আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫৮- যবাহ করা ও শিকারের অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৫৫৪৩
২৯৩২. কোন দল মালে গনীমত লাভ করার পর যদি তাদের কেউ সাথীদের অনুমতি ছাড়া কোন বকরি কিংবা উট যবেহ করে ফেলে, তাহলে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত রাফি‘ (রাযিঃ) -এর হাদীস অনুসারে সেই গোশত খাওয়া যাবে না। চোরের যবেহকৃত পশুর ব্যাপারে তাউস ও ‘ইকরিমা (রাহঃ) বলেছেন, তা ফেলে দাও।
৫১৪৫। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... রাফি‘ ইবনে খাদীজ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী করীম (ﷺ) -কে বললাম। আগামী দিন আমরা শক্রর মুকাবিলা করবো; অথচ আমাদের সঙ্গে কোন ছুরি নেই। তিনি বললেনঃ সতর্ক দৃষ্টি রাখো কিংবা তিনি বলেছেনঃ জলদি করো। যে জিনিস রক্ত বহায় এবং যাতে আল্লাহর নাম নেয়া হয়, সেটি খাও। যতক্ষণ না সেটি দাত কিংবা নখ হয়। এ ব্যাপারে তোমাদের জানাচ্ছি, দাঁত হলো হাড়, আর নখ হল হাবশীদের ছুরি। দলের দ্রুতগামী লোকেরা আগে বেড়ে গেল এবং গনিমতের মালামাল লাভ করল। নবী করীম (ﷺ) ছিলেন লোকজনের পেছনে। তারা ডেকচি চড়িয়ে দিল। নবী করীম (ﷺ) এসে তা উল্টিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন, তারপর সেগুলো উল্টিয়ে দেয়া হল। এরপর তিনি তাদের মধ্যে মালে গনিমত বণ্টন করলেন এবং দশটি বকরিকে একটি উটের সমান গণ্য করলেন। দলে অগ্রবর্তীদের কাছ থেকে একটি উট ছুটে গিয়েছিল। অথচ তাদের সঙ্গে কোন অশ্বারোহী ছিল না। এ অবস্থায় এক ব্যক্তি উটটির প্রতি তীর নিক্ষেপ করলে আল্লাহ উটটিকে থামিয়ে দিলেন। তখন নবী করীম (ﷺ) বললেনঃ এ সকল চতুষ্পদ জন্তুর মধ্যে বন্য পশুর স্বভাব রয়েছে। কাজেই, তন্মধ্যে কোনটি যদি এরূপ করে, তাহলে তার সঙ্গে অনুরূপ ব্যবহার করবে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন