মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
৫. যাকাত অধ্যায়
হাদীস নং: ২০০
সদকার মাল অন্যের জন্য হাদিয়া হতে পারে
২০০। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, হযরত বারীরা (রাযিঃ)-কে সদকা হিসেবে কিছু গোশত প্রদান করা হয়। নবী করীম (ﷺ) তা দেখেন এবং বলেনঃ এই গোশত তার জন্য সদকা এবং আমাদের জন্য হাদিয়া।
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: تُصُدِّقَ عَلَى بَرِيرَةَ بِلَحْمٍ، فَرَآهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «هُوَ لَهَا صَدَقَةٌ، وَلَنَا هَدِيَّةٌ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হুযূর (সা)-এর হাদীসে বর্ণিত কথার মূল উদ্দেশ্য এই বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করা যে, বিভিন্ন অবস্থার মাধ্যমে কোন বস্তুর পরিবর্তনের কারণে এর বিধান পরিবর্তিত হয়ে যায়। যেমন, হযরত বারীরা (রা)-এর অধিকারে সদকার গোশত আসার পর এর বিধান পরিবর্তন হয়ে যায়। সুতরাং কোন দরিদ্র লোক যদি সদকা দিয়ে কোন ধনী ব্যক্তির মেহমানদারী করে, তাহলে ঐ ধনী ব্যক্তির জন্য ঐ সদকার দ্রব্য খাওয়া জায়েয হবে। অথবা যদি কোন ধনী ব্যক্তি ঐ সদকার মাল খরিদ করে, তবুও এটা জায়েয হবে। তবে ধনী ব্যক্তি অথবা বনূ হাশিম গোত্রের জন্য সদকার মাল সাধারণভাবে ব্যবহার করা বা নিজের অধিকারে নিয়ে যাওয়া কোনমতেই জায়েয হবে না। সুতরাং হুযুর (সা) স্বীয় আমল এবং উপরোক্ত হাদীসের দ্বারা এই মাসয়ালাটি সুস্পষ্ট করে নিয়েছেন।
