আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫৪- তালাক - ডিভোর্স অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৯৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ৫৩২১ - ৫৩২২
২৮০৭. মহান আল্লাহর বাণীঃ তালাকপ্রাপ্তা মহিলারা তিন কুরু (হায়েয) পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।
ইবরাহীম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ‘ইদ্দতের মধ্যে বিয়ে করে, এরপর মহিলা তার কাছে তিন হায়েয পর্যন্ত অবস্থান করার পর দ্বিতীয় স্বামীও যদি তাকে তালাক দেয়, তবে সে প্রথম স্বামী থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। উক্ত তিন হায়েয তৃতীয় স্বামীর গ্রহণের জন্য যথেষ্ট হবেনা। (বরং তার জন্য নতুনভাবে ‘ইদ্দত পালন করতে হবে।)
কিন্তু যুহরী বলেছেনঃ যথেষ্ট হবে। সুফিয়ানও যুহরীর মত গ্রহণ করেছেন।
মা’মার বলেন, মহিলা কুরু মুক্ত হয়েছে তখনি বলা হয়, যখন তার হায়েয বা তুহুর আসে।
مَا قَرَأَتْ بِسَلًى قَطُّ “তখন বলা হয়, যখন মহিলা গর্ভে কোন সন্তান ধারণ না করে।” (অর্থাৎ ‘কুরু’ অর্থ ধারণ করা বা একত্রিত করাও হয়)
ইবরাহীম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ‘ইদ্দতের মধ্যে বিয়ে করে, এরপর মহিলা তার কাছে তিন হায়েয পর্যন্ত অবস্থান করার পর দ্বিতীয় স্বামীও যদি তাকে তালাক দেয়, তবে সে প্রথম স্বামী থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। উক্ত তিন হায়েয তৃতীয় স্বামীর গ্রহণের জন্য যথেষ্ট হবেনা। (বরং তার জন্য নতুনভাবে ‘ইদ্দত পালন করতে হবে।)
কিন্তু যুহরী বলেছেনঃ যথেষ্ট হবে। সুফিয়ানও যুহরীর মত গ্রহণ করেছেন।
মা’মার বলেন, মহিলা কুরু মুক্ত হয়েছে তখনি বলা হয়, যখন তার হায়েয বা তুহুর আসে।
مَا قَرَأَتْ بِسَلًى قَطُّ “তখন বলা হয়, যখন মহিলা গর্ভে কোন সন্তান ধারণ না করে।” (অর্থাৎ ‘কুরু’ অর্থ ধারণ করা বা একত্রিত করাও হয়)
৪৯৩৯। ইসমা‘ঈল (রাহঃ) ......... কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ ও সুলাইমান ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে ইয়াহয়া ইবনে সা‘ঈদ ইবনে ‘আস (রাহঃ) ‘আব্দুর রহমান ইবনে হাকাম এর কন্যাকে তালাক দিলে আব্দুর রহমান তাকে উম্মুল মূমিনীন ‘আয়েশা (রাযিঃ) -এর কাছে নিয়ে গেলে, তিনি মদীনার শাসনকর্তা মারওয়ানের কাছে বলে পঠালেনঃ আল্লাহকে ভয় কর, আর তাকে তার ঘরে ফিরিয়ে দাও।
মারওয়ান বলেন, সুলাইমানের বর্ণনায় আব্দুর রহমান আমাকে যুক্তিতে পরাজিত করেছে।
কাসিম ইবনে মুহাম্মাদের বর্ণনায় তিনি বলেন, ফাতিমা বিনতে কায়েসের ঘটনা কি আপনার কাছে পৌছেনি? তিনি বললেনঃ ফতিমা বিনতে কায়েসের ঘটনা স্মরণ না রাখলে তোমার কোন ক্ষতি হবে না। মারওয়ান বললেনঃ যদি মনে করেন ফাতিমাকে বের করার পিছনে তার দুর্ব্যবহার কাজ করেছে, তবে বলব, এখানে দুই দুর্ব্যবহার বিদ্যমান আছে।
মারওয়ান বলেন, সুলাইমানের বর্ণনায় আব্দুর রহমান আমাকে যুক্তিতে পরাজিত করেছে।
কাসিম ইবনে মুহাম্মাদের বর্ণনায় তিনি বলেন, ফাতিমা বিনতে কায়েসের ঘটনা কি আপনার কাছে পৌছেনি? তিনি বললেনঃ ফতিমা বিনতে কায়েসের ঘটনা স্মরণ না রাখলে তোমার কোন ক্ষতি হবে না। মারওয়ান বললেনঃ যদি মনে করেন ফাতিমাকে বের করার পিছনে তার দুর্ব্যবহার কাজ করেছে, তবে বলব, এখানে দুই দুর্ব্যবহার বিদ্যমান আছে।
بَاب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى وَالْمُطَلَّقَاتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنْفُسِهِنَّ ثَلَاثَةَ قُرُوءٍ وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ فِيمَنْ تَزَوَّجَ فِي الْعِدَّةِ فَحَاضَتْ عِنْدَهُ ثَلَاثَ حِيَضٍ بَانَتْ مِنْ الْأَوَّلِ وَلَا تَحْتَسِبُ بِهِ لِمَنْ بَعْدَهُ وَقَالَ الزُّهْرِيُّ تَحْتَسِبُ وَهَذَا أَحَبُّ إِلَى سُفْيَانَ يَعْنِي قَوْلَ الزُّهْرِيِّ وَقَالَ مَعْمَرٌ يُقَالُ أَقْرَأَتْ الْمَرْأَةُ إِذَا دَنَا حَيْضُهَا وَأَقْرَأَتْ إِذَا دَنَا طُهْرُهَا وَيُقَالُ مَا قَرَأَتْ بِسَلًى قَطُّ إِذَا لَمْ تَجْمَعْ وَلَدًا فِي بَطْنِهَا
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، أَنَّهُ سَمِعَهُ يَذْكُرُ، أَنَّ يَحْيَى بْنَ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، طَلَّقَ بِنْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَكَمِ، فَانْتَقَلَهَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، فَأَرْسَلَتْ عَائِشَةُ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ إِلَى مَرْوَانَ وَهْوَ أَمِيرُ الْمَدِينَةِ اتَّقِ اللَّهَ وَارْدُدْهَا إِلَى بَيْتِهَا. قَالَ مَرْوَانُ فِي حَدِيثِ سُلَيْمَانَ إِنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الْحَكَمِ غَلَبَنِي. وَقَالَ الْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ أَوَمَا بَلَغَكِ شَأْنُ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ قَالَتْ لاَ يَضُرُّكَ أَنْ لاَ تَذْكُرَ حَدِيثَ فَاطِمَةَ. فَقَالَ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ إِنْ كَانَ بِكِ شَرٌّ فَحَسْبُكِ مَا بَيْنَ هَذَيْنِ مِنَ الشَّرِّ.


বর্ণনাকারী: