আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫৩- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৫১৬৩
২৭০৯. দুলহীনকে উপঢৌকন প্রদান।
আবু উসমান (তার নাম জাদ) বলেন, একদিন আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) আমাদের বনী রিফা’আর মসজিদের নিকট গমনকালে তাকে এ কথা বলতে শুনেছি যে, যখনই উম্মে সুলায়মের নিকট দিয়ে নবী (ﷺ) যেতেন, তাঁকে সালাম দিতেন। আনাস (রাযিঃ) আরো বলেন, নবী (ﷺ) -এর যখন যয়নাব (রাযিঃ) -এর সাথে শাদী হয়, তখন উম্মে সুলায়ম আমাকে বললেন, চল আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর জন্য কিছু হাদীয়া পাঠাই। আমি তাকে বললাম, হ্যাঁ, এ ব্যবস্থা করুন। তখন তিনি খেজুর, মাখন ও পনীর এক সাথে মিশিয়ে হালুয়া বানিয়ে একটি ডেকচিতে করে আমার মারফত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর কাছে পাঠালেন। আমি সেসব নিয়ে তাঁর খিদমতে উপস্থিত হলে তিনি এগুলো রেখে দিতে বলেন, এবং আমাকে কয়েকজন লোকের নাম উল্লেখ করে ডেকে আনার আদেশ করলেন। আরো বললেন, এছাড়া তোমার সাথে যার দেখা হয় তাকেও ডাকবে। তিনি যেভাবে আমাকে হুকুম করলেন, আমি সেইভাবে কাজ করলাম। যখন আমি ফিরে এলাম, তখন ঘরে অনেক লোক দেখতে পেলাম। মহানবী (ﷺ) তখন হালুয়া (হাইসা) পাত্রের মধ্যে হাত রাখা অবস্থায় ছিলেন এবং আল্লাহ্ তা‘আলার মর্জি মোতাবেক কিছু কথা বললেন। তারপর তিনি দশ দশ জন করে লোক খাবারের জন্য ডাকলেন এবং বললেন, তোমরা ‘বিসমিল্লাহ্’ বলে খাওয়া শুরু কর এবং প্রত্যেকে পাত্রের নিজ নিজ দিক হতে খাও। যখন তাদের খাওয়া-দাওয়া শেষ হলো তাদের মধ্য থেকে অনেকেই চলে গেল এবং কিছু সংখ্যক লোক কথাবার্তা বলতে থাকল। যা দেখে আমি বিরক্তি বোধ করলাম। তারপর নবী (ﷺ) সেখান থেকে বের হয়ে অন্য ঘরে গেলেন। আমিও সেখান থেকে বেরিয়ে এলাম। যখন আমি বললাম, তারাও চলে গেছে তখন তিনি নিজের কক্ষে ফিরে এলেন এবং পর্দা ফেলে দিলেন। তিনি তাঁর কক্ষে থাকলেন এবং এই আয়াত পাঠ করলেন- “মু’মিনগণ, তোমাদেরকে অনুমতি না দেয়া হলে তোমরা খাবার তৈরীর অপেক্ষা না করে নবীগৃহে খাওয়ার জন্য প্রবেশ করো না। তবে যদি তোমাদেরকে ডাকা হয় তাহলে প্রবেশ কর এবং খাওয়া শেষ করে চলে যাবে। তোমরা কথাবার্তায় মশগুল হয়ে পড়ো না এবং তোমাদের এরূপ আচরণে নবীর মনে কষ্ট হয়। তিনি তোমাদেরকে উঠিয়ে দিতে সংকোচ বোধ করেন, কিন্তু আল্লাহ্ তা‘আলা সত্য বলতে সংকোচ বোধ করেন না।”
আবু উসমান (রাহঃ) বলেন, আনাস (রাযিঃ) বলেছেন যে, তিনি দশ বছর নবী করীম (ﷺ) -এর খেদমত করেছেন।
আবু উসমান (তার নাম জাদ) বলেন, একদিন আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) আমাদের বনী রিফা’আর মসজিদের নিকট গমনকালে তাকে এ কথা বলতে শুনেছি যে, যখনই উম্মে সুলায়মের নিকট দিয়ে নবী (ﷺ) যেতেন, তাঁকে সালাম দিতেন। আনাস (রাযিঃ) আরো বলেন, নবী (ﷺ) -এর যখন যয়নাব (রাযিঃ) -এর সাথে শাদী হয়, তখন উম্মে সুলায়ম আমাকে বললেন, চল আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর জন্য কিছু হাদীয়া পাঠাই। আমি তাকে বললাম, হ্যাঁ, এ ব্যবস্থা করুন। তখন তিনি খেজুর, মাখন ও পনীর এক সাথে মিশিয়ে হালুয়া বানিয়ে একটি ডেকচিতে করে আমার মারফত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর কাছে পাঠালেন। আমি সেসব নিয়ে তাঁর খিদমতে উপস্থিত হলে তিনি এগুলো রেখে দিতে বলেন, এবং আমাকে কয়েকজন লোকের নাম উল্লেখ করে ডেকে আনার আদেশ করলেন। আরো বললেন, এছাড়া তোমার সাথে যার দেখা হয় তাকেও ডাকবে। তিনি যেভাবে আমাকে হুকুম করলেন, আমি সেইভাবে কাজ করলাম। যখন আমি ফিরে এলাম, তখন ঘরে অনেক লোক দেখতে পেলাম। মহানবী (ﷺ) তখন হালুয়া (হাইসা) পাত্রের মধ্যে হাত রাখা অবস্থায় ছিলেন এবং আল্লাহ্ তা‘আলার মর্জি মোতাবেক কিছু কথা বললেন। তারপর তিনি দশ দশ জন করে লোক খাবারের জন্য ডাকলেন এবং বললেন, তোমরা ‘বিসমিল্লাহ্’ বলে খাওয়া শুরু কর এবং প্রত্যেকে পাত্রের নিজ নিজ দিক হতে খাও। যখন তাদের খাওয়া-দাওয়া শেষ হলো তাদের মধ্য থেকে অনেকেই চলে গেল এবং কিছু সংখ্যক লোক কথাবার্তা বলতে থাকল। যা দেখে আমি বিরক্তি বোধ করলাম। তারপর নবী (ﷺ) সেখান থেকে বের হয়ে অন্য ঘরে গেলেন। আমিও সেখান থেকে বেরিয়ে এলাম। যখন আমি বললাম, তারাও চলে গেছে তখন তিনি নিজের কক্ষে ফিরে এলেন এবং পর্দা ফেলে দিলেন। তিনি তাঁর কক্ষে থাকলেন এবং এই আয়াত পাঠ করলেন- “মু’মিনগণ, তোমাদেরকে অনুমতি না দেয়া হলে তোমরা খাবার তৈরীর অপেক্ষা না করে নবীগৃহে খাওয়ার জন্য প্রবেশ করো না। তবে যদি তোমাদেরকে ডাকা হয় তাহলে প্রবেশ কর এবং খাওয়া শেষ করে চলে যাবে। তোমরা কথাবার্তায় মশগুল হয়ে পড়ো না এবং তোমাদের এরূপ আচরণে নবীর মনে কষ্ট হয়। তিনি তোমাদেরকে উঠিয়ে দিতে সংকোচ বোধ করেন, কিন্তু আল্লাহ্ তা‘আলা সত্য বলতে সংকোচ বোধ করেন না।”
আবু উসমান (রাহঃ) বলেন, আনাস (রাযিঃ) বলেছেন যে, তিনি দশ বছর নবী করীম (ﷺ) -এর খেদমত করেছেন।
৪৭৯০। উবাইদ ইবনে ইসমা‘ঈল (রাহঃ) ......... ‘আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, তিনি আসমা (রাযিঃ) -এর থেকে গলার একছড়া হার ধার হিসাবে এনেছিলেন। এরপর তা হারিয়ে যায়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর কয়েকজন সাহাবীকে তা খোঁজ করে বের করার জন্য পাঠালেন। এমন সময় নামাযের ওয়াক্ত হয়ে গেলে তারা বিনা উযুতে নামায আদায় করলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর খেদমতে হাযির হয়ে অভিযোগ করলেন, তখন তায়াম্মুমের আয়াত নাযিল হল। উসায়দ ইবনে হুযায়র (রাযিঃ) বললেন, [হে আয়েশা (রাযিঃ)!] আল্লাহ আপনাকে উত্তম পুরস্কার দান করুন! কারণ যখনই আপনার ওপর কোন অসুবিধা আসে, তখনই আল্লাহ তা‘আলার তরফ থেকে তা আপনার জন্য বিপদমুক্তির ও উম্মতের জন্য বরকতের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
