মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

১৩. মুদাব্বার করার বর্ণনা

হাদীস নং: ৩০৩
ওয়ালার বর্ণনা
হাদীস নং- ৩০৩

হযরত আসওয়াদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হযরত বারীরা (রাযিঃ)-কে কষ্ট করে আযাদ করে দেখার ইচ্ছা করেন। কিন্তু তার মুনিব বললো, আমি তাকে বিক্রয় করব না। তবে এ শর্তে যে, তার ওয়ালার অধিকার আমার থাকবে (তাহলে বিক্রয়ে সমত আছি)। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বিষয়টি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে অবহিত করলেন। তিনি (ﷺ) বললেনঃ ওয়ালার অধিকার তারই উপর বর্তাবে, যে তাকে আযাদ করবে।
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا أَرَادَتْ أَنْ تَشْتَرِيَ بَرِيرَةَ لِتُعْتِقَهَا، فَقَالَتْ مَوَالِيهَا: لَا نَبِيعُهَا إِلَّا أَنْ تَشْتَرِطَ الْوَلَاءَ لَنَا، فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

আযানকৃত গোলামের মৃত্যুর পর যদি তার নিকট আত্মীয় ও আসাবা থেকে কেউ না থাকে, তাহলে তার পরিত্যক্ত সম্পত্তির মালিক হবে আযাদকারী মুনিব। এই অধিকারকে (ওয়ালা) বলা হয়। কেননা শরীয়তে আযাদকারীকে আসাবার মধ্যে গণ্য করা হয়। তবে বংশগত আসাবা থেকে এর স্তর হল নীচে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান