আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
১৮- বিবিধ প্রসঙ্গ।
হাদীস নং: ৯২২
রসুন খাওয়া মাকরূহ।
৯২২। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেনঃ যে ব্যক্তি এই নিকৃষ্ট গাছের তরকারী (রসুন) খায়, সে যেন আমাদের মসজিদের কাছেও না আসে। কারণ রসুনের গন্ধে আমাদের কষ্ট হয়।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, দুর্গন্ধের কারণেই রসুন খাওয়া মাকরূহ। যদি রান্না করে এর গন্ধ দূর করা হয় তবে তা খেতে কোন দোষ নেই। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের ফিকহবিদ সাধারণের এই মত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, দুর্গন্ধের কারণেই রসুন খাওয়া মাকরূহ। যদি রান্না করে এর গন্ধ দূর করা হয় তবে তা খেতে কোন দোষ নেই। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের ফিকহবিদ সাধারণের এই মত।
بَابُ: مَا يُكْرَهُ مِنْ أَكْلِ الثُّومِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، أَنّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ وَفِي رِوَايَةٍ الْخَبِيثَةِ، فَلا يَقْرَبَنَّ مَسْجِدَنَا، يُؤْذِينَا بِرِيحِ الثُّومِ» .
قَالَ مُحَمَّدٌ: إِنَّمَا كُرِهَ ذَلِكَ لِرِيحِهِ، فَإِذَا أَمَتَّهُ طَبْخًا فَلا بَأْسَ بِهِ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ رَحِمَهُمُ اللَّهُ تَعَالَى
قَالَ مُحَمَّدٌ: إِنَّمَا كُرِهَ ذَلِكَ لِرِيحِهِ، فَإِذَا أَمَتَّهُ طَبْخًا فَلا بَأْسَ بِهِ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ رَحِمَهُمُ اللَّهُ تَعَالَى
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, পিঁয়াজ-রসুন খেয়ে মাসজিদে আসা যাবে না। অবশ্য এ নিষেধাজ্ঞা শুধু উক্ত দ্রব্যদ্বয়ের সাথে সীমাবদ্ধ নয়। বরং মুখের দুর্গন্ধে মানুষ ও ফেরেশতারা কষ্ট পায় এমন যে কোন জিনিসের ব্যাপারেই এ হুকুম প্রযোজ্য হবে। কারণ মূল উদ্দেশ্য হলো মুসলমান এবং মসজিদের ফেরেশতা কষ্ট পায় এমন কাজ থেকে বেঁচে থাকা। যেমনটি বর্ণিত হয়েছে মুসলিম শরীফ-১১৩৪ নাম্বার হাদীসে। সুতরাং বিড়ি, সিগারেট, হুক্কা, গুল বা এ জাতীয় কোন জিনিস ব্যবহার করা অথবা গুরম্নত্ব সহকারে মেসওয়াক ব্যবহার না করা মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে যা মানুষের জন্য পীড়াদায়ক হয় সবই এ হুকুমের আওতাভুক্ত। রসূলুল্লাহ স.-এর উদ্দেশ্য এটা নয় যে, কেউ এগুলো ব্যবহার করবে, আর মাসজিদ ছেড়ে দিবে। বরং উদ্দেশ্য হলো মাসজিদে নিয়মিত আসবে। আর যে সব জিনিসের দ্বারা মানুষ কষ্ট পায় তা ছেড়ে দিবে।
