আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫৪- তালাক - ডিভোর্স অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৬৪
২৭৭৪. যে (তার স্ত্রীকে) বলল- আমি তোমাকে পৃথক করলাম; বা আমি তোমাকে বিদায় দিলাম; বা ‘তুমি মুক্ত বা বন্ধনহীন’ অথবা এমন কোন বাক্য উচ্চারণ করল যা দ্বারা তালাক উদ্দেশ্য হয়। তবে তা তার নিয়তের উপর নির্ভর করবে। মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘তাদেরকে সৌজন্যের সাথে বিদায় দাও’’, তিনি আরও বলেন- আমি তোমাদেরকে সৌজন্যের সাথে বিদায় দিচ্ছি। আরও বলেন- ‘‘হয়ত বৈধ পন্থায় ফিরিয়ে রাখবে নতুবা উত্তমরূপে ছেড়ে দিবে।’’ আরও বলেন, তাদেরকে সৌজন্যের সাথে বিচ্ছিন্ন করে দাও। আর ‘আয়িশা (রাযিঃ) বলেনঃ নবী (ﷺ) জানতেন আমার মা-বাপ আমাকে তাঁর সাথে সম্পর্কচ্ছেদের আদেশ দিবেন না।
৪৮৮৭। মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... ‘আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ জনৈক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তালাক দিলে সে (স্ত্রী) অন্য স্বামীকে বিবাহ করে। পরে সেও তাকে তালাক দেয়। তার লিঙ্গ ছিল কাপড়ের কিনারা সদৃশ। সুতরাং মহিলা তার থেকে নিজের মনবাসনা সিদ্ধ করতে পারতো না। দ্বিতীয় স্বামী অবিলন্বে তালাক দিলে সে (মহিলা) নবী (ﷺ) -এর নিকট এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার স্বামী আমাকে তালাক দিলে আমি অন্য স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। এরপর সে আমার সাথে সংগত হয়। কিন্তু তার সাথে কাপড়ের কিনারা সদৃশ বৈ কিছুই নেই। তাই সে একবারের অধিক আমার নিকটস্থ হল না এবং আপন মনবাসনা সিদ্ধ করতে সক্ষম হল না। এরূপ অবস্থায় আমি আমার প্রথম স্বামীর জন্য বৈধ হব কি? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমি ততক্ষণ পর্যন্ত তোমার প্রথম স্বামীর জন্য হালাল হবে না, যতক্ষণ না দ্বিতীয় স্বামী তোমার কিছু স্বাদ উপভোগ করে আর তুমিও তার কিছু স্বাদ আস্বাদন কর।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন