আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৬০- পানীয় দ্রব্যাদীর অধ্যায়
হাদীস নং: ৫২৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ৫৬৩৭
২৯৭৯. নবী করীম (ﷺ) -এর ব্যবহৃত পেয়ালায় পান করা এবং তাঁর পাত্রসমূহের বর্ণনা।
আবু বুরদা (রাহঃ) বলেন, ‘আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম আমাকে বলেছেনঃ আমি কি তোমাকে সেই পাত্রে পান করতে দেব না, যে পাত্রে নবী করীম (ﷺ) পান করেছেন?
আবু বুরদা (রাহঃ) বলেন, ‘আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম আমাকে বলেছেনঃ আমি কি তোমাকে সেই পাত্রে পান করতে দেব না, যে পাত্রে নবী করীম (ﷺ) পান করেছেন?
৫২৩৫। সা‘ঈদ ইবনে আবু মারইয়াম (রাহঃ) ......... সাহল ইবনে সা‘দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (ﷺ) -এর কাছে আরবের জনৈকা মহিলার কথা আলোচনা করা হলে, তিনি আবু উসায়দ সা‘ঈদী (রাযিঃ) -কে আদেশ দিলেন, সেই মহিলার নিকট কাউকে পাঠাতে। তখন তিনি তার নিকট একজনকে পাঠালে সে আসলো এবং সায়িদা গোত্রের দুর্গে অবতরণ করলো। এরপর নবী করীম (ﷺ) বেরিয়ে এসে তার কাছে গেলেন। নবী করীম (ﷺ) দুর্গে তার কাছে প্রবেশ করে দেখলেন, একজন মহিলা মাথা ঝুঁকিয়ে বসে আছে। নবী করীম (ﷺ) যখন তার সঙ্গে কথোপকথন করলেন, তখন সে বলে উঠল, আমি আপনার থেকে আল্লাহর নিকট পানাহ চাই। তখন তিনি বলেনঃ আমি তোমাকে পানাহ দিলাম।
তখন লোকজন তাকে বললো, তুমি কি জানো ইনি কে? সে উত্তর করল না। তারা বললঃ ইনি তো আল্লাহর রাসুল। তোমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে এসেছিলেন। সে বলল, এ মর্যাদা থেকে আমি চির বঞ্চিতা! এরপর সেই দিনই নবী করীম (ﷺ) অগ্রসর হলেন এবং তিনি ও তাঁর সাহাবীগগ অবশেষে বনী সায়িদাহ চত্বরে এসে বসে পড়লেন। এরপর বললেনঃ হে সাহল! আমাদের পানি পান করাও। সাহল (রাযিঃ) বলেন, তখন আমি তাদের জন্য এই পেয়ালাটিই বের করে আনি এবং তা দিয়ে তাদের পান করাই। বর্ণনাকারী বলেন, সাহল (রাযিঃ) তখন আমাদের কাছে সেই পেয়ালা বের করে আনলে আমরা তাতে করে পানি পান করি। তিনি বলেছেন পরবর্তীকালে ‘উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) তার কাছ থেকে সেটি দান হিসাবে পেতে চাইলে তিনি তাকে তা হেবা করে দেন।
তখন লোকজন তাকে বললো, তুমি কি জানো ইনি কে? সে উত্তর করল না। তারা বললঃ ইনি তো আল্লাহর রাসুল। তোমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে এসেছিলেন। সে বলল, এ মর্যাদা থেকে আমি চির বঞ্চিতা! এরপর সেই দিনই নবী করীম (ﷺ) অগ্রসর হলেন এবং তিনি ও তাঁর সাহাবীগগ অবশেষে বনী সায়িদাহ চত্বরে এসে বসে পড়লেন। এরপর বললেনঃ হে সাহল! আমাদের পানি পান করাও। সাহল (রাযিঃ) বলেন, তখন আমি তাদের জন্য এই পেয়ালাটিই বের করে আনি এবং তা দিয়ে তাদের পান করাই। বর্ণনাকারী বলেন, সাহল (রাযিঃ) তখন আমাদের কাছে সেই পেয়ালা বের করে আনলে আমরা তাতে করে পানি পান করি। তিনি বলেছেন পরবর্তীকালে ‘উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) তার কাছ থেকে সেটি দান হিসাবে পেতে চাইলে তিনি তাকে তা হেবা করে দেন।
باب الشُّرْبِ مِنْ قَدَحِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَآنِيَتِهِ وَقَالَ أَبُو بُرْدَةَ قَالَ لِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ أَلاَ أَسْقِيكَ فِي قَدَحٍ شَرِبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِ
5637 - حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: ذُكِرَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ امْرَأَةٌ مِنَ العَرَبِ، فَأَمَرَ أَبَا أُسَيْدٍ السَّاعِدِيَّ أَنْ يُرْسِلَ إِلَيْهَا، فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا فَقَدِمَتْ، فَنَزَلَتْ فِي أُجُمِ بَنِي سَاعِدَةَ، فَخَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى جَاءَهَا، فَدَخَلَ عَلَيْهَا فَإِذَا امْرَأَةٌ مُنَكِّسَةٌ رَأْسَهَا، فَلَمَّا كَلَّمَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ، فَقَالَ: «قَدْ أَعَذْتُكِ مِنِّي» فَقَالُوا لَهَا: أَتَدْرِينَ مَنْ هَذَا؟ قَالَتْ: لاَ، قَالُوا: هَذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَ لِيَخْطُبَكِ، قَالَتْ: كُنْتُ أَنَا أَشْقَى مِنْ ذَلِكَ، فَأَقْبَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ حَتَّى جَلَسَ فِي سَقِيفَةِ بَنِي سَاعِدَةَ هُوَ وَأَصْحَابُهُ، ثُمَّ قَالَ: «اسْقِنَا يَا سَهْلُ» فَخَرَجْتُ لَهُمْ بِهَذَا القَدَحِ فَأَسْقَيْتُهُمْ فِيهِ، فَأَخْرَجَ لَنَا سَهْلٌ ذَلِكَ القَدَحَ فَشَرِبْنَا مِنْهُ قَالَ: ثُمَّ اسْتَوْهَبَهُ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ العَزِيزِ بَعْدَ ذَلِكَ فَوَهَبَهُ لَهُ
