মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

৪. নামায অধ্যায়

হাদীস নং: ১৪৭
মহিলাদের কোন কল্যাণকর কাজে এবং সমস্ত মুসলমানদের দু'আয় অংশগ্রহণের
উদ্দেশ্যে গমনের অনুমতি
১৪৭। হযরত উম্মে আতিয়্যা (রাযিঃ) বলেন : ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামাযে মহিলাদের অংশগ্রহণের জন্য অনুমতি প্রদান করা হয়েছিল। অন্য এক রিওয়ায়েতে বর্ণিত আছে, ঋতুবতী মহিলাও বের হতো কিন্তু অন্যান্য মহিলাদের থেকে পৃথক হয়ে বসত এবং উভয় ঈদে দুআয় অংশগ্রহণ করত ।
অপর এক রিওয়ায়েতে বর্ণিত আছে, হযরত উম্মে আতিয়্যা (রাযিঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে নির্দেশ প্রদান করেন যে, আমরা ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন (পর্দার সাথে) ঋতুবতী মহিলাদেরকেও ঈদগাহে নিয়ে যাই। অবশ্য ঋতুৰতী মহিলা নামায থেকে দূরে থাকত কিন্তু অন্যান্য ইবাদত ও দুআয় অংশগ্রহণ করত। একজন মহিলা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! যদি আমাদের মধ্যে কারো ওড়না না থাকে? তখন তিনি বললেনঃ তাকে তার কোন বোন (বা সাথী) স্বীয় চাদরের মধ্যে শরীক করে নিবে।
عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ: «كَانَ يُرَخِّصُ فِي الْخُرُوجِ إِلَى الْعِيدَيْنِ مِنَ الْفِطْرِ وَالْأَضْحَى» ، وَفِي رِوَايَةٍ، قَالَتْ: «إنْ كَانَ الطَّامِثُ تَخْرُجُ، فَتَجْلِسُ فِي عُرْضِ النِّسَاءِ، فَتَدْعُو فِي الْعِيدَيْنِ» .
وَفِي رِوَايَةٍ، قَالَتْ: أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَنْ نُخْرِجَ يَوْمَ النَّحْرِ، وَيَوْمَ الْفِطْرِ ذَوَاتِ الْخُدُورِ وَالْحُيَّضَ، فَأَمَّا الْحُيَّضُ، فَيَعْتَزِلْنَ الصَّلَاةَ وَيَشْهَدْنَ الْخَيْرَ وَدَعْوَةَ الْمُسْلِمِينَ» .
فَقَالَتِ امْرَأَةٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِذَا كَانَتْ إِحْدَانَا لَيْسَ لَهَا جِلْبَابٌ؟ قَالَ: «لِتُلْبِسْهَا أُخْتَهَا مِنْ جِلْبَابِهَا»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এমন কি আঁ হযরত (সা)-এর কন্যা এবং উম্মুল মু'মিনীনদেরকে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। যেমন ইবনে মাজাহ-এ হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে এরূপ বর্ণিত আছে। বুখারী শরীফেও প্রায় একই বিষয়বস্তুর হাদীস উম্মে আতিয়্যা (র) থেকে বর্ণিত আছে। এই নির্দেশ আঁ হযরত (সা)-এর পবিত্র যুগের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। যেমন পূর্ববর্তী হাদীসের দ্বারা এটা প্রতীয়মান হয়েছে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান