মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
৪. নামায অধ্যায়
হাদীস নং: ১৫৮
বিতরের বর্ণনা
১৫৮। হযরত ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: প্রথম রাতের বিতর শয়তানকে ক্রোধান্বিত করে এবং (মধ্যরাতে) সেহরী খাওয়া আল্লাহ্ রহমানুর রাহীমের সন্তুষ্টির উপায়।
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «الْوِتْرُ أَوَّلَ اللَّيْلِ مَسْخَطَةُ الشَّيْطَانِ، وَأَكْلُ السَّحُورِ مَرْضَاةُ الرَّحْمَنِ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
প্রথম রাতের বিতর এই জন্য শয়তানের ক্রোধের কারণ যে, এরদ্বারা তার সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং ধোকা দেওয়ার সমস্ত কৌশল ব্যর্থ হয়ে যায়। যদি নামাযী শুয়ে যায় এবং গভীর নিদ্রার কারণে বিতর কাযা হয়ে যায়, তা হলে বিতরের মত গুরুত্বপূর্ণ নামায বাদ দেওয়ার কারণে শয়তান আনন্দ লাভ করে। কিন্তু প্রথম রাতে বিতর আদায় করা হলে শয়তান অসন্তুষ্ট ও ক্রোধান্বিত হয়।
সেহরীর ফযীলত সম্পর্কে অনেক সহীহ হাদীস রয়েছে। প্রথমত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত আছে: فى اكل السحور بركة অর্থাৎ “সেহরী খাওয়ার মধ্যে বরকত রয়েছে।" একদিকে নবী করীম (সা)-এর অনুসরণের মধ্যে বরকত ও মঙ্গল রয়েছে, অপরদিকে সেহরী খাওয়ার ফলে রোযা পালনকারী দুর্বল হয় না। সুস্থ ও সবল দেহে ইবাদত ও অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করতে পারে।
সেহরীর ফযীলত সম্পর্কে অনেক সহীহ হাদীস রয়েছে। প্রথমত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত আছে: فى اكل السحور بركة অর্থাৎ “সেহরী খাওয়ার মধ্যে বরকত রয়েছে।" একদিকে নবী করীম (সা)-এর অনুসরণের মধ্যে বরকত ও মঙ্গল রয়েছে, অপরদিকে সেহরী খাওয়ার ফলে রোযা পালনকারী দুর্বল হয় না। সুস্থ ও সবল দেহে ইবাদত ও অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করতে পারে।
