আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫৪- তালাক - ডিভোর্স অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৮৮১
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৫৯
- তালাক - ডিভোর্স অধ্যায়
২৭৭২. যারা তিন তালাককে জায়েয মনে করেন।
যেমন মহান আল্লাহর বাণীঃ এই তালাক দু‘বার, এরপর হয় সে বিধিমত রেখে দিবে অথবা সদয়ভাবে মুক্ত করে দিবে। (২ঃ২২৯)
ইবনে যুবাইর (রাহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি অসুস্থ অবস্থায় তালাক দেয় তার তিন তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী ওয়ারিস হবে বলে আমি মনে করি না।
শা’বী (রাহঃ) বলেন ওয়ারিস হবে।
ইবনে শুবরুমা জিজ্ঞাসা করলেনঃ ইদ্দত শেষ হওয়ার পর সে মহিলা অন্যত্র বিবাহ করতে পারবে কি ? তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। ইবনে শুবরুমা পুনরায় প্রশ্ন করলেনঃ যদি দ্বিতীয় স্বামীও মারা যায় তাহলে? (অর্থাৎ আপনার মতানুযায়ী উক্ত স্ত্রীর উভয় ওয়ারিস হওয়া জরুরী হয়) এরপর শা’বী তাঁর পূর্ব মত প্রত্যাহার করেন।
যেমন মহান আল্লাহর বাণীঃ এই তালাক দু‘বার, এরপর হয় সে বিধিমত রেখে দিবে অথবা সদয়ভাবে মুক্ত করে দিবে। (২ঃ২২৯)
ইবনে যুবাইর (রাহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি অসুস্থ অবস্থায় তালাক দেয় তার তিন তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী ওয়ারিস হবে বলে আমি মনে করি না।
শা’বী (রাহঃ) বলেন ওয়ারিস হবে।
ইবনে শুবরুমা জিজ্ঞাসা করলেনঃ ইদ্দত শেষ হওয়ার পর সে মহিলা অন্যত্র বিবাহ করতে পারবে কি ? তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। ইবনে শুবরুমা পুনরায় প্রশ্ন করলেনঃ যদি দ্বিতীয় স্বামীও মারা যায় তাহলে? (অর্থাৎ আপনার মতানুযায়ী উক্ত স্ত্রীর উভয় ওয়ারিস হওয়া জরুরী হয়) এরপর শা’বী তাঁর পূর্ব মত প্রত্যাহার করেন।
৪৮৮১। ‘আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... সাহল ইবনে সা’দ সা‘ঈদী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, ‘উওয়াইমির ‘আজলানী (রাযিঃ) ‘আসেম ইবনে ‘আদী আনসারী (রাযিঃ) -এর নিকট এলে তাকে বললেনঃ হে ‘আসিম! যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে অপর কোন পুরুষকে (ব্যভিচার- রত) দেখতে পায় এবং সে তাকে হত্যা করে ফেলে, তবে কি তোমরা তাকে হত্যা করবে? (আর যদি হত্যা না করে) তবে তাকে কি করবে? হে ‘আসিম! আমার পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে তুমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা কর। ‘আসিম (রাযিঃ) এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ ধরনের জিজ্ঞাসাবাদকে অপছন্দনীয় এবং দূষনীয় মনে করলেন। এমন কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর উক্তি শুনে ‘আসিম (রাযিঃ) ঘাবড়ে গেলেন।
এরপর ‘আসিম (রাযিঃ) স্বীয় গৃহে প্রত্যাবর্তন করলে ‘উওয়াইমির (রাযিঃ) এসে বললেনঃ হে ‘আসিম! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তোমাকে কি জবাব দিলেন? ‘আসিম (রাযিঃ) বললেনঃ তুমি কল্যাণকর কিছু নিয়ে আমার কাছে আসনি। তোমার জিজ্ঞাসিত বিষয়কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) না পছন্দ করেছেন। ‘উওয়াইমির (রাযিঃ) বললেনঃ আল্লাহর কসম! (উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত) এ বিষয়ে আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করতেই থাকব।
‘উওয়াইমির (রাযিঃ) এসে লোকদের মাঝে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে পেলেন এবং বললেনঃ হে আল্লাহর রাসুল! যদি কেউ তার স্ত্রীর সাথে পরপুরুষকে (ব্যভিচার- রত) দেখতে পায়। আর তাকে হত্যা করে ফেলে তবে আপনারা কি তাকে হত্যা করবেন? আর যদি সে (স্বামী) হত্যা না করে, তবে কি করবে? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন তুমি ও তোমার স্ত্রীর ব্যাপারে আয়াত অবর্তীর্ন হয়েছে। সুতরাং তুমি গিয়ে তাঁকে (তোমার পত্নীকে) নিয়ে আস! সাহল (রাযিঃ) বলেন, এরপর তারা দু‘জনে লি‘আন করলো।
আমি সে সময় (অন্যান্য) লোকের সাথে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে ছিলাম। উভয়ের লি‘আন করা হয়ে গেলে ‘উওয়াইমির (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এখন যদি আমি তাকে (স্ত্রীকে) রাখি তবে এটা তার উপর মিথ্যারোপ করা হবে। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে আদেশ দেওয়ার পূর্বেই তিনি তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিলেন।
ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, পরবর্তীতে লি‘আনকারীদের পন্থা হল ঐ বিচ্ছিন্নতা।
এরপর ‘আসিম (রাযিঃ) স্বীয় গৃহে প্রত্যাবর্তন করলে ‘উওয়াইমির (রাযিঃ) এসে বললেনঃ হে ‘আসিম! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তোমাকে কি জবাব দিলেন? ‘আসিম (রাযিঃ) বললেনঃ তুমি কল্যাণকর কিছু নিয়ে আমার কাছে আসনি। তোমার জিজ্ঞাসিত বিষয়কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) না পছন্দ করেছেন। ‘উওয়াইমির (রাযিঃ) বললেনঃ আল্লাহর কসম! (উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত) এ বিষয়ে আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করতেই থাকব।
‘উওয়াইমির (রাযিঃ) এসে লোকদের মাঝে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে পেলেন এবং বললেনঃ হে আল্লাহর রাসুল! যদি কেউ তার স্ত্রীর সাথে পরপুরুষকে (ব্যভিচার- রত) দেখতে পায়। আর তাকে হত্যা করে ফেলে তবে আপনারা কি তাকে হত্যা করবেন? আর যদি সে (স্বামী) হত্যা না করে, তবে কি করবে? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন তুমি ও তোমার স্ত্রীর ব্যাপারে আয়াত অবর্তীর্ন হয়েছে। সুতরাং তুমি গিয়ে তাঁকে (তোমার পত্নীকে) নিয়ে আস! সাহল (রাযিঃ) বলেন, এরপর তারা দু‘জনে লি‘আন করলো।
আমি সে সময় (অন্যান্য) লোকের সাথে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে ছিলাম। উভয়ের লি‘আন করা হয়ে গেলে ‘উওয়াইমির (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এখন যদি আমি তাকে (স্ত্রীকে) রাখি তবে এটা তার উপর মিথ্যারোপ করা হবে। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে আদেশ দেওয়ার পূর্বেই তিনি তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিলেন।
ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, পরবর্তীতে লি‘আনকারীদের পন্থা হল ঐ বিচ্ছিন্নতা।
كتاب الطلاق
باب مَنْ أَجَازَ طَلاَقَ الثَّلاَثِ لِقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {الطَّلاَقُ مَرَّتَانِ فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ}. وَقَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ فِي مَرِيضٍ طَلَّقَ لاَ أَرَى أَنْ تَرِثَ مَبْتُوتَتُهُ. وَقَالَ الشَّعْبِيُّ تَرِثُهُ. وَقَالَ ابْنُ شُبْرُمَةَ. تَزَوَّجُ إِذَا انْقَضَتِ الْعِدَّةُ قَالَ نَعَمْ، قَالَ أَرَأَيْتَ إِنْ مَاتَ الزَّوْجُ الآخَرُ فَرَجَعَ عَنْ ذَلِكَ
5259 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ السَّاعِدِيَّ، أَخْبَرَهُ: أَنَّ عُوَيْمِرًا العَجْلاَنِيَّ جَاءَ إِلَى عَاصِمِ بْنِ عَدِيٍّ الأَنْصَارِيِّ، فَقَالَ لَهُ: يَا عَاصِمُ، أَرَأَيْتَ رَجُلًا وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا، أَيَقْتُلُهُ فَتَقْتُلُونَهُ، أَمْ كَيْفَ يَفْعَلُ؟ سَلْ لِي يَا عَاصِمُ عَنْ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَأَلَ عَاصِمٌ عَنْ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَكَرِهَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ المَسَائِلَ وَعَابَهَا، حَتَّى كَبُرَ عَلَى عَاصِمٍ مَا سَمِعَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا رَجَعَ عَاصِمٌ إِلَى أَهْلِهِ، جَاءَ عُوَيْمِرٌ فَقَالَ: يَا عَاصِمُ، مَاذَا قَالَ لَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ عَاصِمٌ: لَمْ تَأْتِنِي بِخَيْرٍ، قَدْ كَرِهَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ المَسْأَلَةَ الَّتِي سَأَلْتُهُ عَنْهَا، قَالَ عُوَيْمِرٌ: وَاللَّهِ لاَ أَنْتَهِي حَتَّى أَسْأَلَهُ عَنْهَا، فَأَقْبَلَ عُوَيْمِرٌ حَتَّى أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسْطَ النَّاسِ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ رَجُلًا وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا، أَيَقْتُلُهُ فَتَقْتُلُونَهُ، أَمْ كَيْفَ يَفْعَلُ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ فِيكَ وَفِي صَاحِبَتِكَ، فَاذْهَبْ فَأْتِ بِهَا» قَالَ سَهْلٌ: فَتَلاَعَنَا وَأَنَا مَعَ النَّاسِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا فَرَغَا، قَالَ عُوَيْمِرٌ: كَذَبْتُ عَلَيْهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ أَمْسَكْتُهَا، فَطَلَّقَهَا ثَلاَثًا، قَبْلَ أَنْ يَأْمُرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: «فَكَانَتْ تِلْكَ سُنَّةَ المُتَلاَعِنَيْنِ»