আশ-শামাঈলুল মুহাম্মাদিয়্যাহ- ইমাম তিরমিযী রহঃ
শামাইলে নববীর পরিচ্ছেদসমূহ
হাদীস নং: ২২৩
৩৪- রাসূলুল্লাহ্ -এর বাচনভঙ্গির বিবরণ
২২৩।হুমায়দ ইবন মাস'আদা বসরী (রাহঃ)..... 'আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তোমাদের ন্যায় চটপটে (অস্পষ্টভাবে তাড়াতাড়ি) কথা বলতেন না, বরং তাঁর প্রতিটি কথা ছিল সুস্পষ্ট। আর শ্রোতামাত্রই তা হৃদয়ঙ্গম করতে পারত।
بَابُ كَيْفَ كَانَ كَلاَمُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ الْبَصْرِيُّ قَالَ : حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ الأَسْوَدِ ، عَنِ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ ، عَنِ الزُّهْرِيِّ ، عَنْ عُرْوَةَ ، عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ : مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْرُدُ سرْدَكُمْ هَذَا ، وَلَكِنَّهُ كَانَ يَتَكَلَّمُ بِكَلاَمٍ بَيِّنٍ فَصْلٍ ، يَحْفَظُهُ مَنْ جَلَسَ إِلَيْهِ.
হাদীসের ব্যাখ্যা:
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেহেতু এ উম্মতের শিক্ষক ছিলেন এবং তাঁর প্রতিটি কথাই উম্মতের জন্য শিক্ষণীয় ছিল, তাই তিনি প্রতিটি কথা বলতেন সুস্পষ্টভাবে। ফলে তাঁর কোনও কথা বুঝতে শ্রোতার কষ্ট হতো না। দীনী বিষয়ে যারা বক্তব্য দান করে, তাদের এদিকে লক্ষ রাখা দরকার। অনেকে বক্তব্যদানের সময় খুব তাড়াতাড়ি করে কথা বলে। শ্রোতার পক্ষে তা বুঝে ওঠা কঠিন হয়ে যায়। বক্তব্য দান করাই তো হয় মানুষকে বোঝানোর জন্য। তারা যদি বুঝতেই না পারে, তবে সে বক্তব্যদানের সার্থকতা কী? কাজেই কোনও বক্তারই হড়বড় করে কথা বলা উচিত নয়। ধীরে ধীরে গুছিয়ে বলা উচিত। উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রাযি. কোনও কোনও বক্তার এরকম হড়বড় করে বলা বক্তব্য শুনে তাতে আপত্তি জানান। তিনি তাদের সংশোধনকল্পে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বক্তব্যের ধরন তাদের সামনে তুলে ধরেন এবং সে প্রসঙ্গেই এ হাদীছটি তিনি বর্ণনা করেন। হাদীসে আছে যে-
ما كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يسرد سردكم هذا، ولكنه كان يتكلم بكلام يبينه، فصل، يحفظه من جلس إليه
‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদের মতো এরকম হড়বড় করতেন না। বরং তিনি সুস্পষ্টভাবে পরিষ্কার করে কথা বলতেন, তাঁর কাছে যারা বসত তারা মুখস্থ করে ফেলতে পারত।'(জামে' তিরমিযী: ৩৬৩৯; মুসনাদুল বাযযার ১৫৫; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ৩৬৯৬; মুসনাদে ইসহাক ইবন রাহুয়াহ: ১৭০৪)
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
যে-কোনও কথা পরিষ্কারভাবে বলা উচিত, যাতে শ্রোতা তা ভালোভাবে বুঝতে পারে। শিক্ষকদের জন্য এটা আরও বেশি জরুরি।
ما كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يسرد سردكم هذا، ولكنه كان يتكلم بكلام يبينه، فصل، يحفظه من جلس إليه
‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদের মতো এরকম হড়বড় করতেন না। বরং তিনি সুস্পষ্টভাবে পরিষ্কার করে কথা বলতেন, তাঁর কাছে যারা বসত তারা মুখস্থ করে ফেলতে পারত।'(জামে' তিরমিযী: ৩৬৩৯; মুসনাদুল বাযযার ১৫৫; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ৩৬৯৬; মুসনাদে ইসহাক ইবন রাহুয়াহ: ১৭০৪)
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
যে-কোনও কথা পরিষ্কারভাবে বলা উচিত, যাতে শ্রোতা তা ভালোভাবে বুঝতে পারে। শিক্ষকদের জন্য এটা আরও বেশি জরুরি।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
