মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

৪. নামায অধ্যায়

হাদীস নং: ১৪৩
জুমুআর নামাযে কি সূরা পড়তে হবে
১৪৩। হযরত নুমান ইবনে বাশীর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, নবী করীম (ﷺ) দু‘ঈদ এবং জুমুআর নামাযে, "সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আ'লা" এবং "হাল আতাকা হাদীসুল গাশিয়াহ” তিলাওয়াত করতেন।
عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، " أَنَّهُ كَانَ يَقْرَأُ فِي الْعِيدَيْنِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ: سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى، وَهَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْغَاشِيَةِ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

কোন কোন বিওয়ায়েতে সূরা কাফ এবং সুরায়ে কামারের উল্লেখ রয়েছে। এতে প্রতীমান হয় যে, আঁ হযরত (সা) বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সূরা তিলাওয়াত করতেন।

এ হাদীস থেকে এটিও প্রমাণিত হয় যে, উভয় ঈদের নামাযে ছূরা আ’লা এবং গাশিয়া বা এ পরিমাণ দীর্ঘ ছূরা পড়া ছুন্নাত। হযরত উমার রা. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, তিনি আবু ওয়াকেদ লাইসীকে জিজ্ঞেস করলেন, রসূল স. ঈদুল আযহা এবং ঈদুল ফিতরে কি কিরাত পড়তেন? জবাবে হযরত আবু ওয়াকেদ রা. বলেন, রসূল স. উভয় ঈদে ছূরায়ে কফ এবং ছূরায়ে ক্বমার পাঠ করতেন। (মুসলিম-১৯৩২) এ হাদীসে একটু বড় ধরণের ছূরা পড়ার কথা বর্ণিত হয়েছে। এ দুইয়ের সমন্বয় এভাবে হতে পারে যে, স্থান, কাল ও পাত্র ভেদে ঈদের নামাযের কিরাত খাটো বা লম্বা করা যেতে পারে। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (বাদায়েউস সানায়ে’: ১/২৬৯)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন