শাস্তির অধিকারী করে, তা হলো বিদ্রোহ ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা।
