মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

৯. গর্ভাশয় পরিচ্ছন্ন ও শূন্য করা সম্পর্কে

হাদীস নং: ২৮২
গর্ভাশয় পরিচ্ছন্ন ও শূন্য করা
হাদীস নং- ২৮২

হযরত ইবন উমর (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ গর্ভবতী স্ত্রীর সাথে যৌন সম্ভোগ থেকে নিষেধ করেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার পেটের সন্তানকে জন্ম না দেয়।
عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: «نَهَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تُوطَأَ الْحُبَالَى حَتَّى يَضَعْنَ مَا فِي بُطُونِهِنَّ»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হাদীসে বর্ণিত গর্ভবতী নারীদের অর্থ গ্রেফতারকৃত দাসী। কেননা ইমাম আবূহানীফা (র) থেকে অন্য এক রেওয়ায়েতে حبالى এর সাথে من السبي যুক্ত রয়েছে। অর্থাৎ গ্রেফতারকৃত গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য হবে। ইমাম আহমদ আবূ দাউদ ও হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রা) থেকে আওতাস (اوطاس) -এর কয়েদীদের ব্যাপারে বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ করেন যে, গর্ভবতী নারীর সাথে সঙ্গম করা যাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে গর্ভজাত সন্তানকে জন্ম না দেয় এবং গর্ভবিহীন নারীর সাথে সঙ্গম করা যাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে প্রথমবারের মত ঋতুবতী না হয়। এ নির্দেশ হলো গর্ভশয় পরিচ্ছন্ন করার জন্য। অথবা ঐ গর্ভবতী নারীও এর অন্তর্ভুক্ত যাকে ক্রয় করা যায় অথবা ঐ নারী, যিনার মাধ্যমে যার গর্ভ সঞ্চার হয়েছে। অথবা ঐ মহিলা যার বিবাহ ইসলামের বা হিজরতের কারণে তার যুদ্ধরত স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে এবং আমাদের দেশে চলে এসেছে। এ হুকুমের মধ্যে স্বীয় বিবাহিত গর্ভবতী স্ত্রী অন্তর্ভুক্ত নয় এবং ঐ নারীও অন্তর্ভুক্ত নয় যে যিনা দ্বারা গর্ভবতী হয়েছে, যার স্বামী নিজেই ব্যাভিচারী, সে বিবাহের পূর্বেই তার সাথে ব্যাভিচারে লিপ্ত হয়েছে এবং যার দরুন সে গর্ভবতী হয়েছে। কিন্তু এ হুকুমে ঐ নারী অন্তর্ভুক্ত নয়, যে মুসলিম, মুহাজির এবং গর্ভবতী। কেননা তার সাথে বিবাহ জায়েয নয়, তাই সঙ্গম জায়েয হবে কিভাবে? তার ইদ্দত সন্তান জন্মদান পর্যন্ত এবং ইদ্দত পূর্ণ করার পূর্বে বিবাহ কিভাবে জায়েয হবে?
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মুসনাদে আবু হানীফা রহঃ - হাদীস নং ২৮২ | মুসলিম বাংলা