আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫৪- তালাক - ডিভোর্স অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৯৭
২৭৯২. ইশারার মাধ্যমে তালাক ও অন্যান্য কাজ।
ইবনে ‘উমর (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ্ চোখের পানির জন্য শাস্তি দিবেন না; তবে শাস্তি দিবেন এটার জন্য এই বলে তিনি মুখের প্রতি ইঙ্গিত করলেন।
কা’ব ইবনে মালিক (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) আমার প্রতি ইশারা করে বললেনঃ অর্ধেক লও।
আসমা (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) সূর্যগ্রহণের নামায আদায় করেন। ‘আয়িশা (রাযিঃ) নামায আদায় করছিলেন। এমতাবস্থায় আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম ব্যাপার কি ? তিনি তাঁর মাথা দ্বারা সূর্যের প্রতি ইশারা করলেন। আমি বললামঃ কোন নিদর্শন নাকি ? তিনি মাথা নেড়ে বললেনঃ জি হ্যাঁ।
আনাস (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) তাঁর হাত দ্বারা আবু বকর (রাযিঃ)-এর প্রতি ইশারা করে সামনে যেতে বললেন।
ইবনে ‘আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) হাত দ্বারা ইশারা করে বললেনঃ কোন দোষ নেই।
আবু কাতাদা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) মুহরিম-এর (এহরামকারী) শিকার সম্বন্ধে বললেন, তোমাদের কেউ কি তাকে (মুহরিমকে) এ কাজে লিপ্ত হবার আদেশ করেছিল বা শিকারের প্রতি ইশারা করেছিলে ? লোকেরা বললঃ না। তিনি বললেন, তবে খাও।
৪৯১৫। ‘আলী ইবনে ‘আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... ‘আব্দুল্লাহ ইবনে আবু আওফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা কোন এক সফরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সাথে ছিলাম। সূর্য অস্ত গেলে তিনি এক ব্যক্তি (বিলাল) কে বললেনঃ নেমে যাও আমার জন্য ছাতু গোল। সে বললঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ যদি আপনি সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতেন। (তাহলে রোযাটি পূর্ণ হত)। তিনি পূনরায় বললেনঃ নেমে গিয়ে ছাতু গোল। সে বললঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! যদি সন্ধ্যা হতে দিতেন! এখনো তো দিন রয়ে গেছে। তিনি আবার বললেনঃ যাও, গিয়ে ছাতু গুলে আন। তৃতীয়বার আদেশ দেওয়ার পর সে নামল এবং তার জন্য ছাতু প্রস্তুত করল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তা পান করলেন। এরপর তিনি পূর্বদিকে হাত দিয়ে ইশারা করে বললেনঃ যখন তোমরা এদিক থেকে রাত নেমে আসতে দেখবে তখন রোযাদার ইফতার করবে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন