শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

১১. শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায়

হাদীস নং: ৪৯৯৮
১. ইচ্ছাকৃত হত্যা এবং যখম করার শাস্তি
৪৯৯৮। ইউনুস (রাহঃ) ….. ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, বনী ইসরাঈলদের মাঝে কিসাস ছিল, তাদের মাঝে দিয়াত ছিল না, আল্লাহ্ তা'আলা এই উম্মতের ব্যাপারে বলেছেনঃكُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِصَاصُ فِي الْقَتْلَى الْحَرُّ بِالْحُرِّ فَمَنْ عُفِيَ لَهُ مِنْ أَخِيهِ شَيْءٌ

অর্থাৎঃ (হে মু'মিনগণ) নিহতদের ব্যাপারে তােমাদের জন্য কিসাসের বিধান দেয়া হয়েছে। স্বাধীন ব্যক্তির বদলে স্বাধীন ব্যক্তি... কিন্তু তার ভাইয়ের পক্ষ হতে কিছুটা ক্ষমা প্রদর্শন করা হলে । (সূরাঃ ২ আয়াত ১৭৮) আর ইচ্ছাকৃত হত্যা করার অবস্থায় ক্ষমা হলাে দিয়াত গ্রহণ করা। বস্তুত এটা তােমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে প্রথমােক্ত উম্মতদের অপেক্ষা (তােমাদের উপর) ভার লাঘব।

ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) বলছেন যে, বনী ইসরাঈলদের মাঝে দিয়াত ছিলনা। অর্থাৎ তাদের উপর দিয়াত গ্রহণ করা হারাম ছিল। অথবা এর কারণে কিসাস ছেড়ে দিবে যতক্ষণ না রক্ত প্রবাহিত করবে (অর্থাৎ রক্ত প্রবাহিত করা জরুরী ছিল) এটা তাদের উপর ফরয ছিল। আল্লাহ্ তা'আলা এই উম্মতের উপর সহজ করে দিয়েছেন এবং এই বাণী দ্বারা- فَمَنْ عُفِيَ لَهُ مِنْ أَخِيهِ شَيْءٌ فَاتِّبَاعٌ بِالْمَعْرُوفِ وَأَدَاءٌ إِلَيْهِ بِإِحْسَانٍ

(কিন্তু তার ভাইয়ের পক্ষ হতে কিছুটা ক্ষমা প্রদর্শন করা হলে যথাযথ বিধির অনুসরণ করা ও সততার সাথে তার দেয় আদায় বিধেয়- সূরাঃ ২ আয়াত ১৭৮) ঐ প্রথমােক্ত বিধানকে রহিত করে দিয়েছে। সততার সাথে আদায় করার অর্থ হলাে যখন এর আদায় করাটা ওয়াজিব হয়। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যে আলােচনা করা হয়েছে তা আমি এই অনুচ্ছেদের যথাস্থানে অতি সত্বর বর্ণনা করব ইনশা আল্লাহ তা'আলা।

রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাদের জন্য ঐ বিষয়টি এই দিক দিয়েও বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, যার কোন পরিজন নিহত হয়, তার ইখতিয়ার রয়েছেঃ হয়ত কিসাস গ্রহণ করবে, অথবা ক্ষমা করে দিবে, নয়ত দিয়াত উসূল করবে, যা এই উম্মতের জন্য বৈধ করা হয়েছে। আর যখন তাদেরকে দিয়াত দেয়া হবে তখন তা তাদের জন্য গ্রহণ করাটা জায়িয। এই হাদীসটি একথারও সম্ভাবনা রাখে এবং কারাে জন্য জায়িয নেই যে, যখন কোন হাদীসে এরূপ সমানভাবে দুই সম্ভাবনা রাখে তখন একটিকে পরিত্যাগ করে হাদীসটিকে অপরটির উপর প্রয়ােগ করা। তবে হ্যাঁ, এর উপর অন্য কোন দলীল পাওয়া গেলে যা উক্ত অর্থ উদ্দেশ্য হওয়ার অনুকূলে প্রমাণ বহন করে (তখন সেই অর্থই উদ্দেশ্য নিবে)।

ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিক্তিক দলীলঃ বস্তুত এ বিষয়ে আমরা গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করেছি যে, সশ্লিষ্ট বিষয়ে এরূপ কোন কিছু পাই কি-না যা তা থেকে এক বিষয়বস্তুর উপর প্রমাণ বহন করবে। প্রথমােক্ত মত পােষণকারীগণ বলেছেন, আল্লাহ্ তা'আলা বলেছেনঃفَمَنْ عُفِيَ لَهُ مِنْ أَخِيهِ شَيْءٌ فَاتِّبَاعٌ بِالْمَعْرُوفِ وَأَدَاءٌ إِلَيْهِ بِإِحْسَانٍ ذَلِكَ تَخْفِيفٌ مِنْ رَبِّكُمْ وَرَحْمَةٌ

অর্থাৎঃ কিন্তু তার ভাইয়ের পক্ষ হতে কিছুটা ক্ষমা প্রদর্শন করা হলে যথাযথ বিধির অনুসরণ করা ও সততার সাথে তার দেয় আদায় বিধেয়। এটা তােমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে ভার লাঘব ও অনুগ্রহ। ….. (সূরাঃ ২ আয়াত ১৭৮)

সুতরাং আল্লাহ্ তা'আলা এই আয়াতে বলেছেন যে, ওলীর জন্য ক্ষমা করা এবং হত্যাকারী থেকে উত্তমভাবে দাবি করার অধিকার রয়েছে। তাঁরা এর দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন যে, ওলীদ্বয়ের যখন ক্ষমা করে দেয়ার অধিকার রয়েছে তাহলে সে হত্যাকারী থেকে দিয়াত নিতে পারবে। যদিও তার ক্ষমা করে দেয়ার প্রাক্কালে এই শর্ত ছিল না ।

তাদেরকে (জবাবে) বলা হবে যে, যা কিছু তােমরা উল্লেখ করেছ তাতে এ সম্পর্কে কোন দলীল নেই এবং এতে কয়েকটি বিষয়ের সম্ভাবনা রয়েছে, যা থেকে একটি হলাে সেটি, যা তােমরা বর্ণনা করেছ। এটারও সম্ভাবনা আছে যে, “যাকে তার ভাইয়ের পক্ষ থেকে কিছুটা ক্ষমা করা হয়” দ্বারা সেটাই উদ্দেশ্য, যা আমরা বলছি যে, তা হত্যাকারীর সম্মতিতে (কিসাস) ক্ষমা করে তার পরিবর্তে দিয়াত গ্রহণ করবে। আবার এই সম্ভাবনা রয়েছে যে, বক্ষমান এই আয়াত সেই খুন বা হত্যা সম্পর্কে যা এক দলের মাঝে শরীক হয় যে, যদি তাদের এক জন ক্ষমা করে দেয় তাহলে অবশিষ্টরা হত্যাকারী থেকে নিজ নিজ অংশের দিয়াত উত্তমভাবে দাবি করবে এবং সেও তাদেরকে তা উত্তমভাবে প্রদান করবে।
বস্তুত এগুলাে হলাে সেই সমস্ত অর্থাবলী, যা সংশ্লিষ্ট আয়াতের ব্যাপারে আলিমগণ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এগুলাে থেকে কোনটিই অপরটির বিরুদ্ধে প্রমাণ নয় যতক্ষণ না অপর কোন আয়াতে অন্য দলীল হবে, যার অর্থের উপরে সকলে একমত অথবা ‘সুন্নাহ’ কিংবা ‘ইজমা’ থেকে দলীল পাওয়া যাবে। নবী(ﷺ) থেকে বর্ণিত আবু শুরায়হ (রাযিঃ)-এর হাদীসে রয়েছে যে, সে তিনটির কোন একটির ইখতিয়ার প্রাপ্তঃ হয়ত ক্ষমা করে দিবে, অথবা কিসাস নিবে, নয় ত দিয়াত গ্রহণ করবে। এখানে তিনি(ﷺ) ক্ষমা করা এবং দিয়াত আদায় করা একটিকে অপরটি থেকে ভিন্ন সাব্যস্ত করেছেন।

এতে প্রমাণিত হলাে যে, যখন সে ক্ষমা করে দিবে তখন আর দিয়াত গ্রহণ হবে না এবং যখন খুন ক্ষমা করে দেয়া অবস্থায় দিয়াত আবশ্যক হয় না তখন এ দ্বারা সাব্যস্ত হলাে যে, যে বস্তু ওয়াজিব হলাে কিসাস। আর দিয়াত গ্রহণ করা কিসাসের বদল হিসাবে তার জন্য জায়িয সাব্যস্ত করা হয়েছে। বস্তুত যে সমস্ত জিনিস বদল হয় সেগুলাে আমাদের জানা মতে সেই সমস্ত লোকদের সম্মতিতে ওয়াজিব হয়, যাদের জন্য তা ওয়াজিব হয়। যখন কিসাসের বিষয়ে এটা সাব্যস্ত হলাে তাহলে যা কিছু আমরা উল্লেখ করেছি তাও সাব্যস্ত হয়ে গিয়েছে। আর আমাদের বিরােধীদের বক্তব্য খণ্ডিত হয়ে গেল।

যখন প্রথমােক্ত মত পােষণকারীদের বক্তব্যের সপক্ষে কোন দলীল নেই। তাই আমরা লক্ষ্য করছি যে, অন্যদের জন্য এরূপ কোন রিওয়ায়াত আছে কিনা, যা তাদের বক্তব্যের সপক্ষে প্রমাণ বহন করে। নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত আমরা পেয়েছিঃ
4998 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ , عَنْ مُجَاهِدٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ , قَالَ: كَانَ الْقِصَاصُ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلَمْ يَكُنْ فِيهِمْ دِيَةٌ. فَقَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ لِهَذِهِ الْأُمَّةِ { «كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِصَاصُ فِي الْقَتْلَى» } [البقرة: 178] الْحَرُّ بِالْحُرِّ «إِلَى قَوْلِهِ {» فَمَنْ عُفِيَ لَهُ مِنْ أَخِيهِ شَيْءٌ "} [البقرة: 178] وَالْعَفْوُ فِي أَنْ يَقْبَلَ الدِّيَةَ فِي الْعَمْدِ { «ذَلِكَ تَخْفِيفٌ مِنْ رَبِّكُمْ» } [البقرة: 178] مِمَّا كَانَ كُتِبَ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ فَأَخْبَرَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا أَنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ لَمْ يَكُنْ فِيهِمْ دِيَةٌ , أَيْ: أَنَّ ذَلِكَ كَانَ حَرَامًا عَلَيْهِمْ أَنْ يَأْخُذُوهُ أَوْ يَتَعَرَّضُوا بِالدَّمِ بَدَلًا أَوْ يَتْرُكُوهُ حَتَّى يَسْفِكُوهُ وَأَنَّ ذَلِكَ مِمَّا كَانَ كُتِبَ عَلَيْهِمْ. فَخَفَّفَ اللهُ تَعَالَى عَنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ وَنَسَخَ ذَلِكَ الْحُكْمَ بِقَوْلِهِ { «فَمَنْ عُفِيَ لَهُ مِنْ أَخِيهِ شَيْءٌ فَاتِّبَاعٌ بِالْمَعْرُوفِ وَأَدَاءٌ إِلَيْهِ بِإِحْسَانٍ» } [البقرة: 178] مَعْنَاهُ إِذَا وَجَبَ الْأَدَاءُ. وَسَنُبَيِّنُ مَا قِيلَ فِي ذَلِكَ فِي مَوْضِعِهِ مِنْ هَذَا الْبَابِ إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. فَبَيَّنَ لَهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَلِكَ أَيْضًا عَلَى هَذِهِ الْجِهَةِ فَقَالَ «مَنْ قُتِلَ لَهُ وَلِيٌّ فَهُوَ بِالْخِيَارِ بَيْنَ أَنْ يَقْتَصَّ أَوْ يَعْفُوَ أَوْ يَأْخُذَ الدِّيَةَ» الَّتِي أُبِيحَتْ لِهَذِهِ الْأُمَّةِ وَجَعَلَ لَهُمْ أَخْذَهَا إِذَا أُعْطَوْهَا. [ص:176] هَذَا وَجْهٌ يَحْتَمِلُهُ هَذَا الْحَدِيثُ. وَلَيْسَ لِأَحَدٍ إِذَا كَانَ حَدِيثٌ مِثْلَ هَذَا يَحْتَمِلُ وَجْهَيْنِ مُتَكَافِئَيْنِ أَنْ يَعْطِفَهُ عَلَى أَحَدِهِمَا دُونَ الْآخَرِ إِلَّا بِدَلِيلٍ مِنْ غَيْرِهِ يَدُلُّ أَنَّ مَعْنَاهُ عَلَى مَا عَطَفَهُ عَلَيْهِ. فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ هَلْ نَجِدُ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا يَدُلُّ عَلَى شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ؟ فَقَالَ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى: فَقَدْ قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ { «فَمَنْ عُفِيَ لَهُ مِنْ أَخِيهِ شَيْءٌ فَاتِّبَاعٌ بِالْمَعْرُوفِ وَأَدَاءٌ إِلَيْهِ بِإِحْسَانٍ ذَلِكَ تَخْفِيفٌ مِنْ رَبِّكُمْ وَرَحْمَةٌ» } [البقرة: 178] الْآيَةَ. فَأَخْبَرَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي هَذِهِ الْآيَةِ أَنَّ لِلْوَلِيِّ أَنْ يَعْفُوَ أَوْ يَتَّبِعَ الْقَاتِلَ بِإِحْسَانٍ فَاسْتَدَلُّوا بِذَلِكَ أَنَّ لِلْوَلِيِّ - إِذَا عَفَا - أَنْ يَأْخُذَ الدِّيَةَ مِنَ الْقَاتِلِ وَإِنْ لَمْ يَكُنِ اشْتَرَطَ ذَلِكَ عَلَيْهِ فِي عَفْوِهِ عَنْهُ. قِيلَ لَهُمْ: مَا فِي هَذَا دَلِيلٌ عَلَى مَا ذَكَرْتُمْ وَقَدْ يَحْتَمِلُ ذَلِكَ وُجُوهًا أَحَدُهَا مَا وَصَفْتُمْ. وَيَحْتَمِلُ أَيْضًا {فَمَنْ عُفِيَ لَهُ مِنْ أَخِيهِ شَيْءٌ} [البقرة: 178] عَلَى الْجِهَةِ الَّتِي قُلْنَا بِرِضَاءِ الْقَاتِلِ أَنْ يَعْفُوَ عَنْهُ عَلَى مَا يُؤْخَذُ مِنْهُ. وَقَدْ يَحْتَمِلُ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ فِي الدَّمِ الَّذِي يَكُونُ بَيْنَ جَمَاعَةٍ فَيَعْفُو أَحَدُهُمْ فَيَتَّبِعُ الْبَاقُونَ الْقَاتِلَ بِحِصَصِهِمْ مِنَ الدِّيَةِ بِالْمَعْرُوفِ وَيُؤَدِّي ذَلِكَ إِلَيْهِمْ بِإِحْسَانٍ. هَذِهِ تَأْوِيلَاتٌ قَدْ تَأَوَّلَتِ الْعُلَمَاءُ هَذِهِ الْآيَةَ عَلَيْهَا فَلَا حُجَّةَ فِيهَا لِبَعْضٍ عَلَى بَعْضٍ إِلَّا بِدَلِيلٍ آخَرَ فِي آيَةٍ أُخْرَى مُتَّفَقٌ عَلَى تَأْوِيلِهَا أَوْ سُنَّةٍ أَوْ إِجْمَاعٍ. وَفِي حَدِيثِ أَبِي شُرَيْحٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «فَهُوَ بِالْخِيَارِ بَيْنَ أَنْ يَعْفُوَ أَوْ يَقْتُلَ أَوْ يَأْخُذَ الدِّيَةَ» فَجَعَلَ عَفْوَهُ غَيْرَ أَخْذِهِ الدِّيَةَ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّهُ إِذَا عَفَا فَلَا دِيَةَ لَهُ وَإِذَا كَانَ لَا دِيَةَ لَهُ إِذَا عَفَا عَنِ الدَّمِ , ثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ الَّذِي كَانَ وَجَبَ لَهُ هُوَ الدَّمُ وَأَنَّ أَخْذَهُ الدِّيَةَ الَّتِي أُبِيحَتْ لَهُ هُوَ بِمَعْنَى أَخْذِهَا بَدَلًا مِنَ الْقَتْلِ. وَالْإِبْدَالُ مِنَ الْأَشْيَاءِ لَمْ نَجِدْهَا تَجِبُ إِلَّا بِرِضَاءِ مَنْ تَجِبُ عَلَيْهِ وَرِضَاءُ مَنْ تَجِبُ لَهُ. فَإِذَا ثَبَتَ ذَلِكَ فِي الْقَتْلِ ثَبَتَ مَا ذَكَرْنَا وَانْتَفَى مَا قَالَ الْمُخَالِفُ لَنَا. وَلَمَّا لَمْ يَكُنْ فِيمَا احْتَجَّ بِهِ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى لِقَوْلِهِمْ مَا يَدُلُّ عَلَيْهِ نَظَرْنَا: هَلْ لِلْآخَرِينَ خَبَرٌ يَدُلُّ عَلَى مَا قَالُوا؟ فَإِذَا أَبُو بَكْرَةَ وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَدْ حَدَّثَانَا قَالَا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ بَكْرٍ السَّهْمِيُّ , ح
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ৪৯৯৮ | মুসলিম বাংলা