আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
২- নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৪৩
রমযান মাসে রাতের ইবাদত ও তার ফযীলাত।
২৪৩। আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল কারী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রমযানের এক রাতে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-র সাথে বের হলেন। তখন কতক লোক একত্রে এবং কতক লোক একাকী বিচ্ছিন্নভাবে নামায পড়ছিল। উমার (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! আমি ভাবছি যে, আমি এই লোকদের একজন ইমামের পিছনে একত্র করে দেই, তবে তা খুবই ভালো হতো। অতঃপর তিনি তাই করার সংকল্প করলেন এবং সবাইকে উবাই ইবনে কাব (রাযিঃ)-র পিছনে একত্র করেন । রাবী আরো বলেন, আমি আরেক রাতে তার সাথে বের হলাম। তখন সব লোক একজন ইমামের পিছনে নামায পড়ছিল। উমার (রাযিঃ) বলেন, 'এটা উত্তম বিদআত।১ লোকজন প্রথম রাতে যে নামায পড়ে, তার তুলনায় সেই নামায উত্তম যা থেকে তারা ঘুমিয়ে পড়ে।' অর্থাৎ লোকেরা রাতের প্রথমাংশে নামায পড়তো। কিন্তু তার ইচ্ছা ছিল, তারা যদি এই নামায শেষরাতে পড়তো।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই কর্মপন্থা গ্রহণ করেছি। রমযান মাসে জামাআতে নফল নামায পড়ায় কোন দোষ নেই।২ কেননা এর উপর মুসলমানদের ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং তারা এটাকে উত্তম মনে করেছেন। নবী ﷺ বলেনঃ
ما رأه المسلمون حسنا فهو عند الله حسن وما رأه المسلمون قبيحا فهو عند الله له قبيح
“যে জিনিসকে মুসলমানরা উত্তম মনে করে, আল্লাহর নিকটও তা উত্তম। আর যে জিনিসকে মুসলমানরা খারাপ মনে করে, তা আল্লাহর নিকটও খারাপ।”৩
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই কর্মপন্থা গ্রহণ করেছি। রমযান মাসে জামাআতে নফল নামায পড়ায় কোন দোষ নেই।২ কেননা এর উপর মুসলমানদের ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং তারা এটাকে উত্তম মনে করেছেন। নবী ﷺ বলেনঃ
ما رأه المسلمون حسنا فهو عند الله حسن وما رأه المسلمون قبيحا فهو عند الله له قبيح
“যে জিনিসকে মুসলমানরা উত্তম মনে করে, আল্লাহর নিকটও তা উত্তম। আর যে জিনিসকে মুসলমানরা খারাপ মনে করে, তা আল্লাহর নিকটও খারাপ।”৩
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدٍ الْقَارِيِّ، " أَنَّهُ خَرَجَ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ لَيْلَةً فِي رَمَضَانَ، فَإِذَا النَّاسُ أَوْزَاعٌ مُتَفَرِّقُونَ، يُصَلِّي الرَّجُلُ فَيُصَلِّي بِصَلاتِهِ الرَّهْطُ، فَقَالَ عُمَرُ: " وَاللَّهِ، إِنِّي لأَظُنُّنِي لَوْ جَمَعْتُ هَؤُلاءِ عَلَى قَارِئٍ وَاحِدٍ لَكَانَ أَمْثَلَ، ثُمَّ عَزَمَ فَجَمَعَهُمْ عَلَى أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ: ثُمَّ خَرَجْتُ مَعَهُ لَيْلَةً أُخْرَى، وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ بِصَلاةِ قَارِئِهِمْ، فَقَالَ: نِعْمَتِ الْبِدْعَةُ هَذِهِ، وَالَّتِي يَنَامُونَ عَنْهَا أَفْضَلُ مِنَ الَّتِي يَقُومُونَ فِيهَا.
يُرِيدُ آخِرَ اللَّيْلِ وَكَانَ النَّاسُ يَقُومُونَ أَوَّلِهِ ".
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا كُلِّهِ نَأْخُذُ، لا بَأْسَ بِالصَّلاةِ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ، أَنْ يُصَلِّيَ النَّاسُ تَطَوُّعًا بِإِمَامٍ، لأَنَّ الْمُسْلِمِينَ قَدْ أَجْمَعُوا عَلَى ذَلِكَ وَرَأَوْهُ حَسَنًا.
وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «مَا رَآهُ الْمُؤْمِنُونَ حَسَنًا فَهُوَ عِنْدَ اللَّهِ حَسَنٌ، وَمَا رَآهُ الْمُسْلِمُونَ قَبِيحًا فَهُوَ عِنْدَ اللَّهِ قَبِيحٌ»
يُرِيدُ آخِرَ اللَّيْلِ وَكَانَ النَّاسُ يَقُومُونَ أَوَّلِهِ ".
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا كُلِّهِ نَأْخُذُ، لا بَأْسَ بِالصَّلاةِ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ، أَنْ يُصَلِّيَ النَّاسُ تَطَوُّعًا بِإِمَامٍ، لأَنَّ الْمُسْلِمِينَ قَدْ أَجْمَعُوا عَلَى ذَلِكَ وَرَأَوْهُ حَسَنًا.
وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «مَا رَآهُ الْمُؤْمِنُونَ حَسَنًا فَهُوَ عِنْدَ اللَّهِ حَسَنٌ، وَمَا رَآهُ الْمُسْلِمُونَ قَبِيحًا فَهُوَ عِنْدَ اللَّهِ قَبِيحٌ»
