আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
২- নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৭৫
নামাযরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাতায়াত করা।
২৭৫। কাব আল-আহবার (রাহঃ) বলেন, নামাযরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী যদি জানতো যে, এতে তার কতো মারাত্মক গুনাহ হয়, তবে সে নিজের জন্য নামাযীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করার চেয়ে জমীনের অভ্যন্তরে ধ্বসে যাওয়াকে কল্যাণকর মনে করতো।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, নামাযরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাতায়াত করা মাকরূহ। যদি কোন ব্যক্তি নামাযীর সামনে দিয়ে যেতে সংকল্প করে, তবে যতোদূর সম্ভব তাকে বাধা দেয়া উচিৎ। কিন্তু তার সাথে দ্বন্দ্ব-সংঘাতে লিপ্ত হওয়া যতোটা ক্ষতিকর, নামাযীর সামনে দিয়ে যাতায়াত করা ততোটা ক্ষতিকর নয়। আমাদের জানামতে আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) ছাড়া আর কেউই ‘কিতাল’ (দ্বন্দ্ব-সংঘাত, যুদ্ধ) শব্দটি বর্ণনা করেননি। সাধারণ ফিকহবিদগণ শব্দটির প্রত্যক্ষ অর্থের উপর আমল করেননি। বরং শব্দটির পরোক্ষ অর্থ তাই যা আমরা গ্রহণ করেছি। অর্থাৎ যতোদূর সম্ভব বাধা দিবে। ইমাম আবু হানীফারও এই মত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, নামাযরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাতায়াত করা মাকরূহ। যদি কোন ব্যক্তি নামাযীর সামনে দিয়ে যেতে সংকল্প করে, তবে যতোদূর সম্ভব তাকে বাধা দেয়া উচিৎ। কিন্তু তার সাথে দ্বন্দ্ব-সংঘাতে লিপ্ত হওয়া যতোটা ক্ষতিকর, নামাযীর সামনে দিয়ে যাতায়াত করা ততোটা ক্ষতিকর নয়। আমাদের জানামতে আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) ছাড়া আর কেউই ‘কিতাল’ (দ্বন্দ্ব-সংঘাত, যুদ্ধ) শব্দটি বর্ণনা করেননি। সাধারণ ফিকহবিদগণ শব্দটির প্রত্যক্ষ অর্থের উপর আমল করেননি। বরং শব্দটির পরোক্ষ অর্থ তাই যা আমরা গ্রহণ করেছি। অর্থাৎ যতোদূর সম্ভব বাধা দিবে। ইমাম আবু হানীফারও এই মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ كَعْبٍ، أَنَّهُ قَالَ: «لَوْ كَانَ يَعْلَمُ الْمَارُّ بَيْنَ يَدَيِ الْمُصَلِّي مَاذَا عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ كَانَ أَنْ يُخْسَفَ بِهِ خَيْرًا لَهُ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: يُكْرَهُ أَنْ يَمُرَّ الرَّجُلُ بَيْنَ يَدَيِ الْمُصَلِّي، فَإِنْ أَرَادَ أَنْ يَمُرَّ بَيْنَ يَدَيْهِ فَلْيَدْرَأْ مَا اسْتَطَاعَ وَلا يُقَاتِلْهُ، فَإِنْ قَاتَلَهُ كَانَ مَا يَدْخُلُ عَلَيْهِ فِي صَلاتِهِ مِنْ قِتَالِهِ إِيَّاهُ أَشَدَّ عَلَيْهِ مِنْ مَمَرِّ هَذَا بَيْنَ يَدَيْهِ، وَلا نَعْلَمُ أَحَدًا رَوَى قِتَالَهُ، إِلا مَا رُوِيَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، وَلَيْسَتِ الْعَامَّةُ عَلَيْهَا، وَلَكِنَّهَا عَلَى مَا وَصَفْتُ لَكَ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، رَحِمَهُ اللَّهُ
