আশ-শামাঈলুল মুহাম্মাদিয়্যাহ- ইমাম তিরমিযী রহঃ
শামাইলে নববীর পরিচ্ছেদসমূহ
হাদীস নং: ১৯৩
আহারের পূর্বে ও পরে রাসূলুল্লাহ এর দুআ
১৯৩।আবু বকর মুহাম্মাদ ইবন আবান (রাহঃ)... 'আয়িশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) তাঁর ছয়জন সাহাবা নিয়ে খাবার খেতে বসলেন। এমন সময় একজন বেদুঈন এসে দুই গ্রাসে সব খানা খেয়ে ফেলল। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ সে যদি 'বিসমিল্লাহ্' বলে খাবার শুরু করত তাহলে তোমাদের সবার জন্য তা যথেষ্ট হতো।
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ أَبَانَ قَالَ : حَدَّثَنَا وَكِيعٌ ، عَنْ هِشَامٍ الدَّسْتُوائِيِّ ، عَنْ بُدَيْلِ بْنِ مَيْسَرَةَ الْعُقَيْلِيِّ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ ، عَنْ أُمِّ كُلْثُومٍ ، عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ : كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْكُلُ الطَّعَامَ فِي سِتَّةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ فَجَاءَ أَعْرَابِيٌّ فَأَكَلَهُ بِلُقْمَتَيْنِ ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : لَوْ سَمَّى لَكَفَاكُمْ.
হাদীসের ব্যাখ্যা:
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছয়জন সাহাবীসহ খাবার খাচ্ছিলেন। তারা বিসমিল্লাহ বলেই খাচ্ছিলেন। তারপর এক বেদুঈন আসল। সে বিসমিল্লাহ না বলেই খাবারে অংশগ্রহণ করল এবং সবটা খাবার মাত্র দুই লোকমায় খেয়ে ফেলল। তা দেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-
أَمَا إِنَّهُ لَوْ سَمّى لَكَفَاكُمْ (সে যদি আল্লাহর নাম নিত, তবে এ খানা তোমাদের সকলের জন্য যথেষ্ট হত)। অর্থাৎ বিসমিল্লাহ বললে খাবারে বরকত হত। ফলে তোমরা এবং সে সকলে মিলেই তৃপ্তি সহকারে এ খাবার খেতে পারতে। এতে সকলের প্রয়োজন মিটে যেত। কিন্তু সে যেহেতু বিসমিল্লাহ বলেনি, তাই এ খাবার থেকে বরকত উঠে গেছে। বরকত না থাকায় মাত্র দু'লোকমায় সে সবটা খেয়ে ফেলতে পেরেছে।
এর দ্বারা বোঝা যায়, একসঙ্গে কয়েকজনে মিলে একপাত্রে খেলে প্রত্যেকেরই আলাদাভাবে বিসমিল্লাহ বলতে হবে। এটা সালামের মতো নয় যে, একজন বললে সবার পক্ষ থেকে বলা হয়ে যাবে। কোনও একজনও যদি বিসমিল্লাহ না বলে, তবে খাবারে বরকত থাকবে না। এমনিভাবে পরে এসে কেউ যদি খাবারে যোগ দেয় আর বিসমিল্লাহ না বলে, তবে সে কারণে খাবারের বরকত উঠে যাবে। পূর্বের বরকত রক্ষায় জন্য তারও বিসমিল্লাহ বলা জরুরি।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. বিসমিল্লাহ না বলার দ্বারা খাবারের বরকত নষ্ট হয়ে যায়।
খ. কয়েকজনে মিলে একপাত্রে খেলে প্রত্যেকেরই আলাদাভাবে বিসমিল্লাহ বলতে হবে।
أَمَا إِنَّهُ لَوْ سَمّى لَكَفَاكُمْ (সে যদি আল্লাহর নাম নিত, তবে এ খানা তোমাদের সকলের জন্য যথেষ্ট হত)। অর্থাৎ বিসমিল্লাহ বললে খাবারে বরকত হত। ফলে তোমরা এবং সে সকলে মিলেই তৃপ্তি সহকারে এ খাবার খেতে পারতে। এতে সকলের প্রয়োজন মিটে যেত। কিন্তু সে যেহেতু বিসমিল্লাহ বলেনি, তাই এ খাবার থেকে বরকত উঠে গেছে। বরকত না থাকায় মাত্র দু'লোকমায় সে সবটা খেয়ে ফেলতে পেরেছে।
এর দ্বারা বোঝা যায়, একসঙ্গে কয়েকজনে মিলে একপাত্রে খেলে প্রত্যেকেরই আলাদাভাবে বিসমিল্লাহ বলতে হবে। এটা সালামের মতো নয় যে, একজন বললে সবার পক্ষ থেকে বলা হয়ে যাবে। কোনও একজনও যদি বিসমিল্লাহ না বলে, তবে খাবারে বরকত থাকবে না। এমনিভাবে পরে এসে কেউ যদি খাবারে যোগ দেয় আর বিসমিল্লাহ না বলে, তবে সে কারণে খাবারের বরকত উঠে যাবে। পূর্বের বরকত রক্ষায় জন্য তারও বিসমিল্লাহ বলা জরুরি।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. বিসমিল্লাহ না বলার দ্বারা খাবারের বরকত নষ্ট হয়ে যায়।
খ. কয়েকজনে মিলে একপাত্রে খেলে প্রত্যেকেরই আলাদাভাবে বিসমিল্লাহ বলতে হবে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
