মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

৩. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়

হাদীস নং: ৪৭
গোশত খাওয়ার পর উযূ না করা সম্পর্কে
৪৭।হযরত জাবির (রাযিঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) শুরুয়াসহ গোশত খেয়েছেন, অতঃপর নামায আদায় করেছেন (কিন্তু নতুনভাবে উযূ করেননি)।
عن أبي الزبير عن جابر (رض) قـال أكل النبي صلى الله عليه وسلم مرقا بلحم ثم صلى

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এখানে মাসায়ালা হলো আগুনে রন্ধনকৃত খাদ্যদ্রব্য আহার করা হলে উযূ নষ্ট হবে কিনা। উযু নষ্ট না হওয়া সম্পর্কে এ হাদীসটি দলীল। বুখারী শরীফে সাঈদ ইবনে হারিস (রা) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি হযরত জাবির (রা)-কে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কি আগুনে রন্ধনকৃত খাদ্যদ্রব্য খাবার পর উযূ করে থাক? তিনি বললেন, না। কিন্তু ইমাম আহমদ (রা) স্বীয় মাযহাবের স্বপক্ষে হযরত বারা ইবনে আযিব (রা) থেকে মরফূ' হাদীস বর্ণনা করে বলেন যে, হযরত (সা) বলেছেনঃ উটের গোশত খাওয়ার পর উযূ কর এবং বকরীর গোশত খাওয়ার পর নতুন উদ্বুর প্রয়োজন নেই। উক্ত হাদীসও এই হাদীসের স্বপক্ষে গ্রহণ করা যায়।

আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ ও অন্যান্য গ্রন্থে এ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। এতে হযরত জাবির (রা)-এর ঐ হাদীস রয়েছে যা আবূ দাউদ ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন: হুযূর (সা)-এর সর্বশেষ আমল এটাই ছিল যে, আগুনের দ্বারা রন্ধনকৃত দ্রব্য খাওয়ার পর উযূ করেননি। অন্যান্যদের মতে উযু নষ্ট হয়ে যাওয়া সম্পর্কে হযরত আবূ বকর (রা), হযরত উমর (রা), হযরত উসমান (রা) এবং হযরত আমির ইবনে রাবীআ (রা) থেকে হাদীস বর্ণিত আছে। মরফূ' ও মওকুফ হাদীসের মধ্যে কেউ কেউ এভাবে সমন্বয় করেছেন যে, উযূর নির্দেশ হয়ত মুস্তাহাবের জন্য মানতে হবে অথবা উযূর দ্বারা আভিধানিক অর্থ গ্রহণ করা হবে। অর্থাৎ হাত ধৌত করা, কুল্লি করা- এখানে উযূর প্রচলিত অর্থ উদ্দেশ্য নয়। এতে কারো মতানৈক্য নেই। শুধু ইমাম আহমদ (র)-এর মতে উটের গোশত খাওয়ার পর উযূ নষ্ট হয়ে যায়।