মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

৪. নামায অধ্যায়

হাদীস নং: ১৩৩
যে ব্যক্তি ফজর ও ইশার জামাআতে অংশগ্রহণ করে
১৩৩। হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ফজর ও ইশার জামাআতে উপস্থিত হয়, তার জন্য দু'টি মুক্তি (সুসংবাদ) রয়েছে। একটি হলো নিফাক থেকে আর অপরটি হলো শিরক থেকে।
عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ شَهِدَ الْفَجْرَ وَالْعِشَاءَ فِي جَمَاعَةٍ، كَانَتْ لَهُ بَرَاءَتَانِ: بَرَاءَةٌ مِنَ النِّفَاقِ، وَبَرَاءَةٌ مِنَ الشِّرْكِ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

নিফাক ও শিরক থেকে মুক্তি ও নিরাপত্তার জন্য এই দু‘নামাযকে এই জন্য করা হয়েছে যে, এই নামাযের সময় মানুষের উপর নিদ্রা ও অলসতা প্রবল থাকে। স্বাভাবিক প্রবণতা মানুষকে জামাআতে অংশগ্রহণ করা থেকে ফিরিয়ে রাখে। সুতরাং যার ঈমান শক্তিশালী, যিনি নিফাক ও শিরক থেকে মুক্ত, জামাআতে অংশগ্রহণ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে তিনি। এই নামাযের জন্য উৎসাহ ও তাকওয়া প্রদর্শন করেন। এমতাবস্থায় তিনি অন্য নামায কিভাবে পরিত্যাগ করবেন ? পক্ষান্তরে যার অন্তর নিফাক ও শিরক দ্বারা পরিপূর্ণ, সে বিশেষভাবে এই দু'টি নামায থেকে বিরত থাকবে। নিদ্রা ও অলসতা তাকে জড়িয়ে ফেলবে। যখন সে এরূপ দুর্বলতা প্রকাশ করবে এবং নিফাক ও রিয়ার প্রমাণ করবে, এরূপ অবস্থায় তার জন্য মুক্তি কিভাবে লিখা হবে?