আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫৮- যবাহ করা ও শিকারের অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৫৪৭৮
২৯০০. ধনুকের সাহায্যে শিকার করা।
হাসান ও ইবরাহীম (রাহঃ) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি যদি শিকারকে আঘাত করে, ফলে তার হাত কিংবা পা পৃথক হয়ে যায়, তাহলে পৃথক অংশটি খাওয়া যাবে না, অবশিষ্ট অংশটি খাওয়া যাবে।
ইবরাহীম (রাহঃ) বলেছেনঃ তুমি যদি শিকারের ঘাড়ে কিংবা মধ্যভাগে আঘাত কর, তা হলে তা খাও। যায়দের সূত্রে আ‘মাশ (রাহঃ) বলেছেন যে, ‘আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘উদের গোত্রে একটি গাধা নাগালের বাইরে চলে গিয়েছিল। তখন তিনি আদেশ দিয়েছিলেনঃ তার দেহের যে অংশই সম্ভব হয় সেখানেই আঘাত কর। তারপর যে অংশটি ছিঁড়ে যাবে তা ফেলে দাও, আর অবশিষ্ট অংশ খাও।
হাসান ও ইবরাহীম (রাহঃ) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি যদি শিকারকে আঘাত করে, ফলে তার হাত কিংবা পা পৃথক হয়ে যায়, তাহলে পৃথক অংশটি খাওয়া যাবে না, অবশিষ্ট অংশটি খাওয়া যাবে।
ইবরাহীম (রাহঃ) বলেছেনঃ তুমি যদি শিকারের ঘাড়ে কিংবা মধ্যভাগে আঘাত কর, তা হলে তা খাও। যায়দের সূত্রে আ‘মাশ (রাহঃ) বলেছেন যে, ‘আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘উদের গোত্রে একটি গাধা নাগালের বাইরে চলে গিয়েছিল। তখন তিনি আদেশ দিয়েছিলেনঃ তার দেহের যে অংশই সম্ভব হয় সেখানেই আঘাত কর। তারপর যে অংশটি ছিঁড়ে যাবে তা ফেলে দাও, আর অবশিষ্ট অংশ খাও।
৫০৮৩। ‘আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়াযীদ (রাহঃ) ......... আবু সা‘লাবা আল-খুশানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলামঃ হে আল্লাহর নবী! আমরা আহলে কিতাব সম্প্রদায়ের এলাকায় বসবাস করি। আমরা কি তাদের থালায় খেতে পারি? তাছাড়া আমরা শিকারের অঞ্চলে থাকি। তীর-ধনুকের সাহায্যে শিকার করি এবং প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন কুকুর দিয়ে শিকার করে থাকি ও এমতাবস্থায় আমার জন্য কোনটা দুরস্ত হবে? উত্তরে তিনি বললেনঃ তুমি যে সকল আহলে কিতাবের কথা উল্লেখ করলে, তাতে বিধান হল: যদি ভিন্ন পাত্র পাও তাহলে তাদের পাত্রে খাবে না। আর যদি না পাও তাহলে তাদের পাত্রগুলো ধৌত করে নাও। তারপর তাতে আহার কর। আর যে প্রাণীকে তুমি তোমার তীর-ধনুকের সাহায্যে শিকার করেছ এবং বিসমিল্লাহ পড়েছ সেটি খাও। আর যে প্রাণীকে তুমি তোমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরের সাহায্যে শিকার করেছ এবং বিসমিল্লাহ পড়েছ, সেটি খাও। আর যে প্রাণীকে তুমি তোমার প্রশিক্ষণবিহীন কুকুর দ্বারা শিকার করেছ, সেটি যদি যবেহ করার সুযোগ পাও, তা হলে খেতে পার।


বর্ণনাকারী: