মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

৪. নামায অধ্যায়

হাদীস নং: ১৪৮
ঈদের নামাযের পূর্বে এবং পরে (নফল) নামায আদায় না করা প্রসঙ্গে
১৪৮। হযরত ইবনে আব্বাস (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে, নবী করীম (ﷺ) ঈদের দিন ঈদগাহে গমন করেছেন কিন্তু তিনি ঈদের নামাযের পূর্বে অথবা পরে কোন (নফল) নামায আদায় করেন নি।
عَنْ عَدِيٍّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ يَوْمَ الْعِيدِ إِلَى الْمُصَلَّى، فَلَمْ يُصَلِّ قَبْلَ الصَّلَاةِ وَلَا بَعْدَهَا شَيْئًا»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হাদীসে বর্ণিত বিধান ঈদগাহের সাথে সম্পৃক্ত। কেননা হুযূর (সা) ঈদগাহের মধ্যে ঈদের নামাযের পূর্বে অথবা পরে অন্য কোন নামায আদায় করেন নি। সিহাহ্ সিত্তাহ গ্রন্থসমূহে এ ধরনের আরো অনেক রিওয়ায়েত রয়েছে। কোন কোন রিওয়ায়েতে বর্ণিত আছে : إذا رجع إلى منزله صلى ركعتين "যখন তিনি বাড়ি ফিরে আসতেন, তখন দু'রাকাআত নামায পড়তেন”। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে ইবনে মাজাহ একই বাক্যে এই হাদীস বর্ণনা করেছেন। এবার এই মাসায়ালার গূঢ় তত্ত্ব হলো এই যে, ঈদের নামাযের পূর্বে ঘরে অথবা ঈদগাহে নামায পড়া জায়েয নয়। তবে ঈদের নামাযের পরে ঘরে দু'রাকাআত পড়া যেতে পারে। যদি কেউ ঈদের নামাযের পূর্বে অথবা পরে ঈদগাহে নফল নামায আদায় করে, তাহলে এট মাকরূহ তাহরীমি না হলেও মাকরূহ তানজীহি হবে। কেননা সে সুন্নত বিরোধী আমল করেছে যা মাকরূহ তানজীহি। যদি তা মাকরূহ না হতো তাহলে হুযুর (সা) এর নামাযের প্রতি এত আকর্ষণ থাকা সত্ত্বেও তিনি কিভাবে নামায ত্যাগ করতে পারেন। এটাই হানাফীদের মাযহাব। ইমাম শাফিঈ (র)-ও এই মত পোষণ করেন।