আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৯১
- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
তালবিয়া পাঠ বন্ধ করার বর্ণনা ।
৩৯১। আলকামা (রাহঃ) থেকে তার মায়ের (মারজানা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি (মারজানা) বলেন, আয়েশা (রাযিঃ) আরাফাতে পৌঁছে নামেরা নামক স্থানে তাঁবু ফেলতেন। অতঃপর এখান থেকে অগ্রসর হয়ে আরাক নামক স্থানে তাঁবু ফেলতেন। তিনি যখন নিজ অবস্থান স্থানে থাকতেন, তখন তিনি ও তার সঙ্গীরা তালবিয়া পাঠ করতেন। যখন তিনি আরাফাতে আসার জন্য সওয়ারীতে উঠতেন, তালবিয়া পাঠ বন্ধ করে দিতেন। হজ্জের পর তিনি মক্কায় অবস্থান করতেন এবং মুহাররমের নতুন চাঁদ উঠার আগেই মক্কা ত্যাগ করে আল-জুহফায় চলে আসতেন । নতুন চাঁদ উঠা পর্যন্ত তিনি এখানেই অবস্থান করতেন। মুহাররমের চাঁদ উঠার পর তিনি সেখানে থেকে উমরা করার জন্য ইহরাম বাঁধতেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি ইফরাদ অথবা কিরান হজ্জের ইহরাম বাঁধবে, সে কোরবানীর দিন জামরায় প্রথম পাথর নিক্ষেপ করা পর্যন্ত তালবিয়া পাঠ করবে। এরপর তালবিয়া পাঠ বন্ধ করবে। আর যে ব্যক্তি শুধু উমরার জন্য ইহরাম বাঁধবে, সে তাওয়াফের সময় রুকনে ইয়ামানী (হাজারে আসওয়াদ) স্পর্শ করা পর্যন্ত তালবিয়া পাঠ করতে থাকবে । এর সমর্থনে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এবং আরো কতক সাহাবীর আছার (কর্মনীতি) বিদ্যমান রয়েছে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের আর সব ফিকহবিদেরও এই মত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি ইফরাদ অথবা কিরান হজ্জের ইহরাম বাঁধবে, সে কোরবানীর দিন জামরায় প্রথম পাথর নিক্ষেপ করা পর্যন্ত তালবিয়া পাঠ করবে। এরপর তালবিয়া পাঠ বন্ধ করবে। আর যে ব্যক্তি শুধু উমরার জন্য ইহরাম বাঁধবে, সে তাওয়াফের সময় রুকনে ইয়ামানী (হাজারে আসওয়াদ) স্পর্শ করা পর্যন্ত তালবিয়া পাঠ করতে থাকবে । এর সমর্থনে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এবং আরো কতক সাহাবীর আছার (কর্মনীতি) বিদ্যমান রয়েছে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের আর সব ফিকহবিদেরও এই মত।
كتاب الحج
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا عَلْقَمَةُ بْنُ أَبِي عَلْقَمَةَ، أَنَّ أُمَّهُ أَخْبَرَتْهُ، أَنَّ عَائِشَةَ كَانَتْ «تَنْزِلُ بِعَرَفَةَ بِنَمِرَةَ، ثُمَّ تَحَوَّلَتْ فَنَزَلَتْ فِي الأَرَاكِ، فَكَانَتْ عَائِشَةُ تُهِلُّ مَا كَانَتْ فِي مَنْزِلِهَا، وَمَنْ كَانَ مَعَهَا فَإِذَا رَكِبَتْ وَتَوَجَّهَتْ إِلَى الْمَوْقِفِ تَرَكَتِ الإِهْلالَ، وَكَانَتْ تُقِيمُ بِمَكَّةَ بَعْدَ الْحَجِّ، فَإِذَا كَانَ قَبْلَ هِلالِ الْمُحَرَّمِ خَرَجَتْ حَتَّى تَأْتِيَ الْجُحْفَةَ، فَتُقِيمَ بِهَا حَتَّى تَرَى الْهِلالَ، فَإِذَا رَأَتِ الْهِلالَ أَهَلَّتْ بِالْعُمْرَةِ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: مَنْ أَحْرَمَ بِالْحَجِّ، أَوْ قَرَنَ لَبَّى حَتَّى يَرْمِيَ الْجَمْرَةَ بِأَوَّلِ حَصَاةٍ رَمَى يَوْمَ النَّحْرِ، فَعِنْدَ ذَلِكَ يَقْطَعُ التَّلْبِيَةَ، وَمَنْ أَحْرَمَ بِعُمْرَةٍ مُفْرَدَةٍ لَبَّى حَتَّى يَسْتَلِمَ الرُّكْنَ لِلطَّوَافِ، بِذَلِكَ جَاءَتِ الآثَارُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَغَيْرِهِ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا