আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৯৫
কিরান হজ্জের বর্ণনা।
৩৯৫ । সাদাকা ইবনে ইয়াসার আল-মক্কী (রাহঃ) বলেন, আমি তারবিয়ার দিনের (৮ যিলহজ্জ) দুই-তিনদিন পূর্বে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ)-র কাছে আসলাম। বহু লোক তার কাছে বিভিন্ন মাসআলা জিজ্ঞেস করতে আসতো। এসময় ইয়ামনের এক ব্যক্তি তার কাছে আসলো। তার মাথার চুলগুলো ছিল উষ্কখুষ্ক। সে বললো, হে আবু আব্দুর রহমান! আমি আমার চুলগুলো বেঁধে নিয়েছি এবং শুধু উমরার জন্য ইহরাম বেঁধেছি। এখন আমার জন্য কি হুকুম? ইবনে উমার (রাযিঃ) বলেন, আমি যদি তোমার ইহরাম বাঁধার সময় তোমরা সাথে থাকতাম তবে আমি তোমাকে কিরান হজ্জ করার নির্দেশ দিতাম। অতঃপর যখন বাইতুল্লায় পৌঁছতে বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করতে, সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করতে এবং কোরবানীর দিন কোরবানী না করা পর্যন্ত তুমি ইহরামমুক্ত হতে না । ইবনে উমার (রাযিঃ) তাকে আরো বলেন, তোমার উষ্কখুষ্ক চুলগুলি কেটে ফেলো এবং পশু যবেহ করো। ঘরের মধ্য থেকে এক মহিলা তাকে জিজ্ঞেস করলো, হে আবু আব্দুর রহমান! তাকে কি যবেহ করতে হবে? তিনি বলেন, চুল কাটলে যে পশু যবেহ করতে হয় তা। মহিলাটি তিনবার জিজ্ঞেস করলো, আর তিনি তিনবার একই উত্তর দিলেন। অতঃপর ইবনে উমার (রাযিঃ) নীরব হলেন। আমরা যখন বিদায় নেয়ার ইচ্ছা করলাম তখন তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ! আমি যদি বকরী ছাড়া অন্য কোন জন্তু না পাই, তাহলে আমার মতে রোযা রাখার চেয়ে বকরী যবেহ করাই উত্তম।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই নীতি গ্রহণ করেছি। আমাদের মতে কিরান হজ্জই সর্বোত্তম, যেমন ইবনে উমার (রাযিঃ) বলেছেন। আর যখন উমরার জন্য ইহরাম বেঁধে তামাত্তু হজ্জের নিয়াত করবে, তখন তাওয়াফ ও সাঈ করার পর মাথার চুল খাটো করে ফেলবে এবং ইরামমুক্ত হয়ে যাবে। পুনরায় হজ্জের জন্য ইহরাম বেঁধে হজ্জ করবে। অতঃপর কোরবানীর দিন মাথা কামিয়ে একটি বকরী যবেহ করলে তাও জায়েয হবে, যেমন ইবনে উমার (রাযিঃ) বলেছেন । ইমাম আবু হানীফা এবং আমাদের সকল ফিকহবিদের এই মত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই নীতি গ্রহণ করেছি। আমাদের মতে কিরান হজ্জই সর্বোত্তম, যেমন ইবনে উমার (রাযিঃ) বলেছেন। আর যখন উমরার জন্য ইহরাম বেঁধে তামাত্তু হজ্জের নিয়াত করবে, তখন তাওয়াফ ও সাঈ করার পর মাথার চুল খাটো করে ফেলবে এবং ইরামমুক্ত হয়ে যাবে। পুনরায় হজ্জের জন্য ইহরাম বেঁধে হজ্জ করবে। অতঃপর কোরবানীর দিন মাথা কামিয়ে একটি বকরী যবেহ করলে তাও জায়েয হবে, যেমন ইবনে উমার (রাযিঃ) বলেছেন । ইমাম আবু হানীফা এবং আমাদের সকল ফিকহবিদের এই মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ يَسَارٍ الْمَكِّيُّ، قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، وَدَخَلْنَا عَلَيْهِ قَبْلَ يَوْمِ التَّرْوِيَةِ بِيَوْمَيْنِ، أَوْ ثَلاثَةٍ، وَدَخَلَ عَلَيْهِ النَّاسُ يَسْأَلُونَهُ فَدَخَلَ عَلَيْهِ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ ثَائِرَ الرَّأْسِ، فَقَالَ: " يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ، إِنِّي ضَفَّرْتُ رَأْسِي، وَأَحْرَمْتُ بِعُمْرَةٍ مُفْرَدَةٍ، فَمَاذَا تَرَى؟ قَالَ ابْنُ عُمَرَ: لَوْ كُنْتُ مَعَكَ حِينَ أَحْرَمْتَ لأَمَرْتُكَ أَنْ تُهِلَّ بِهِمَا جَمِيعًا، فَإِذَا قَدِمْتَ طُفْتَ بِالْبَيْتِ، وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، وَكُنْتَ عَلَى إِحْرَامِكَ، لا تَحِلَّ مِنْ شَيْءٍ حَتَّى تَحِلَّ مِنْهُمَا جَمِيعًا يَوْمَ النَّحْرِ، وَتَنْحَرَ هَدْيَكَ، وَقَالَ لَهُ ابْنُ عُمَرَ: خُذْ مَا تَطَايَرَ مِنْ شَعْرِكَ، وَاهْدِ، فَقَالَتْ لَهُ امْرَأَةٌ فِي الْبَيْتِ: وَمَا هَدْيُهُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ؟ قَالَ: هَدْيُهُ ثَلاثًا، كُلُّ ذَلِكَ يَقُولُ هَدْيُهُ، قَالَ: ثُمَّ سَكَتَ ابْنُ عُمَرَ، حَتَّى إِذَا أَرَدْنَا الْخُرُوجَ، قَالَ: أَمَا وَاللَّهِ لَوْ لَمْ أَجِدْ إِلا شَاةً لَكَانَ أُرَى أَنْ أَذْبَحَهَا أَحَبَّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَصُومَ "، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، الْقِرَانُ أَفْضَلُ، كَمَا قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، فَإِذَا كَانَتِ الْعُمْرَةُ، وَقَدْ حَضَرَ الْحَجُّ، فَطَافَ لَهَا وَسَعَى، فَلْيُقَصِّرْ، ثُمَّ لِيُحْرِمْ بِالْحَجِّ، فَإِذَا كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ حَلَقَ وَشَاةٌ تُجْزِئُهُ، كَمَا قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
