আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫৩- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৫২১১
২৭৪১. যখন সফরে যাওয়ার ইচ্ছা করবে, তখন স্ত্রীদের মধ্যে লটারী করে নেবে
৪৮৩৫। আবু নু‘আয়ম (রাহঃ) ......... ‘আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখনই মহানবী (ﷺ) সফরে যাওয়ার ইরাদা করতেন, তখনই বিবিগণের মধ্যে লটারি করতেন। এক সফরের সময় ‘আয়েশা (রাযিঃ) এবং হাফসা (রাযিঃ) এর নাম লটারিতে ওঠে। মহানবী (ﷺ) -এর অভ্যাস ছিল যখন রাত হত তখন ‘আয়েশা (রাযিঃ) এর সাথে এক সওয়ারীতে আরোহণ করতেন এবং তাঁর সাথে কথা বলতে বলতে পথ চলতেন। একরাতে হাফসা (রাযিঃ) ‘আয়েশা (রাযিঃ) -কে বললেন, আজ রাতে তুমি কি আমার উটে আরোহণ করবে এবং আমি তোমার উটে, যাতে করে আমি তোমাকে এবং তুমি আমাকে এক নতুন অবস্থায় দেখতে পাবে? আয়েশা (রাযিঃ) উত্তর দিলেন, হ্যাঁ, আমি রাজি আছি।
সে হিসাবে ‘আয়েশা (রাযিঃ) হাফসা (রাযিঃ) -এর উটে এবং হাফসা (রাযিঃ) ‘আয়েশা (রাযিঃ) -এর উটে সওয়ার হলেন। মহানবী (ﷺ) ‘আয়েশা (রাযিঃ) -এর নির্ধারিত উটের কাছে এলেন, যার ওপর হাফসা (রাযিঃ) বসা ছিলেন। তিনি সালাম করলেন এবং তাঁর পার্শ্বে বসে সফর করলেন। পথিমধ্যে এক স্থানে সবাই অবতরণ করলেন। ‘আয়েশা (রাযিঃ) মহানবী (ﷺ) এর সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত হলেন। যখন তাঁরা সকলেই অবতরণ করলেন তখন ‘আয়েশা (রাযিঃ) নিজ পদযুগল ‘ইযখির’ নামক ঘাসের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে বলতে লাগলেন, হে আল্লাহ! তুমি আমার জন্য কোন সাপ বা বিচ্ছু পাঠিয়ে দাও, যাতে আমাকে দংশন করে। কেননা, আমি এ ব্যাপারে রাসূল (ﷺ) -কে কিছু বলতে পারব না।
সে হিসাবে ‘আয়েশা (রাযিঃ) হাফসা (রাযিঃ) -এর উটে এবং হাফসা (রাযিঃ) ‘আয়েশা (রাযিঃ) -এর উটে সওয়ার হলেন। মহানবী (ﷺ) ‘আয়েশা (রাযিঃ) -এর নির্ধারিত উটের কাছে এলেন, যার ওপর হাফসা (রাযিঃ) বসা ছিলেন। তিনি সালাম করলেন এবং তাঁর পার্শ্বে বসে সফর করলেন। পথিমধ্যে এক স্থানে সবাই অবতরণ করলেন। ‘আয়েশা (রাযিঃ) মহানবী (ﷺ) এর সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত হলেন। যখন তাঁরা সকলেই অবতরণ করলেন তখন ‘আয়েশা (রাযিঃ) নিজ পদযুগল ‘ইযখির’ নামক ঘাসের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে বলতে লাগলেন, হে আল্লাহ! তুমি আমার জন্য কোন সাপ বা বিচ্ছু পাঠিয়ে দাও, যাতে আমাকে দংশন করে। কেননা, আমি এ ব্যাপারে রাসূল (ﷺ) -কে কিছু বলতে পারব না।
