আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
১২- শরীআতে যিনা ব্যভিচারের দন্ড বিধি
হাদীস নং: ৭০২
যেনার স্বীকারোক্তি।
৭০২। ইয়াহ্ইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি, আসলাম গোত্রের এক ব্যক্তি আবু বাকর (রাযিঃ)-র কাছে এসে বললো, এই দুর্ভাগা যেনা করেছে। আবু বাকর (রাযিঃ) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আমি ছাড়া আর কারো কাছে তুমি কি তা বলেছো? সে বললো, না। তিনি বলেন, আল্লাহর কাছে তওবা করো এবং আল্লাহর পর্দার মধ্যে তোমার অপরাধ লুকিয়ে রাখো। কেননা আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের তওবা কবুল করেন। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ) বলেন, আবু বাকর (রাযিঃ)-র কথায় তার মন আশ্বস্ত হলো না। অতএব সে উমার (রাযিঃ)-র কাছে এসে আবু বাকর (রাযিঃ)-র নিকট বলা কথাগুলোর পুনরাবৃত্তি করলো। উমার (রাযিঃ)-ও তাকে আবু বাকর (রাযিঃ)-র অনুরূপ পরামর্শ দিলেন। কিন্তু এবারও তার মন আশ্বস্ত হলো না। অতএব সে নবী ﷺ-এর কাছে এসে বললো, এই হতভাগা যেনা করেছে। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ) বলেন, নবী ﷺ তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। সে কয়েকবার তার কথার পুনরাবৃত্তি করলো এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রতিবারই তার দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেন। সে যখন বারবার নিজের অপরাধের স্বীকারোক্তি করতে লাগলো, তখন তিনি তার পরিবারের লোকদের ডাকলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ “সে অসুস্থ না পাগল?” তারা বললো, হে আল্লাহর রাসূল! সে সম্পূর্ণ সুস্থ। তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেনঃ “সে কি বিবাহিত না অবিবাহিত?" তারা বললো, বিবাহিত। অতএব তিনি তার সম্পর্কে নির্দেশ দিলে তদনুযায়ী তাকে রজম করা হলো।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ، يَقُولُ: إِنَّ رَجُلا مِنْ أَسْلَمَ أَتَى أَبَا بَكْرٍ، فَقَالَ: إِنَّ الأَخِرَ قَدْ زَنَى، قَالَ أَبُو بَكْرٍ: هَلْ ذَكَرْتَ هَذَا لأَحَدٍ غَيْرِي؟ قَالَ: لا، قَالَ أَبُو بَكْرٍ: تُبْ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَاسْتَتِرْ بِسِتْرِ اللَّهِ، فَإِنَّ اللَّهَ يَقْبَلُ التَّوْبَةَ عَنْ عِبَادِه.
قَالَ سَعِيدٌ: فَلَمْ تَقَرَّ بِهِ نَفْسُهُ حَتَّى أَتَى عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، فَقَالَ لَهُ كَمَا قَالَ لأَبِي بَكْرٍ، فَقَالَ لَهُ عُمَرُ كَمَا قَالَ أَبُو بَكْرٍ، قَالَ سَعِيدٌ: فَلْم تَقَرَّ بِهِ نَفْسُهُ حَتَّى أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُ: الأَخِرُ قَدْ زَنَى، قَالَ سَعِيدٌ: فَأَعْرَضَ عَنْهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: فقَالَ لَهُ ذَلِكَ مِرَارًا، كُلُّ ذَلِكَ يُعْرِضُ عَنْهُ، حَتَّى إِذَا أَكْثَرَ عَلَيْهِ، بَعَثَ إِلَى أَهْلِهِ، فَقَالَ: «أَيَشْتَكِي؟ أَبِه جِنَّةٌ؟ !» قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّهُ لَصَحِيحٌ، قَالَ: «أَبِكْرٌ أَمْ ثَيِّبٌ» قَالُوا: ثَيِّبٌ.
«فَأَمَرَ بِهِ، فَرُجِمَ»
قَالَ سَعِيدٌ: فَلَمْ تَقَرَّ بِهِ نَفْسُهُ حَتَّى أَتَى عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، فَقَالَ لَهُ كَمَا قَالَ لأَبِي بَكْرٍ، فَقَالَ لَهُ عُمَرُ كَمَا قَالَ أَبُو بَكْرٍ، قَالَ سَعِيدٌ: فَلْم تَقَرَّ بِهِ نَفْسُهُ حَتَّى أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُ: الأَخِرُ قَدْ زَنَى، قَالَ سَعِيدٌ: فَأَعْرَضَ عَنْهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: فقَالَ لَهُ ذَلِكَ مِرَارًا، كُلُّ ذَلِكَ يُعْرِضُ عَنْهُ، حَتَّى إِذَا أَكْثَرَ عَلَيْهِ، بَعَثَ إِلَى أَهْلِهِ، فَقَالَ: «أَيَشْتَكِي؟ أَبِه جِنَّةٌ؟ !» قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّهُ لَصَحِيحٌ، قَالَ: «أَبِكْرٌ أَمْ ثَيِّبٌ» قَالُوا: ثَيِّبٌ.
«فَأَمَرَ بِهِ، فَرُجِمَ»
