শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

৮. তালাক - ডিভোর্স অধ্যায়

হাদীস নং: ৪৬৪০
৭. অনুচ্ছেদঃ যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বলে যে, ‘কদরের রাতে তুমি তালাক’ তাহলে তালাক কখন প্রতিফলিত হবে?
৪৬৪০। ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ) ….. আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বলেছেন তােমাদের ন্যায় আমাকেও লাইলাতুল কদর স্বপ্নে দেখানাে হয়েছে। আমি দেখেছি যে, “লাইলাতুল কদর রামাদানের শেষ দশ দিনের মধ্যে সপ্তম রাত্রি, যিনি অনুসন্ধান করতে চান তিনি যেন লাইলাতুল কদরকে খুঁজে নেন। আর তা হচ্ছে রামাদান মাসের শেষ দশ দিনের সপ্তম রাত্রি।”

অত্র হাদীসে উল্লেখিত ২৭ শা রাত্রির বক্তব্যটি নির্দিষ্ট একটি বছরের জন্যও হতে পারে, আবার অন্যন্য বছরগুলাের জন্যও হতে পারে। তবে এখানে অনুসন্ধানের কথা বলা হয়েছে, সুনিশ্চিত রূপে কিছু বলা হয়নি। অনুরূপভাবে পূর্বে আমরা আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন উনাইস (রাযিঃ)-এর বর্ণনাও উল্লেখ করেছি, যেখানে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) অনুসন্ধানের কথা বলেছেন, সুনিশ্চিতভাবে কিছু বলেননি। কেননা রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -কে লাইলাতুল কদরের সময়টি স্বপ্নে দেখানাে হয়েছিল, পরে তা বিস্মৃত করা হয়েছে। সুতরাং দেখা যায় যে, উপরােক্ত হাদীসগুলাে দ্বারা লাইলাতুল কদর সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হয়নি। তবে আবু যর (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাকে বলেন, লাইলাতুল কদর রামাদান মাসের প্রথম দশ দিনে কিংবা শেষ দশ দিনে হয়ে থাকে। প্রকাশ থাকে যে, আবু যর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -কে লাইলাতুল কদরের সময় সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন। এ অনুচ্ছেদের প্রথম দিকে আমরা তাঁর থেকে বর্ণনাটি উল্লেখ করেছি। এটাতে মাসের মধ্যমাংশে লাইলাতুল কদর হবার সম্ভাবনা নাকচ হয়ে যায়। আর প্রমাণিত হয় যে, লাইলাতুল কদর এ দুটি দশকের যে কোন একটিতে সংঘটিত হয়। প্রথম দশ দিনে কিংবা শেষ দশ দিনে। আর এ হাদীসের মধ্যে হযরত আবু যর (রাযিঃ) থেকে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর প্রতি প্রশ্ন এসেছিল যে, কোন্ দশকের মধ্যে লাইলাতুল কদর সংঘটিত হয়ে থাকে? তার প্রতি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর জবাব ছিল, তিনি যেন শেষ দশ দিনের মধ্যে লাইলাতুল কদরকে অনুসন্ধান করেন।

অতঃপর আমরা আবু যর (রাযিঃ) ভিন্ন অন্যদের বর্ণনাতে কোন কিছু দেখতে পাওয়া যায় কিনা তা গবেষণা করতে লাগলাম, যাতে বুঝা যায় যে, কোন্ দশকে লাইলাতুল কদরটি সুনির্দিষ্টভাবে পাওয়া যায়। আমরা দেখতে পেলামঃ
4640 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا عَارِمٌ أَبُو النُّعْمَانِ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ , عَنْ أَيُّوبَ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَرَى رُؤْيَاكُمْ قَدْ تَوَاطَأَتْ أَنَّهَا لَيْلَةُ السَّابِعَةِ فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ , فَمَنْ كَانَ مُتَحَرِّيهَا فَلْيَتَحَرَّهَا لَيْلَةَ السَّابِعَةِ مِنَ الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ» . فَقَدْ يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ هَذَا أَيْضًا أَنْ يَكُونَ فِي عَامٍ بِعَيْنِهِ , وَيُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ فِي كُلِّ الْأَعْوَامِ كَذَلِكَ , إِلَّا أَنَّ ذَلِكَ كُلَّهُ عَلَى التَّحَرِّي , لَا عَلَى الْيَقِينِ وَكَذَلِكَ مَا ذَكَرْنَاهُ قَبْلَ هَذَا , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أُنَيْسٍ , مِمَّا أَمَرَهُ بِهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ ذَلِكَ , يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ عَلَى التَّحَرِّي مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَهَا فِي ذَلِكَ الْعَامِ , لِمَا قَدْ كَانَ أُرِيَهُ مِنْ وَقْتِهَا الَّذِي تَكُونُ فِيهِ فَأُنْسِيهَا. فَلَمْ يَكُنْ فِي شَيْءٍ مِنْ هَذِهِ الْآثَارِ , مَا يَدُلُّنَا عَلَى لَيْلَةِ الْقَدْرِ أَيُّ لَيْلَةٍ هِيَ بِعَيْنِهَا؟ غَيْرَ أَنَّ فِي حَدِيثِ أَبِي ذَرٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُ «هِيَ عَشْرُ الْأُوَلِ , أَوْ فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ» إِذْ سَأَلَهُ عَنْ وَقْتِهَا عَلَى مَا قَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي حَدِيثِهِ الَّذِي رَوَيْنَاهُ عَنْهُ فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ فَنَفَى بِذَلِكَ أَنْ يَكُونَ فِي الْعَشْرِ الْأَوْسَطِ , وَثَبَتَ أَنَّهَا فِي إِحْدَى الْعَشْرَيْنِ , إِمَّا فِي الْأُوَلِ , وَإِمَّا فِي الْآخَرِ. وَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَيْضًا , رُجُوعُ أَبِي ذَرٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ بِالسُّؤَالِ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَيِّ الْعَشْرَيْنِ هِيَ؟ وَجَوَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاهُ بِأَنْ يَتَحَرَّاهَا فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ. [ص:92] فَنَظَرْنَا فِيمَا رُوِيَ فِي غَيْرِهِمَا مِنَ الْآثَارِ , هَلْ فِيهِ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهَا فِي لَيْلَةٍ مِنْ هَذَيْنِ الْعَشْرَيْنِ بِعَيْنِهَا؟
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ৪৬৪০ | মুসলিম বাংলা