শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২৩. অছিয়াত ও উত্তরাধিকার সম্পত্তির অধ্যায়
হাদীস নং: ৭৪১২
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪১৩
যে পরিমাণে সম্পদ অসীয়ত করা বৈধ। রুগ্ন ব্যক্তি মৃত্যু শয্যায় হেবা, সদকা ও দাস মুক্তি ইত্যাদি যা কিছু সম্পন্ন করে
৭৪১২-১৩। ফাহদ ইবন সুলায়মান (রাহঃ) মুসআব ইবন সা'দ (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি তার পিতা সা'দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার সেবা ও শুশ্রুষা করতে আমার নিকট আগমন করেন। আমি বললাম, আমি কি আমার সমুদয় সম্পদ অসীয়ত করতে পারি? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, না। আমি বললাম, তাহলে কি আমার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ অসীয়ত করব? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, 'হ্যা এবং এক-তৃতীয়াংশই প্রচুর।
ফাহদ (রাহঃ) সা'দ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। অতঃপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা উল্লেখ করেন।
আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেন, মানুষ কি তার সমুদয় সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ সদকা বা অসীয়ত করতে পারে, না তার জন্যে এর চেয়ে কম অসীয়ত করা উচিত? এ সম্পর্কে উলামায়ে কিরামের মতভেদ রয়েছে। রুগ্ন ব্যক্তির জন্যে তার সম্পূর্ণ মালের এক-তৃতীয়াংশ যার জন্যে অসীয়ত করা বৈধ, তাদের জন্যে অসীয়ত করতে পারে। এ ব্যাপারে তারা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কর্তৃক অধিক পরিমাণ সদকা করা হতে নিষেধ করার পর সা'দ (রাযিঃ)-কে তার সম্পদ থেকে এক-তৃতীয়াংশ অসীয়ত করার জন্যে অনুমতি প্রদানকে দলীল হিসেবে পেশ করেন। এ প্রসঙ্গে আমি উপরে তিনটি হাদীস উল্লেখ করেছি।
ফাহদ (রাহঃ) সা'দ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। অতঃপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা উল্লেখ করেন।
আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেন, মানুষ কি তার সমুদয় সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ সদকা বা অসীয়ত করতে পারে, না তার জন্যে এর চেয়ে কম অসীয়ত করা উচিত? এ সম্পর্কে উলামায়ে কিরামের মতভেদ রয়েছে। রুগ্ন ব্যক্তির জন্যে তার সম্পূর্ণ মালের এক-তৃতীয়াংশ যার জন্যে অসীয়ত করা বৈধ, তাদের জন্যে অসীয়ত করতে পারে। এ ব্যাপারে তারা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কর্তৃক অধিক পরিমাণ সদকা করা হতে নিষেধ করার পর সা'দ (রাযিঃ)-কে তার সম্পদ থেকে এক-তৃতীয়াংশ অসীয়ত করার জন্যে অনুমতি প্রদানকে দলীল হিসেবে পেশ করেন। এ প্রসঙ্গে আমি উপরে তিনটি হাদীস উল্লেখ করেছি।
7412 - حَدَّثَنَا فَهْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ: ثنا الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: عَادَنِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ , أُوصِي بِمَالِي كُلِّهِ؟ قَالَ: «لَا» قُلْتُ: فَالنِّصْفِ؟ قَالَ «لَا» قُلْتُ: فَالثُّلُثِ؟ قَالَ: «نَعَمْ , وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ»
7413 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرٍ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ فَضْلٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: قَالَ سَعْدٌ , ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَهُ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَتَكَلَّمَ النَّاسُ فِي الرَّجُلِ , هَلْ يَسَعُهُ أَنْ يُوصِيَ بِثُلُثِ مَالِهِ , أَوْ يَنْبَغِي أَنْ يَقْصُرَ عَنْ ذَلِكَ؟ فَقَالَ قَوْمٌ: لَهُ أَنْ يُوصِيَ بِثُلُثِ مَالِهِ كَامِلًا , فِيمَا أَحَبَّ , بِمَا يَجُوزُ فِيهِ الْوَصَايَا. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِإِبَاحَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِسَعْدٍ , أَنْ يُوصِيَ بِثُلُثِ مَالِهِ , بَعْدَ مَنْعِهِ أَنْ يُوصِيَ بِمَا هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ , عَلَى مَا ذَكَرْنَا فِي هَذِهِ الْآثَارِ.
7413 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرٍ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ فَضْلٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: قَالَ سَعْدٌ , ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَهُ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَتَكَلَّمَ النَّاسُ فِي الرَّجُلِ , هَلْ يَسَعُهُ أَنْ يُوصِيَ بِثُلُثِ مَالِهِ , أَوْ يَنْبَغِي أَنْ يَقْصُرَ عَنْ ذَلِكَ؟ فَقَالَ قَوْمٌ: لَهُ أَنْ يُوصِيَ بِثُلُثِ مَالِهِ كَامِلًا , فِيمَا أَحَبَّ , بِمَا يَجُوزُ فِيهِ الْوَصَايَا. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِإِبَاحَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِسَعْدٍ , أَنْ يُوصِيَ بِثُلُثِ مَالِهِ , بَعْدَ مَنْعِهِ أَنْ يُوصِيَ بِمَا هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ , عَلَى مَا ذَكَرْنَا فِي هَذِهِ الْآثَارِ.
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছটিতে হযরত সা'দ রাযি. নিজ ঘটনা বর্ণনা করেন যে, তিনি বিদায় হজ্জের বছর মক্কা মুকার্রামায় কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। সংবাদ পেয়ে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে দেখতে আসেন। কোনও সাহাবী অসুস্থ হলে তাকে দেখতে আসা তাঁর সাধারণ অভ্যাস ছিল। তিনি অন্যদেরকেও রোগী দেখতে যাওয়ার প্রতি উৎসাহিত করেছেন। এটা তাঁর সুন্নত এবং এর অনেক ফযীলত।
হযরত সা'দ রাযি. বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে দেখতে আসলেন। আমি তাঁকে জানালাম যে, আমার ওয়ারিশ তো মাত্র আমার এক কন্যা। অন্যদিকে আমার সম্পদ প্রচুর। এ অবস্থায় আমি কি আমার সম্পদের তিন ভাগের দুইভাগ সদকা করে দিতে পারি? নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করলেন। তারপর তিনি অর্ধেকের কথা বললেন। তাও নিষেধ করলেন। শেষে যখন তিন ভাগের একভাগের কথা বললেন, তখন পরিমাণ হিসেবে এটাকেও বেশিই সাব্যস্ত করলেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও অনুমতি দিয়ে দিলেন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. কেউ অসুস্থ হয়েছে জানলে তাকে দেখতে যাওয়া উচিত। এটা প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত।
খ. উল্লেখযোগ্য কোনও কাজ করতে চাইলে সে ব্যাপারে বিজ্ঞজনের সংগে পরামর্শ করা উচিত, যেমন হযরত সা'দ ইবন আবূ ওয়াক্কাস রাযি. তার সম্পদ দান করে দেওয়ার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের সংগে পরামর্শ করেছেন।
গ. মুমূর্ষু ব্যক্তি যদি তার সম্পদ দান করতে চায় বা সে সম্পর্কে অসিয়ত করতে চায়, তবে তা সর্বোচ্চ এক–তৃতীয়াংশের ভেতর করতে পারে, এর বেশি করা জায়েয নয়। উত্তম হল এক–তৃতীয়াংশেরও নিচে রাখা
হযরত সা'দ রাযি. বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে দেখতে আসলেন। আমি তাঁকে জানালাম যে, আমার ওয়ারিশ তো মাত্র আমার এক কন্যা। অন্যদিকে আমার সম্পদ প্রচুর। এ অবস্থায় আমি কি আমার সম্পদের তিন ভাগের দুইভাগ সদকা করে দিতে পারি? নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করলেন। তারপর তিনি অর্ধেকের কথা বললেন। তাও নিষেধ করলেন। শেষে যখন তিন ভাগের একভাগের কথা বললেন, তখন পরিমাণ হিসেবে এটাকেও বেশিই সাব্যস্ত করলেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও অনুমতি দিয়ে দিলেন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. কেউ অসুস্থ হয়েছে জানলে তাকে দেখতে যাওয়া উচিত। এটা প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত।
খ. উল্লেখযোগ্য কোনও কাজ করতে চাইলে সে ব্যাপারে বিজ্ঞজনের সংগে পরামর্শ করা উচিত, যেমন হযরত সা'দ ইবন আবূ ওয়াক্কাস রাযি. তার সম্পদ দান করে দেওয়ার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের সংগে পরামর্শ করেছেন।
গ. মুমূর্ষু ব্যক্তি যদি তার সম্পদ দান করতে চায় বা সে সম্পর্কে অসিয়ত করতে চায়, তবে তা সর্বোচ্চ এক–তৃতীয়াংশের ভেতর করতে পারে, এর বেশি করা জায়েয নয়। উত্তম হল এক–তৃতীয়াংশেরও নিচে রাখা
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
