আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫৩- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৫১৪০
২৬৮৯. ইয়াতীম বালিকার শাদী দেয়া। আল্লাহ তা‘আলার বাণী: “যদি তোমরা ভয় কর যে ইয়াতীম বালিকাদের প্রতি পূর্ণ ইনসাফ করতে পারবে না, তাহলে তোমার পছন্দ মতো অন্য কাউকে শাদী কর।’’ কেউ কোন অভিভাবককে যদি বলে, অমুক মহিলাকে আমার সঙ্গে শাদী দিন এবং সে যদি চুপ থাকে অথবা তাকে বলে তোমার কাছে কী আছে? সে উত্তরে বলে, আমার কাছে এই এই আছে অথবা নীরব থাকে। এরপর অভিভাবক বলেন, আমি তাকে তোমার কাছে শাদী দিলাম, তাহলে তা বৈধ। এ ব্যাপারে সাহল (রাযিঃ) মহানবী (ﷺ) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
৪৭৬৮। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) ......... ‘উরওয়া ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, তিনি ‘আয়েশা (রাযিঃ) -কে জিজ্ঞাসা করেন, খালাম্মা, “যদি তোমরা ভয় কর যে, ইয়াতীম বালিকাদের প্রতি ন্যায় বিচার করতে পারবে না তোমাদের দক্ষিন হস্ত যার মালিক ....।” -এই আয়াত কোন্ প্রসঙ্গে নাযিল হয়েছে? আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, হে আমার ভাগ্নে! এই আয়াত ঐ ইয়াতীম বালিকাদের প্রসঙ্গে অবতীর্ণ হয়েছে, যারা তার অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে রয়েছে এবং সেই অভিভাবক তার রূপ ও সম্পদে আকৃষ্ট হয়ে তাকে শাদী করতে চায়; কিন্তু তার মোহরানা কম দিতে চায়। এই আয়াতের মাধ্যমে উক্ত বালিকাদের শাদী করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং তাদের ব্যতীত অন্য নারীদের শাদী করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অবশ্য যদি সে এদের পূর্ণ মোহরানা আদায় করে দেয় তবে সে শাদী করতে পারবে।
‘আয়েশা (রাযিঃ) আরো বলেন, পরবর্তী সময়ে লোকেরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে জিজ্ঞাসা করলে আল্লাহ তা‘আলা এই আয়াত নাযিল করেনঃ “তারা তোমার কাছে মহিলাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে... এবং তোমরা যাদের শাদী করতে চাও” আল্লাহ তা‘আলা এদের জন্য এ আয়াত নাযিল করেন; যদি কোন ইয়াতীম বালিকার সৌন্দর্য এবং সম্পদ থাকে, তাহলে এরা তাদেরকে শাদী করতে চায় এবং এদের স্বীয় আভিজাত্যের ব্যাপারেও ইচ্ছা পোষণ করে এবং মোহর কম দিতে চায়। কিন্তু সে যদি তাদের পছন্দমতো পাত্রী না হয়, তার সম্পদ ও রূপ কম হওয়ার কারণে এদেরকে ত্যাগ করে অন্য মেয়ে শাদী করে। ‘আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, যেমনিভাবে এদের প্রতি অনীহার সময় এদের পরিত্যাগ করতে চায়, তদ্রূপ যে সময় আকর্ষণ থাকবে, সে সময়েও যেন তাদের প্রতি ন্যায়বিচার করে পূর্ণ মোহর আদায় করে।
‘আয়েশা (রাযিঃ) আরো বলেন, পরবর্তী সময়ে লোকেরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে জিজ্ঞাসা করলে আল্লাহ তা‘আলা এই আয়াত নাযিল করেনঃ “তারা তোমার কাছে মহিলাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে... এবং তোমরা যাদের শাদী করতে চাও” আল্লাহ তা‘আলা এদের জন্য এ আয়াত নাযিল করেন; যদি কোন ইয়াতীম বালিকার সৌন্দর্য এবং সম্পদ থাকে, তাহলে এরা তাদেরকে শাদী করতে চায় এবং এদের স্বীয় আভিজাত্যের ব্যাপারেও ইচ্ছা পোষণ করে এবং মোহর কম দিতে চায়। কিন্তু সে যদি তাদের পছন্দমতো পাত্রী না হয়, তার সম্পদ ও রূপ কম হওয়ার কারণে এদেরকে ত্যাগ করে অন্য মেয়ে শাদী করে। ‘আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, যেমনিভাবে এদের প্রতি অনীহার সময় এদের পরিত্যাগ করতে চায়, তদ্রূপ যে সময় আকর্ষণ থাকবে, সে সময়েও যেন তাদের প্রতি ন্যায়বিচার করে পূর্ণ মোহর আদায় করে।
