আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫৪- তালাক - ডিভোর্স অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৯১৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৯৪ - ৫২৯৫
২৭৯২. ইশারার মাধ্যমে তালাক ও অন্যান্য কাজ।
ইবনে ‘উমর (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ্ চোখের পানির জন্য শাস্তি দিবেন না; তবে শাস্তি দিবেন এটার জন্য এই বলে তিনি মুখের প্রতি ইঙ্গিত করলেন।
কা’ব ইবনে মালিক (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) আমার প্রতি ইশারা করে বললেনঃ অর্ধেক লও।
আসমা (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) সূর্যগ্রহণের নামায আদায় করেন। ‘আয়িশা (রাযিঃ) নামায আদায় করছিলেন। এমতাবস্থায় আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম ব্যাপার কি ? তিনি তাঁর মাথা দ্বারা সূর্যের প্রতি ইশারা করলেন। আমি বললামঃ কোন নিদর্শন নাকি ? তিনি মাথা নেড়ে বললেনঃ জি হ্যাঁ।
আনাস (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) তাঁর হাত দ্বারা আবু বকর (রাযিঃ)-এর প্রতি ইশারা করে সামনে যেতে বললেন।
ইবনে ‘আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) হাত দ্বারা ইশারা করে বললেনঃ কোন দোষ নেই।
আবু কাতাদা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) মুহরিম-এর (এহরামকারী) শিকার সম্বন্ধে বললেন, তোমাদের কেউ কি তাকে (মুহরিমকে) এ কাজে লিপ্ত হবার আদেশ করেছিল বা শিকারের প্রতি ইশারা করেছিলে ? লোকেরা বললঃ না। তিনি বললেন, তবে খাও।
ইবনে ‘উমর (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ্ চোখের পানির জন্য শাস্তি দিবেন না; তবে শাস্তি দিবেন এটার জন্য এই বলে তিনি মুখের প্রতি ইঙ্গিত করলেন।
কা’ব ইবনে মালিক (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) আমার প্রতি ইশারা করে বললেনঃ অর্ধেক লও।
আসমা (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) সূর্যগ্রহণের নামায আদায় করেন। ‘আয়িশা (রাযিঃ) নামায আদায় করছিলেন। এমতাবস্থায় আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম ব্যাপার কি ? তিনি তাঁর মাথা দ্বারা সূর্যের প্রতি ইশারা করলেন। আমি বললামঃ কোন নিদর্শন নাকি ? তিনি মাথা নেড়ে বললেনঃ জি হ্যাঁ।
আনাস (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) তাঁর হাত দ্বারা আবু বকর (রাযিঃ)-এর প্রতি ইশারা করে সামনে যেতে বললেন।
ইবনে ‘আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) হাত দ্বারা ইশারা করে বললেনঃ কোন দোষ নেই।
আবু কাতাদা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) মুহরিম-এর (এহরামকারী) শিকার সম্বন্ধে বললেন, তোমাদের কেউ কি তাকে (মুহরিমকে) এ কাজে লিপ্ত হবার আদেশ করেছিল বা শিকারের প্রতি ইশারা করেছিলে ? লোকেরা বললঃ না। তিনি বললেন, তবে খাও।
৪৯১৩। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবুল কাসিম (ﷺ) বলেছেনঃ জুম‘আর দিনে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে, যে মুহূর্তে কোন মুসলমান দাঁড়িয়ে নামায আদায় করে আল্লাহর কাছে যে কোন কল্যাণ চায় আল্লাহ অবশ্যই তা মঞ্জুর করে থাকেন। তিনি স্বীয় হাত দ্বারা ইশারা করেন এবং তার আঙ্গুলগুলো মধ্যমা ও কনিষ্ঠ আঙ্গুলের পেটে রাখেন। আমরা বললামঃ তিনি স্বল্পতা বুঝাতে চাচ্ছেন।
উওয়ায়সী (রাহঃ) বলেনঃ ইবরাহীম ইবনে সা'দ, শু‘বা ইবনে হাজ্জাজ থেকে, তিনি হিশাম ইবনে যায়দ থেকে তিনি আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর যুগে জনৈক ইয়াহুদী একটি বালিকার উপর নির্যাতন করে তার অলংকারাদি ছিনিয়ে নেয়। আর (পাথর দ্বারা) তার মস্তক চুর্ণ করে। সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করার পূর্ব মূহুর্তে তার পরিবারের লোকেরা তাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে নিয়ে আসে। তখন সে নিশ্চুপ ছিল।
রাসূসুল্লাহ (একজন নির্দোষ ব্যক্তির নাম উল্লেখ পূর্বক) তাকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমাকে কে হত্যা করেছে? অমুক? সে মাথার ইশারায় বললঃ না। তিনি অন্য এক নিরপরাধ ব্যক্তির নাম ধরে বললেন, তবে কি অমুক? সে ইশারায় জানাল, না। এবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হত্যাকারীর নাম উল্লেখ করে বললেনঃ তবে অমুক ব্যক্তি মেরেছে কি? সে মাথা নেড়ে বললঃ জি-হ্যাঁ। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর আদেশ উক্ত ব্যক্তির মাথা দু-পাথরের মাঝখানে রেখে চুর্ন করা হল।
উওয়ায়সী (রাহঃ) বলেনঃ ইবরাহীম ইবনে সা'দ, শু‘বা ইবনে হাজ্জাজ থেকে, তিনি হিশাম ইবনে যায়দ থেকে তিনি আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর যুগে জনৈক ইয়াহুদী একটি বালিকার উপর নির্যাতন করে তার অলংকারাদি ছিনিয়ে নেয়। আর (পাথর দ্বারা) তার মস্তক চুর্ণ করে। সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করার পূর্ব মূহুর্তে তার পরিবারের লোকেরা তাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে নিয়ে আসে। তখন সে নিশ্চুপ ছিল।
রাসূসুল্লাহ (একজন নির্দোষ ব্যক্তির নাম উল্লেখ পূর্বক) তাকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমাকে কে হত্যা করেছে? অমুক? সে মাথার ইশারায় বললঃ না। তিনি অন্য এক নিরপরাধ ব্যক্তির নাম ধরে বললেন, তবে কি অমুক? সে ইশারায় জানাল, না। এবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হত্যাকারীর নাম উল্লেখ করে বললেনঃ তবে অমুক ব্যক্তি মেরেছে কি? সে মাথা নেড়ে বললঃ জি-হ্যাঁ। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর আদেশ উক্ত ব্যক্তির মাথা দু-পাথরের মাঝখানে রেখে চুর্ন করা হল।
باب الإِشَارَةِ فِي الطَّلاَقِ وَالأُمُورِ وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لاَ يُعَذِّبُ اللَّهُ بِدَمْعِ الْعَيْنِ وَلَكِنْ يُعَذِّبُ بِهَذَا. فَأَشَارَ إِلَى لِسَانِهِ. وَقَالَ كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ أَشَارَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيَّ أَيْ خُذِ النِّصْفَ. وَقَالَتْ أَسْمَاءُ صَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْكُسُوفِ، فَقُلْتُ لِعَائِشَةَ مَا شَأْنُ النَّاسِ وَهْيَ تُصَلِّي، فَأَوْمَأَتْ بِرَأْسِهَا إِلَى الشَّمْسِ، فَقُلْتُ آيَةٌ فَأَوْمَأَتْ بِرَأْسِهَا أَنْ نَعَمْ. وَقَالَ أَنَسٌ أَوْمَأَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ إِلَى أَبِي بَكْرٍ أَنْ يَتَقَدَّمَ. وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَوْمَأَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ لاَ حَرَجَ. وَقَالَ أَبُو قَتَادَةَ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الصَّيْدِ لِلْمُحْرِمِ: آحَدٌ مِنْكُمْ أَمَرَهُ أَنْ يَحْمِلَ عَلَيْهَا أَوْ أَشَارَ إِلَيْهَا. قَالُوا لاَ. قَالَ: فَكُلُوا
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ عَلْقَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ أَبُو الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم " فِي الْجُمُعَةِ سَاعَةٌ لاَ يُوَافِقُهَا مُسْلِمٌ قَائِمٌ يُصَلِّي، فَسَأَلَ اللَّهَ خَيْرًا، إِلاَّ أَعْطَاهُ ". وَقَالَ بِيَدِهِ، وَوَضَعَ أَنْمَلَتَهُ عَلَى بَطْنِ الْوُسْطَى وَالْخِنْصَرِ. قُلْنَا يُزَهِّدُهَا.
وَقَالَ الأُوَيْسِيُّ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ شُعْبَةَ بْنِ الْحَجَّاجِ، عَنْ هِشَامِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ عَدَا يَهُودِيٌّ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى جَارِيَةٍ، فَأَخَذَ أَوْضَاحًا كَانَتْ عَلَيْهَا وَرَضَخَ رَأْسَهَا، فَأَتَى بِهَا أَهْلُهَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهْىَ فِي آخِرِ رَمَقٍ، وَقَدْ أُصْمِتَتْ، فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَتَلَكِ فُلاَنٌ ". لِغَيْرِ الَّذِي قَتَلَهَا، فَأَشَارَتْ بِرَأْسِهَا أَنْ لاَ، قَالَ فَقَالَ لِرَجُلٍ آخَرَ غَيْرِ الَّذِي قَتَلَهَا، فَأَشَارَتْ أَنْ لاَ، فَقَالَ " فَفُلاَنٌ ". لِقَاتِلِهَا فَأَشَارَتْ أَنْ نَعَمْ، فَأَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرُضِخَ رَأْسُهُ بَيْنَ حَجَرَيْنِ.
وَقَالَ الأُوَيْسِيُّ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ شُعْبَةَ بْنِ الْحَجَّاجِ، عَنْ هِشَامِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ عَدَا يَهُودِيٌّ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى جَارِيَةٍ، فَأَخَذَ أَوْضَاحًا كَانَتْ عَلَيْهَا وَرَضَخَ رَأْسَهَا، فَأَتَى بِهَا أَهْلُهَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهْىَ فِي آخِرِ رَمَقٍ، وَقَدْ أُصْمِتَتْ، فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَتَلَكِ فُلاَنٌ ". لِغَيْرِ الَّذِي قَتَلَهَا، فَأَشَارَتْ بِرَأْسِهَا أَنْ لاَ، قَالَ فَقَالَ لِرَجُلٍ آخَرَ غَيْرِ الَّذِي قَتَلَهَا، فَأَشَارَتْ أَنْ لاَ، فَقَالَ " فَفُلاَنٌ ". لِقَاتِلِهَا فَأَشَارَتْ أَنْ نَعَمْ، فَأَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرُضِخَ رَأْسُهُ بَيْنَ حَجَرَيْنِ.
