আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৭- নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৫২০
৩৫০। মুসল্লীর দেহ থেকে মহিলা কর্তৃক নাপাকী পরিষ্কার করা
৪৯৬। আহমদ ইবনে ইসহাক (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ [ইবনে মাসউদ (রাযিঃ)] থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কাবার নিকটে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছিলেন। আর কুরাইশের একদল তাদের মজলিসে ছিল। এমন সময় তাদের একজন বললঃ তোমরা কি এই রিয়াকারকে দেখনি? তোমাদের এমন কে আছে, যে অমুক গোত্রের উট যবেহ করার স্থান পর্যন্ত যেতে রাযী? সেখান থেকে গোবর, রক্ত ও গর্ভাশয় নিয়ে এসে অপেক্ষায় থাকবে যখন এ ব্যক্তি সিজদায় যাবে, তখন এগুলো তার দুই কাঁধের মাঝখানে রেখে দিবে। এ কাজের জন্য চরম হতভাগ্য ব্যক্তি (উকবা ইবনে আবু মুআইত) উঠে দাঁড়াল (এবং তা নিয়ে আসলো)। যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সিজদায় গেলেন তখন সে তাঁর দু’কাঁধের মাঝখানে সেগুলো রেখে দিল। নবী (ﷺ) সিজদায় স্থির রয়ে গেলেন। এতে তারা হাসাহাসি করতে লাগলো। এমনকি হাসতে হাসতে একজন আরেকজনের গায়ের উপর লুটিয়ে পড়তে লাগল।
(এই অবস্থা দেখে) এক ব্যক্তি ফাতিমা (রাযিঃ) এর কাছে গেল। তিনি তখন ছোট বালিকা ছিলেন। তিনি দৌড়ে চলে আসলেন। তখনও নবী (ﷺ) সিজদারত ছিলেন। ফাতিমা (রাযিঃ) সেগুলো তাঁর উপর থেকে ফেলে দিলেন এবং মুশরিকদের লক্ষ্য করে গালমন্দ করতে লাগলেন। যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামায শেষ করলেন তখন তিনি বললেনঃ “আল্লাহ! তুমি কুরাইশদের ধ্বংস কর”। তারপর তিনি নাম ধরে বললেন, হে আল্লাহ! তুমি আমর ইবনে হিশাম, উতবা ইবনে রবী’আ, শায়বা ইবনে রবী’আ, ওয়ালীদ ইবনে উতবা, উমাইয়া ইবনে খালাফ, উকবা ইবনে আবু মুআইত এবং উমারা ইবনে ওয়ালিদকে ধ্বংস কর”।

আব্দুল্লাহ ইবনে মাস’উদ (রাযিঃ) বলেনঃ আল্লাহর কসম! আমি এদের সবাইকে বদর যুদ্ধের দিন নিহত লাশ হয়ে পড়ে থাকতে দেখেছি। তারপর তাদের হিঁচড়ে বদরের কুয়ায় নিক্ষেপ করা হয়। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এই কুয়াবাসীদের উপর চিরকালের জন্য অভিশাপ।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন