আশ-শামাঈলুল মুহাম্মাদিয়্যাহ- ইমাম তিরমিযী রহঃ
শামাইলে নববীর পরিচ্ছেদসমূহ
হাদীস নং: ২২৫
রাসূলুল্লাহ্ -এর বাচনভঙ্গির বিবরণ
২২৫।সুফয়ান ইবন ওয়াকী (রাহঃ)... হাসান ইবন আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি (আমার) মামা হিন্দ ইবন আবু হালা (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম। ইনি ছিলেন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর চরিত্র বিশেষজ্ঞ। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর বাচনভঙ্গী সম্পর্কে আমাকে অবহিত করুন। তিনি বললেন : রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সর্বদা আখিরাতে উম্মতের নাজাতের চিন্তায় বিভোর থাকতেন। এই কারণে তাঁর কোন স্বস্তি ছিল না। তিনি অধিকাংশ সময় নীরব থাকতেন। বিনা প্রয়োজনে কথা বলতেন না। তিনি আগাগোড়া স্পষ্টভাবে কথা বলতেন। তিনি ব্যাপক অর্থবোধক বাক্যালাপ করতেন। তাঁর কথা ছিল একটি হতে অপরটি পৃথক। তাঁর কথাবার্তা একেবারে বিস্তারিত ছিল না কিংবা সংক্ষিপ্তও ছিল না। অর্থাৎ তাঁর কথার মর্মার্থ অনুধাবনে কোন প্রকার অসুবিধা হত না। তাঁর কথায় কঠোরতার ছাপ ছিল না। আর তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের ভাবও থাকত না। আল্লাহর নিয়ামত যত সামান্যই হত তাকে তিনি অনেক বড় মনে করতেন। তিনি তার কোন দোষত্রুটি খুঁজতেন না। তিনি অপরিহার্য খাদ্য সামগ্রীর ত্রুটি খতিয়ে দেখতেন না এবং উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও করতেন না। পার্থিব কোন বিষয় বা কাজের উপর ক্রোধ প্রকাশ করতেন না
এবং তার জন্য আক্ষেপও করতেন না। অবশ্য কেউ ধর্মীয় কোন বিষয়ে সীমা লংঘন করলে তখন তাঁর গোস্বার সীমা থাকত না। এমনকি তখন কেউ তাঁকে বশে রাখতে পারত না। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত কারণে ক্রোধান্বিত হতেন না এবং এ জন্য কারো সাহায্য গ্রহণ করতেন না। কোন বিষয়ের প্রতি ইশারা করলে সম্পূর্ণ হাত দ্বারা ইশারা করতেন। তিনি কোন বিস্ময় প্রকাশ করলে হাত উল্টাতেন। যখন কথাবার্তা বলতেন তখন ডান হাতের তালুতে বাম হাতের আঙ্গুলের অভ্যন্তরীণ ভাগ দ্বারা আঘাত করতেন। কারো প্রতি অসন্তুষ্ট হলে তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতেন এবং অমনোযোগী হতেন।
যখন তিনি আনন্দ-উৎফুল্ল হতেন তখন তাঁর চোখের কিনারা নিম্নগামী করতেন। অধিকাংশ সময়ে তিনি স্মিত হাসতেন। তখন তাঁর পবিত্র দন্তরাজি বরফের ন্যায় সাদা উজ্জ্বলরূপে শোভা পেত।
এবং তার জন্য আক্ষেপও করতেন না। অবশ্য কেউ ধর্মীয় কোন বিষয়ে সীমা লংঘন করলে তখন তাঁর গোস্বার সীমা থাকত না। এমনকি তখন কেউ তাঁকে বশে রাখতে পারত না। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত কারণে ক্রোধান্বিত হতেন না এবং এ জন্য কারো সাহায্য গ্রহণ করতেন না। কোন বিষয়ের প্রতি ইশারা করলে সম্পূর্ণ হাত দ্বারা ইশারা করতেন। তিনি কোন বিস্ময় প্রকাশ করলে হাত উল্টাতেন। যখন কথাবার্তা বলতেন তখন ডান হাতের তালুতে বাম হাতের আঙ্গুলের অভ্যন্তরীণ ভাগ দ্বারা আঘাত করতেন। কারো প্রতি অসন্তুষ্ট হলে তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতেন এবং অমনোযোগী হতেন।
যখন তিনি আনন্দ-উৎফুল্ল হতেন তখন তাঁর চোখের কিনারা নিম্নগামী করতেন। অধিকাংশ সময়ে তিনি স্মিত হাসতেন। তখন তাঁর পবিত্র দন্তরাজি বরফের ন্যায় সাদা উজ্জ্বলরূপে শোভা পেত।
225- حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ قَالَ : حَدَّثَنَا جُمَيْعُ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعِجْلِيُّ قَالَ : حَدَّثَنِي رَجُلٌ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ مِنْ وَلَدِ أَبِي هَالَةَ زَوْجِ خَدِيجَةَ يُكْنَى أَبَا عَبْدِ اللَّهِ ، عَنِ ابْنٍ لِأَبِي هَالَةَ ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ قَالَ : سَأَلْتُ خَالِي هِنْدُ بْنُ أَبِي هَالَةَ ، وَكَانَ وَصَّافًا ، فَقُلْتُ : صِفْ لِي مَنْطِقَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُتَوَاصِلَ الأَحْزَانِ دَائِمَ الْفِكْرَةِ لَيْسَتْ لَهُ رَاحَةٌ ، طَوِيلُ السَّكْتِ ، لاَ يَتَكَلَّمُ فِي غَيْرِ حَاجَةٍ ، يَفْتَتِحُ الْكَلاَمَ وَيَخْتِمُهُ بِاسْمِ اللَّهِ تَعَالَى ، وَيَتَكَلَّمُ بِجَوَامِعِ الْكَلِمِ ، كَلاَمُهُ فَصْلٌ ، لاَ فُضُولَ وَلاَ تَقْصِيرَ ، لَيْسَ بِالْجَافِي وَلاَ الْمُهِينِ ، يُعَظِّمُ النِّعْمَةَ ، وَإِنْ دَقَّتْ لاَ يَذُمُّ مِنْهَا شَيْئًا غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ يَذُمُّ ذَوَّاقًا وَلاَ يَمْدَحُهُ ، وَلاَ تُغْضِبُهُ الدُّنْيَا ، وَلاَ مَا كَانَ لَهَا ، فَإِذَا تُعُدِّيَ الْحَقُّ لَمْ يَقُمْ لِغَضَبِهِ شَيْءٌ حَتَّى يَنْتَصِرَ لَهُ ، وَلاَ يَغْضَبُ لِنَفْسِهِ ، وَلاَ يَنْتَصِرُ لَهَا ، إِذَا أَشَارَ أَشَارَ بِكَفِّهِ كُلِّهَا ، وَإِذَا تَعَجَّبَ قَلَبَهَا ، وَإِذَا تَحَدَّثَ اتَّصَلَ بِهَا ، وَضَرَبَ بِرَاحَتِهِ الْيُمْنَى بَطْنَ إِبْهَامِهِ الْيُسْرَى ، وَإِذَا غَضِبَ أَعْرَضَ وَأَشَاحَ ، وَإِذَا فَرِحَ غَضَّ طَرْفَهُ ، جُلُّ ضَحِكِهِ التَّبَسُّمُ ، يَفْتَرُّ عَنْ مِثْلِ حَبِّ الْغَمَامِ.


বর্ণনাকারী: