আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
১৫- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায়
হাদীস নং: ৮১১
- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায়
নুহলা (উপঢৌকন)।
৮১১। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। উছমান ইবনে আফ্ফান (রাযিঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি যদি তার নাবালেগ সন্তানকে কোন কিছু দান করে তার প্রকাশ্য ঘোষণা দেয় এবং এর স্বপক্ষে সাক্ষী রাখে তবে এই দান বৈধ হবে, বাচ্চা তা হস্তগত করার উপযুক্ত না হলেও। এ অবস্থায় পিতা হবে তার অভিভাবক।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, উল্লেখিত সব হাদীসের উপর আমরা আমল করি। সন্তানদের কোন কিছু দান করার ব্যাপারে পিতার কর্তব্য হচ্ছে তাদের মধ্যে সমতা রক্ষা করা। তাদের একজনকে অপরজনের উপর অগ্রাধিকার দেয়া উচিৎ নয়। কোন ব্যক্তি তার নাবালেগ সন্তানকে অথবা অপর কোন ব্যক্তিকে কিছু দান করলো। যাকে দান করা হয়েছে সে এখনো তা হস্তগত করেনি। এই অবস্থায় দানকারী অথবা দানগ্রহীতা মারা গেলো। এক্ষেত্রে দানকৃত বস্তু দানকারী বা তার ওয়ারিসদের অধিকারে ফিরে আসবে। দান হস্তগত করার পূর্ব পর্যন্ত এর উপর দানগ্রহীতার বৈধ অধিকার জন্মায় না। কিন্তু অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের ক্ষেত্রে এই নিয়মের ব্যতিক্রম রয়েছে। তাকে যা দান করা হয়েছে তা তার পিতার হস্তগত হওয়া তারই হস্তগত হওয়া বলে গণ্য হবে। অতএব পিতা যখন দানের ঘোষণা দেয় এবং এর সাক্ষী রাখে, তখন তা তার সন্তানের বৈধ সম্পত্তিতে পরিণত হয়। পিতার জন্য তা ফেরত নেয়ার আর কোন পথ থাকে না। সাক্ষী বানানোর পর তা কোন উপায়ে আত্মসাৎ করাও তার জন্য জায়েয নয়। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের ফিকহবিদ সাধারণের এই মত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, উল্লেখিত সব হাদীসের উপর আমরা আমল করি। সন্তানদের কোন কিছু দান করার ব্যাপারে পিতার কর্তব্য হচ্ছে তাদের মধ্যে সমতা রক্ষা করা। তাদের একজনকে অপরজনের উপর অগ্রাধিকার দেয়া উচিৎ নয়। কোন ব্যক্তি তার নাবালেগ সন্তানকে অথবা অপর কোন ব্যক্তিকে কিছু দান করলো। যাকে দান করা হয়েছে সে এখনো তা হস্তগত করেনি। এই অবস্থায় দানকারী অথবা দানগ্রহীতা মারা গেলো। এক্ষেত্রে দানকৃত বস্তু দানকারী বা তার ওয়ারিসদের অধিকারে ফিরে আসবে। দান হস্তগত করার পূর্ব পর্যন্ত এর উপর দানগ্রহীতার বৈধ অধিকার জন্মায় না। কিন্তু অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের ক্ষেত্রে এই নিয়মের ব্যতিক্রম রয়েছে। তাকে যা দান করা হয়েছে তা তার পিতার হস্তগত হওয়া তারই হস্তগত হওয়া বলে গণ্য হবে। অতএব পিতা যখন দানের ঘোষণা দেয় এবং এর সাক্ষী রাখে, তখন তা তার সন্তানের বৈধ সম্পত্তিতে পরিণত হয়। পিতার জন্য তা ফেরত নেয়ার আর কোন পথ থাকে না। সাক্ষী বানানোর পর তা কোন উপায়ে আত্মসাৎ করাও তার জন্য জায়েয নয়। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের ফিকহবিদ সাধারণের এই মত।
كتاب البيوع في التجارات والسلم
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ، قَالَ: «مَنْ نَحَلَ وَلَدًا لَهُ صَغِيرًا لَمْ يَبْلُغْ أَنْ يَحُوزَ نُحْلَةٌ فَأَعْلَنَ بِهَا وَأَشْهَدَ عَلَيْهَا فَهِيَ جَائِزَةٌ، وَإِنْ وَلِيَهَا أَبُوهُ» .
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا كُلِّهِ نَأْخُذُ، يَنْبَغِي لِلرَّجُلِ أَنْ يُسَوِّيَ بَيْنَ وَلَدِهِ فِي النُّحْلَةِ، وَلا يُفَضِّلُ بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ، فَمَنْ نَحَلَ نُحْلَةً وَلَدًا أَوْ غَيْرَهُ فَلَمْ يَقْبِضْهَا الَّذِي نُحِلَهَا حَتَّى مَاتَ النَّاحِلُ وَالْمَنْحُولُ فَهِيَ مَرْدُودَةٌ عَلَى النَّاحِلِ وَعَلَى وَرَثَتِهِ، وَلا تَجُوزُ لِلْمَنْحُولِ حَتَّى يَقْبِضَهَا، إِلا الْوَلَدَ الصَّغِيرَ، فَإِنْ قَبَضَ وَالِدُهُ لَهُ قَبْضٌ فَإِذَا أَعْلَنَهَا وَأَشْهَدَ بِهَا فَهِيَ جَائِزَةٌ لِوَلَدِهِ، وَلا سَبِيلَ لِلْوَالِدِ إِلَى الرَّجْعَةِ فِيهَا، وَلا إِلَى اغْتِصَابِهَا بَعْدَ أَنْ أَشْهَدَ عَلَيْهَا.
وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا كُلِّهِ نَأْخُذُ، يَنْبَغِي لِلرَّجُلِ أَنْ يُسَوِّيَ بَيْنَ وَلَدِهِ فِي النُّحْلَةِ، وَلا يُفَضِّلُ بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ، فَمَنْ نَحَلَ نُحْلَةً وَلَدًا أَوْ غَيْرَهُ فَلَمْ يَقْبِضْهَا الَّذِي نُحِلَهَا حَتَّى مَاتَ النَّاحِلُ وَالْمَنْحُولُ فَهِيَ مَرْدُودَةٌ عَلَى النَّاحِلِ وَعَلَى وَرَثَتِهِ، وَلا تَجُوزُ لِلْمَنْحُولِ حَتَّى يَقْبِضَهَا، إِلا الْوَلَدَ الصَّغِيرَ، فَإِنْ قَبَضَ وَالِدُهُ لَهُ قَبْضٌ فَإِذَا أَعْلَنَهَا وَأَشْهَدَ بِهَا فَهِيَ جَائِزَةٌ لِوَلَدِهِ، وَلا سَبِيلَ لِلْوَالِدِ إِلَى الرَّجْعَةِ فِيهَا، وَلا إِلَى اغْتِصَابِهَا بَعْدَ أَنْ أَشْهَدَ عَلَيْهَا.
وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا