আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৬২- চিকিৎসা - তদবীরের অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৩০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫৭১৩
৩০২২. রোগীর মুখের ভিতর ঔষধ ঢেলে দেয়া
৫৩০৪। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... উম্মে কায়স (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার এক পুত্র সন্তানকে নিয়ে নবী কারীম (ﷺ)- এর নিকট গেলাম। ছেলেটির আলাজিহ্বা ফোলার কারণে আমি তা দাবিয়ে দিয়েছিলাম। তখন তিনি বললেনঃ এ ধরনের রোগ-ব্যাধি দমনে তোমরা নিজেদের সন্তানদের কেন কষ্ট দিয়ে থাক? তোমরা ভারতীয় চন্দন কাঠ ব্যবহার কর। কেননা তাতে সাত রকমের নিরাময় বিদ্যমান। তন্মধ্যে আছে পাজরের ব্যাথা। আলাজিহ্বা ফোলার কারণে এটির ধোয়া নাক দিয়ে টেনে নেয়া যায়। পাজরের ব্যথার রোগীকে তা সেবন করান যায়।*
সুফিয়ান বলেনঃ আমি যুহরীকে বলতে শুনেছি যে, তিনি আমাদের কাছে দুটির কথা বর্ণনা করেছেন। আর পাঁচটির কথা বর্ণনা করেননি। বর্ণনাকারী আলী বলেনঃ আমি সুফিয়ানকে বললাম মা‘মার স্মরণ রাখতে পারেন নি। তিনি বলেছেনঃ علقت عَلَيْهِ আর যুহরী তো বলেছেন أَعْلَقْتُ عَنْهُ শব্দ দ্বারা। আমি তার মুখ থেকে শুনে মুখস্থ করেছি। আর সুফিয়ানের রেওয়াতে তিনি ছেলেটির অবস্থার বর্ণনা দিয়েছেন যে, আঙ্গুলের সাহায্যে যার তালু দাবিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় সুফিয়ান নিজের তালুতে আঙ্গুল প্রবেশ করিয়ে দেখিয়েছেন অর্থাৎ তিনি তাঁর আঙ্গুলের দ্বারা তালুকে তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু أَعْلِقُوا عَنْهُ شَيْئًا এভাবে কেউ বর্ণনা করেন নি।
*ঘষে পানি মিশিয়ে তা সেবন করা যেতে পারে।
সুফিয়ান বলেনঃ আমি যুহরীকে বলতে শুনেছি যে, তিনি আমাদের কাছে দুটির কথা বর্ণনা করেছেন। আর পাঁচটির কথা বর্ণনা করেননি। বর্ণনাকারী আলী বলেনঃ আমি সুফিয়ানকে বললাম মা‘মার স্মরণ রাখতে পারেন নি। তিনি বলেছেনঃ علقت عَلَيْهِ আর যুহরী তো বলেছেন أَعْلَقْتُ عَنْهُ শব্দ দ্বারা। আমি তার মুখ থেকে শুনে মুখস্থ করেছি। আর সুফিয়ানের রেওয়াতে তিনি ছেলেটির অবস্থার বর্ণনা দিয়েছেন যে, আঙ্গুলের সাহায্যে যার তালু দাবিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় সুফিয়ান নিজের তালুতে আঙ্গুল প্রবেশ করিয়ে দেখিয়েছেন অর্থাৎ তিনি তাঁর আঙ্গুলের দ্বারা তালুকে তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু أَعْلِقُوا عَنْهُ شَيْئًا এভাবে কেউ বর্ণনা করেন নি।
*ঘষে পানি মিশিয়ে তা সেবন করা যেতে পারে।
بَابُ اللَّدُودِ
5713 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أُمِّ قَيْسٍ، قَالَتْ: دَخَلْتُ بِابْنٍ لِي عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ أَعْلَقْتُ عَلَيْهِ مِنَ العُذْرَةِ، فَقَالَ: " عَلَى مَا تَدْغَرْنَ أَوْلاَدَكُنَّ بِهَذَا العِلاَقِ، عَلَيْكُنَّ بِهَذَا العُودِ الهِنْدِيِّ، فَإِنَّ فِيهِ سَبْعَةَ أَشْفِيَةٍ، مِنْهَا ذَاتُ الجَنْبِ: يُسْعَطُ مِنَ العُذْرَةِ، وَيُلَدُّ مِنْ ذَاتِ الجَنْبِ " فَسَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ يَقُولُ: بَيَّنَ لَنَا اثْنَيْنِ، وَلَمْ يُبَيِّنْ لَنَا خَمْسَةً، قُلْتُ لِسُفْيَانَ: فَإِنَّ مَعْمَرًا يَقُولُ: أَعْلَقْتُ عَلَيْهِ؟ قَالَ: لَمْ يَحْفَظْ، إِنَّمَا قَالَ: أَعْلَقْتُ عَنْهُ، حَفِظْتُهُ مِنْ فِي الزُّهْرِيِّ، وَوَصَفَ سُفْيَانُ الغُلاَمَ يُحَنَّكُ بِالإِصْبَعِ، وَأَدْخَلَ سُفْيَانُ فِي حَنَكِهِ، إِنَّمَا يَعْنِي رَفْعَ حَنَكِهِ بِإِصْبَعِهِ، وَلَمْ يَقُلْ: أَعْلِقُوا عَنْهُ شَيْئًا


বর্ণনাকারী: