মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
৪. নামায অধ্যায়
হাদীস নং: ১৩৫
যে ব্যক্তি ফজর ও ইশার জামাআতে অংশগ্রহণ করে
১৩৫। হযরত ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, নবী করীম (ﷺ) মহিলাদেরকে ফজর ও ইশার জামাআতে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুমতি প্রদান করেছেন। এক ব্যক্তি (এটা শুনে) বললেন, [অন্য রিওয়ায়েতে জানা যায় যে, এই ব্যক্তি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) -এর পুত্র হযরত বিলাল (রাযিঃ) ছিলেন] লোকজন এই সুযোগকে এখন প্রতারণার কাজে লাগাবে। তখন হযরত ইবনে উমর (রাযিঃ) (ক্রোধান্বিত হয়ে) বলেনঃ আমি তোমার নিকট রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর হাদীস বর্ণনা করছি, অথচ তুমি এরূপ বলছ।
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهيمَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَخَّصَ فِي الْخُرُوجِ لِصَلَاةِ الْغُدْوَةِ وَالْعِشَاءِ لِلنِّسَاءِ» .
فَقَالَ رَجُلٌ: إِذًا يَتَّخِذُونَهُ دَغَلًا، فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: أُخْبِرُكَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتَقُولُ هَذَا!
فَقَالَ رَجُلٌ: إِذًا يَتَّخِذُونَهُ دَغَلًا، فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: أُخْبِرُكَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتَقُولُ هَذَا!
হাদীসের ব্যাখ্যা:
উপরোক্ত বিষয়টি অন্যান্য হাদীসেও বর্ণিত হয়েছে। কোথাও কোথাও বাক্য কম ও বেশি রয়েছে। মুসলিম শরীফে স্বয়ং হযরত বিলাল (রা) স্বীয় পিতা হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন। হযরত ইবনে উমর (র) রিওয়ায়েত করেন, হুযূর (সা) বলেছেন : মহিলাদেরকে নিষেধ করো না, তারাও যেন মসজিদে হাযির হয়ে বরকত হাসিল করতে পারে । হযরত বিলাল (রা) বলেন আল্লাহর শপথ। আমি নিষেধ করব। হযরত ইবনে উমর (রা) তাঁকে বললেন, আমি তোমাকে বলছি, হুযূর (সা) এরূপ বলেছেন, অথচ তুমি এরূপ বলছ যে, আল্লাহর শপথ! আমি নিষেধ করব। ইমাম আহমদ মুজাহিদের সূত্রে এই হাদীস বর্ণনা করেছেন। এতে আরো কিছু অতিরিক্ত রয়েছে যে, এরপর হযরত ইবনে উমর (রা) তাঁর পুত্রকে অভিনন্দন বা ধন্যবাদ জানান নি; বরং তিনি এতে মনঃক্ষুণ্ন হয়েছেন এবং এটা অপসন্দ করেছেন যে, কেউ পবিত্র হাদীসের বিরুদ্ধে স্বীয় বিবেক, জ্ঞান মতামত পেশ করে কোন ফয়সালা বা সিদ্ধান্ত প্রদান করবে।
এখানে মাসয়ালা হলো এই যে, উলামায়ে কিরাম এই অনুমতি বৃদ্ধা ও প্রাপ্তবয়স্কা মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট করেছেন কিন্তু তারাও যেন এখানে আসার জন্য সাজসজ্জা না করে। সুগন্ধি ব্যবহারও এ সময় তাদের জন্য মাকরূহ মনে করেছেন। কেননা বর্তমান যুগে অশ্লীলতা, অনাচার ও ব্যভিচার চতুর্দিকে এমনিভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যে, আবাল-বৃদ্ধা-বনিতা অনেকেই এর কুফল থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। সম্ভবত হযরত বিলাল (রা) তৎকালীন সমাজের বিদ্যমান অবস্থা লক্ষ্য করে অথবা ভবিষ্যতে সামাজিক অবক্ষয়ের আশংকা করে স্বীয় মতামত পেশ করেছেন। কিন্তু এই মতামত মহানবী (সা)-এর পবিত্র বাণীর বিরোধিতা হয়ে যায়, তাই হযরত ইবনে উমর (রা) ক্রোধান্বিত হয়েছেন। এখানে উল্লেখ্য যে, আঁ হযরত (সা)-এর যুগেও মহিলাগণ বিভিন্ন মাসয়ালা অবগত হওয়ার জন্য মসজিদে আগমণ করতেন। কিন্তু বর্তমানে অনেক নরনারীর মধ্যে দীনি মাসয়ালা জানার ব্যাপারে তেমন আগ্রহ নেই। এছাড়া বর্তমান যুগে নৈতিক অবক্ষয়ের চরম বিপর্যয়ের কারণে মহিলাদের ঘর থেকে বের হওয়াও বিপদজ্জনক।
এখানে মাসয়ালা হলো এই যে, উলামায়ে কিরাম এই অনুমতি বৃদ্ধা ও প্রাপ্তবয়স্কা মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট করেছেন কিন্তু তারাও যেন এখানে আসার জন্য সাজসজ্জা না করে। সুগন্ধি ব্যবহারও এ সময় তাদের জন্য মাকরূহ মনে করেছেন। কেননা বর্তমান যুগে অশ্লীলতা, অনাচার ও ব্যভিচার চতুর্দিকে এমনিভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যে, আবাল-বৃদ্ধা-বনিতা অনেকেই এর কুফল থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। সম্ভবত হযরত বিলাল (রা) তৎকালীন সমাজের বিদ্যমান অবস্থা লক্ষ্য করে অথবা ভবিষ্যতে সামাজিক অবক্ষয়ের আশংকা করে স্বীয় মতামত পেশ করেছেন। কিন্তু এই মতামত মহানবী (সা)-এর পবিত্র বাণীর বিরোধিতা হয়ে যায়, তাই হযরত ইবনে উমর (রা) ক্রোধান্বিত হয়েছেন। এখানে উল্লেখ্য যে, আঁ হযরত (সা)-এর যুগেও মহিলাগণ বিভিন্ন মাসয়ালা অবগত হওয়ার জন্য মসজিদে আগমণ করতেন। কিন্তু বর্তমানে অনেক নরনারীর মধ্যে দীনি মাসয়ালা জানার ব্যাপারে তেমন আগ্রহ নেই। এছাড়া বর্তমান যুগে নৈতিক অবক্ষয়ের চরম বিপর্যয়ের কারণে মহিলাদের ঘর থেকে বের হওয়াও বিপদজ্জনক।
