আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫৯- কুরবানীর অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৫৫৭১
২৯৫০. কুরবানীর গোশত থেকে কতটুকু পরিমাণ আহার করা যাবে, আর কতটুকু পরিমাণ সঞ্চিত রাখা যাবে
৫১৭৩। হিব্বান ইবনে মুসা (রাহঃ) ......... ইবনে আযহাবের আযাদকৃত দাস আবু ‘উবাইদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি ‘উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) -এর সঙ্গে কুরবানীর ঈদের দিন ঈদগাহে হাযির ছিলেন। ‘উমর (রাযিঃ) খুতবার পূর্বে নামায আদায় করেন। এরপর সমবেত জনতার সামনে খুতবা দেন। তখন তিনি বলেন হে লোক সকল! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এই দুই ঈদের দিনে রোযা পালন করতে নিষেধ করেছেন। তন্মধ্যে একটি তো হল তোমাদের জন্য তোমাদের রোযা ভঙ্গ করার দিন (অর্থাৎ ঈদুল ফিতর)। আর অপরটি হল এমন দিন যে দিন তোমরা তোমাদের কুরবানীর পশুর গোশত আহার করবে।
আবু ‘উবাইদ বলেনঃ এরপর আমি ‘উসমান ইবনে ‘আফফান (রাযিঃ) এর সময়ও হাযির হয়েছি। সেদিন ছিল জুমআর দিন। তিনি খুতবা দানের আগে নামায আদায় করলেন। এরপর তিনি খুতবা দিতে গিয়ে দাঁড়িয়ে বললেনঃ হে লোক সকল! এটি এমন দিন যেদিন তোমাদের জন্য দু’টি ঈদ একত্রিত হয়ে গেছে। কাজেই তোমাদের মধ্যে আওয়ালী (মদীনার চার মাইল পূর্বে অবস্থিত একটি স্থানের নাম) এলাকার যে ব্যক্তি জুমু‘আর নামায এর অপেক্ষা করতে ইচ্ছা করে সে যেন অপেক্ষা করে। আর যে ফিরে যেতে চায়, তার জন্য আমি অনুমতি দিলাম। আর ‘উবাইদ বলেনঃ এরপর আমি ঈদগাহে হাযির হয়েছি ‘আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) -এর সময়ে। তিনি খুতবার পূর্বে নামায আদায় করেন। এরপর লোকজনের উদ্দেশ্যে খুতবা দেন। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তোমাদের কুরবানীর পশুর গোশত তিন দিনের অধিক কাল খেতে নিষেধ করেছেন।

মা‘মার, যুহরী, আবু ‘উবাইদ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন