আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৬০- পানীয় দ্রব্যাদীর অধ্যায়
হাদীস নং: ৫২৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ৫৬৩৯
২৯৮০. বরকতময় পানীয় পান করা ও বরকতযুক্ত পানির বর্ণনা
৫২৩৭। কুতায়বা ইবনে সা‘ঈদ (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে ‘আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী করীম (ﷺ) -এর সঙ্গে ছিলাম, এ সময় আসরের সময় হয়ে গেল। অথচ আমাদের সঙ্গে বেঁচে যাওয়া সামান্য পানি ব্যতীত কিছুই ছিল না। তখন সেটুকু একটি পাত্রে রেখে পাত্রটি নবী করীম (ﷺ) -এর সামনে পেশ করা হল। তিনি পাত্রটির মধ্যে নিজের হাত ঢ়ুকিয়ে দিলেন এবং আঙ্গুল ছড়িয়ে দিলেন। এরপর বললেনঃ এস, যাদের উযুর প্রয়োজন আছে। বরকত তো আসে আল্লাহর কাছ থেকে। জাবির (রাযিঃ) বলেন, তখন আমি দেখলাম, নবী করীম (ﷺ) -এর আঙ্গুলগুলোর ফাঁক থেকে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। লোকজন উযু করল এবং পানি পান করল। আমিও আমার উদরে যতটুকু সম্ভব ছিল ততটুকু পান করতে ক্রটি করলাম না। কেননা আমরা জানতাম এটি বরকতের পানি। রাবী বলেন, আমি জাবির (রাযিঃ) কে বললাম সে দিন আপনারা কত লোক ছিলেন? তিনি বললেনঃ এক হাজার চারশ জন।
জাবির (রাযিঃ)-এর সূত্রে আমর অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। সালিম, জাবির (রাযিঃ) সূত্রের মাধ্যমে হুসাইন ও ‘আমর ইবনে মুররা চৌদ্দশ’র স্থানে পনেরশো’র কথা বলেছেন। সা‘ঈদ ইবনে মুসায়্যাব জাবির (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
জাবির (রাযিঃ)-এর সূত্রে আমর অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। সালিম, জাবির (রাযিঃ) সূত্রের মাধ্যমে হুসাইন ও ‘আমর ইবনে মুররা চৌদ্দশ’র স্থানে পনেরশো’র কথা বলেছেন। সা‘ঈদ ইবনে মুসায়্যাব জাবির (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب شُرْبِ الْبَرَكَةِ وَالْمَاءِ الْمُبَارَكِ
5639 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، قَالَ: حَدَّثَنِي سَالِمُ بْنُ أَبِي الجَعْدِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، هَذَا الحَدِيثَ قَالَ: قَدْ رَأَيْتُنِي مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ حَضَرَتِ العَصْرُ، وَلَيْسَ مَعَنَا مَاءٌ غَيْرَ فَضْلَةٍ، فَجُعِلَ فِي إِنَاءٍ فَأُتِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهِ، فَأَدْخَلَ يَدَهُ فِيهِ وَفَرَّجَ أَصَابِعَهُ، ثُمَّ قَالَ: «حَيَّ عَلَى أَهْلِ الوُضُوءِ، البَرَكَةُ مِنَ اللَّهِ» فَلَقَدْ رَأَيْتُ المَاءَ يَتَفَجَّرُ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِهِ، فَتَوَضَّأَ النَّاسُ وَشَرِبُوا، فَجَعَلْتُ لاَ آلُو مَا جَعَلْتُ فِي بَطْنِي مِنْهُ، فَعَلِمْتُ أَنَّهُ بَرَكَةٌ. قُلْتُ لِجَابِرٍ: كَمْ كُنْتُمْ يَوْمَئِذٍ؟ قَالَ: أَلْفًا وَأَرْبَعَ مِائَةٍ تَابَعَهُ عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، عَنْ جَابِرٍ، وَقَالَ حُصَيْنٌ، وَعَمْرُو بْنُ مُرَّةَ: عَنْ سَالِمٍ، عَنْ جَابِرٍ: «خَمْسَ عَشْرَةَ مِائَةً» وَتَابَعَهُ سَعِيدُ بْنُ المُسَيِّبِ، عَنْ جَابِرٍ
