শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
৯. গোলাম আযাদ করা
হাদীস নং: ৪৬৯৫
১. যদি একটি গোলামের মালিক দুই ব্যক্তি হন অতঃপর তাদের একজন তাকে মুক্তি দেন
৪৬৯৫। আবু বিশর আর-রাকী (রাহঃ) ..... আব্দুর রহমান ইবন ইয়াযীদ (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমাদের ছিল একটি গোলাম। সে কাদেসিয়ার যুদ্ধে শরীক হয়েছিল। সেখানে সে পঙ্গু হয়ে যায়। আর সে ছিল আমার, আমার মায়ের ও আমার ভাই আসওয়াদের। তারা তাকে আযাদ করে দিতে ইচ্ছে করল আর আমি ছিলাম তখন ছোট। আসওয়াদ এ ঘটনাটি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-এর কাছে উল্লেখ করেন, তখন হযরত উমার (রাযিঃ) বলেন, “তোমরা যদি ইচ্ছে কর তাকে মুক্ত করে দাও। যদি এ খবর আব্দুর রহমানের কাছে পৌঁছে এবং তোমরা যা চাও যদি সে তা চায় তাহলে সে আযাদ করে দিবে। অন্যথায় তোমরা তার ক্ষতিপূরণ আদায় করবে।"
এ হাদীসের মধ্যে দেখা যায় যে, আব্দুর রহমানের কাছে খবর পৌছার পর সে যদি চায় তাহলে গোলামের অংশ আযাদ করে তার মায়ের এবং ভাইয়ের আযাদ কার্যে শরীক হতে পারে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) বলেন, যখন সে কোন বদল ছাড়াই গোলামটিকে আযাদ করে দিতে পারে তাহলে বাকি মূল্য আদায়ের মাধ্যমে গোলামিটকে সে নিয়ে নিতে পারে। এমনকি এ আদায়ের মাধ্যমে সে তাকে আযাদ করে দিতেও পারে। যিনি গোলামটি আযাদ করেননি, তার জন্য তার অংশটি আযাদ করার অধিকার রয়েছে। মুক্তিদাতা অংশীদার ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে। সে গোলামটির দিকে প্রত্যাবর্তন করবে যেমন সাধারণত যার জন্যে ক্ষতিপূরণ প্রদান করে তার দিকে প্রত্যাবর্তন করে থাকে। এখন তার জন্য সঙ্গত যে, সে গোলামকে তার সাথীর প্রাপ্য সংগ্রহের জন্যে প্রচেষ্টা চালানোর জন্য বলবে এবং তার সাথীকেও প্রচেষ্টা চালানোর জন্য বলবে। এ সম্পর্কে এটাই ইমাম ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর অভিমত। আর প্রথম অভিমতটি যার প্রবক্তা ছিলেন ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) আমাদের কাছে দুইটি অভিমতের মধ্যে শুদ্ধতর। কেননা এটা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে উল্লেখিত বর্ণনার সমর্থিত অভিমত।
এ হাদীসের মধ্যে দেখা যায় যে, আব্দুর রহমানের কাছে খবর পৌছার পর সে যদি চায় তাহলে গোলামের অংশ আযাদ করে তার মায়ের এবং ভাইয়ের আযাদ কার্যে শরীক হতে পারে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) বলেন, যখন সে কোন বদল ছাড়াই গোলামটিকে আযাদ করে দিতে পারে তাহলে বাকি মূল্য আদায়ের মাধ্যমে গোলামিটকে সে নিয়ে নিতে পারে। এমনকি এ আদায়ের মাধ্যমে সে তাকে আযাদ করে দিতেও পারে। যিনি গোলামটি আযাদ করেননি, তার জন্য তার অংশটি আযাদ করার অধিকার রয়েছে। মুক্তিদাতা অংশীদার ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে। সে গোলামটির দিকে প্রত্যাবর্তন করবে যেমন সাধারণত যার জন্যে ক্ষতিপূরণ প্রদান করে তার দিকে প্রত্যাবর্তন করে থাকে। এখন তার জন্য সঙ্গত যে, সে গোলামকে তার সাথীর প্রাপ্য সংগ্রহের জন্যে প্রচেষ্টা চালানোর জন্য বলবে এবং তার সাথীকেও প্রচেষ্টা চালানোর জন্য বলবে। এ সম্পর্কে এটাই ইমাম ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর অভিমত। আর প্রথম অভিমতটি যার প্রবক্তা ছিলেন ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) আমাদের কাছে দুইটি অভিমতের মধ্যে শুদ্ধতর। কেননা এটা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে উল্লেখিত বর্ণনার সমর্থিত অভিমত।
4695 - حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ الرَّقِّيُّ , قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ , عَنِ الْأَعْمَشِ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ , قَالَ: كَانَ لَنَا غُلَامٌ قَدْ شَهِدَ الْقَادِسِيَّةَ فَأَبْلَى فِيهَا , وَكَانَ بَيْنِي وَبَيْنَ أُمِّي وَبَيْنَ أَخِي الْأَسْوَدِ , فَأَرَادُوا عِتْقَهُ , وَكُنْتُ يَوْمَئِذٍ صَغِيرًا , فَذَكَرَ ذَلِكَ الْأَسْوَدُ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ , فَقَالَ: «أَعْتِقُوا أَنْتُمْ , فَإِذَا بَلَغَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ , فَإِنْ رَغِبَ فِيمَا رَغِبْتُمْ أَعْتَقَ , وَإِلَّا ضَمِنَكُمْ» . فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بَعْدَ بُلُوغِهِ أَنْ يُعْتِقَ نَصِيبَهُ مِنَ الْعَبْدِ الَّذِي قَدْ كَانَ دَخَلَهُ عَتَاقُ أُمِّهِ وَأَخِيهِ قَبْلَ ذَلِكَ. فَأَبُو حَنِيفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ: فَلَمَّا كَانَ لَهُ أَنْ يُعْتِقَ بِلَا بَدَلٍ , كَانَ لَهُ أَنْ يَأْخُذَ الْعَبْدَ بِأَدَاءِ قِيمَةِ مَا بَقِيَ لَهُ فِيهِ حَتَّى يَعْتِقَ بِأَدَاءِ ذَلِكَ إِلَيْهِ , وَلَمَّا كَانَ لِلَّذِي لَمْ يُعْتِقْ , أَنْ يُعْتِقَ نَصِيبَهُ مِنَ الْعَبْدِ , فَضَمِنَ الشَّرِيكُ الْمُعْتِقُ , رَجَعَ إِلَى هَذَا الْمُضَمَّنِ مِنْ هَذَا الْعَبْدِ , مِثْلُ مَا كَانَ الَّذِي ضَمِنَهُ , فَوَجَبَ لَهُ أَنْ يَسْتَسْعِيَ الْعَبْدَ فِي قِيمَةِ مَا كَانَ لِصَاحِبِهِ فِيهِ , وَفِيمَا كَانَ لِصَاحِبِهِ أَنْ يَسْتَسْعِيَهُ فِيهِ. فَهَذَا مَذْهَبُ أَبِي حَنِيفَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ فِي هَذَا الْبَابِ , وَالْقَوْلُ الْأَوَّلُ الَّذِي ذَهَبَ إِلَيْهِ أَبُو يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٌ رَحِمَهُمَا اللهُ أَصَحُّ الْقَوْلَيْنِ عِنْدَنَا , لِمُوَافَقَتِهِ لِمَا قَدْ رَوَيْنَاهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَاللهُ أَعْلَمُ
