শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

৫. রোযার অধ্যায়

হাদীস নং: ৩১৯২
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৯৯
রামাযান মাসে ইচ্ছাকৃতভাবে স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করার বিধান
৩১৯২-৯৯। ফাহাদ (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর দরবারে উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি তাে ধ্বংস হয়ে গেছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, তােমার জন্য আক্ষেপ, তােমার কি হয়েছে? সে বলল, আমি রামাযানে সিয়াম পালনরত অবস্থায় স্ত্রী সঙ্গম করেছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বলেছেনঃ তুমি কি একটি গােলাম আযাদ করতে সক্ষম? লােকটি বলল, 'না'। তিনি বললেনঃ তুমি কি লাগাতার দুই মাস সিয়াম পালনে সক্ষম? লােকটি বলল, না, আল্লাহর কসম ইয়া রাসূলাল্লাহ। তিনি বললেনঃ ষাট জন মিসকীনকে তুমি আহার করাতে কি সক্ষম? লােকটি বলল, না, ইয়া রাসূলুল্লাহ । এরপর রাসূলাল্লাহু (ﷺ) (কিছুক্ষণ) চুপ রইলেন। আমরা এ অবস্থায় রয়েছি, এমন সময় রাসূলাল্লাহ -এর কাছে এক 'আরক' খেজুর এল। 'আরক' হলাে বড় থলে বা টুকরি। রাসূলুল্লাহ বললেন, “এই মাত্র প্রশ্নকারী লােকটি কোথায় ? এগুলাে নিয়ে সাদাকা করে দাও"। লােকটি বলল, আমার চাইতে অধিক অভাবগ্রস্ত পরিবারের উপর । ইয়া রাসূলাল্লাহ। আল্লাহর কসম, মদীনার দুই প্রান্তের (তার উদ্দেশ্য দুই কংকরময় এলাকা) মাঝে আমার পরিবার অপেক্ষা অধিক অভাবগ্রস্ত আর কেউ নেই। (এ কথা শুনে) রাসূলুল্লাহ্ হেসে উঠলেন; এমনকি তার চোয়ালের দাঁত প্রকাশ পেল। তারপর তিনি বললেন, তা তােমার পরিবারবর্গকে আহার করাও। রাবী বলেন, কাফফারার বিধান হলােঃ গােলাম আযাদ বা লাগাতার দুই মাস সিয়াম পালন বা ষাট মিসকীনকে আহার করানাে।

ফাহাদ (রাহঃ) ..... যুহরী (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। বস্তুত এটিই হচ্ছে হাদীসটির প্রকৃত বর্ণনা। আর এই বিষয়ে যুহরী (রাহঃ) সূত্রে বর্ণিত মালিক (রাহঃ) ও ইবন জুরায়জ (রাহঃ)-এর হাদীস উক্ত হাদীসে যুহরী (রাহঃ)-এর উক্তি সম্বলিত শব্দে এসেছে। সুতরাং কাফফারার বিধান হলাে গােলাম আযাদ বা লাগাতার দুইমাস সিয়াম পালন বা ষাট মিসকীনকে আহার করানাে। অতএব ইখতিয়ার প্রদান এটি যুহরী (রাহঃ)-এর বক্তব্য, যা তাঁর ভুল ধারণা ঐ রাবী সম্পর্কে যিনি হুমায়দ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত হাদীসে এরূপ সিদ্ধান্ত দেননি।

ইসমাঈল ইব্‌ন ইয়াহইয়া আল-মুযুনী (রাহঃ) ..... যুহরী (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি ‘সুতরাং সুন্নতে পরিণত হয়েছে' তাঁর এই উক্তিটি উল্লেখ করেন নি হাদীসের শেষ পর্যন্ত।
২৯৬৬.মুহাম্মাদ ইব্‌ন খুযায়মা (রাহঃ) ..... সুফইয়ান (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।

ইবরাহীম ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ) ..... যুহরী (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।

আবু বাকরা (রাহঃ) ..... ইবন শিহাব (যুহরী র) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।

আবু বাকরা (রাহঃ) ......... যুহরী (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন এবং তিনি বলেছেনঃ পনের সা' খেজুর এবং তিনি সন্দেহ করেন নি।

রবীউল মুয়াযযিন (রাহঃ) ..... আওযাঈ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি যুহরী (রাহঃ)-কে সেই ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি, যে কিনা রামাযান মাসে স্ত্রী সঙ্গম করেছে। তিনি বললেন, আমাকে হুমায়দ ইবন আব্দুর রহমান ইবন আওফ (রাহঃ) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমাকে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হাদীস বর্ণনা করেছেন। তারপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি সা’সমূহের উল্লেখ করেন নি। সুতরাং আমরা এই হাদীসে যা রিওয়ায়াত করেছি তাতে প্রথমােক্ত দুই হাদীসের বিষয়বস্তু অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যেহেতু তাতে ব্যক্ত হয়েছে: নবী করীম (ﷺ) তাকে বললেন, তুমি কি গােলাম (আযাদের) সামর্থ্য রাখ? লােকটি বলল, না। তিনি বললেন, তাহলে লাগাতার দুই মাস সিয়াম পালন কর। লােকটি বলল, আমি সামর্থ্য রাখি না। তিনি বললেন, তাহলে ষাট মিসকীনকে আহার করাও। দেখা যাচ্ছে নবী করীম (ﷺ) তাকে (লােকটিকে) এই তিন প্রকারের প্রত্যেক প্রকারের নির্দেশ দিয়েছেন, যখন তিনি সেই প্রকার পাননি যা এর পূর্বে তিনি তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। লােকটি যখন তাকে জানিয়ে দিল যে, সে এর কোন একটি বস্তুরও সক্ষমতা রাখে না তখন নবী করীম (ﷺ)-এর কাছে খেজুরের আরক' (বড় টুকরি) এল।
সুতরাং 'আরক'-এর উল্লেখ এবং নবী করীম (ﷺ) তা লােকটিকে প্রদান করা এবং তাকে তা সাদাকার নির্দেশ দেয়া-এটিই আয়েশা (রাযিঃ) তার হাদীসে রিওয়ায়াত করেছেন, যে রিওয়ায়াত আমরা শুরুতে বর্ণনা করেছি। আর আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর এই হাদীস সেটি অপেক্ষা উত্তম। যেহেতু এতে আয়েশা (রাযিঃ)-এর হাদীসের পূর্ববর্তী ঘটনার এরূপ (অতিরিক্ত) বস্তু বিদ্যমান রয়েছে যা আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সংরক্ষণ করেছেন, তা কিন্তু আয়েশা (রাযিঃ) সংরক্ষণ করেননি। সুতরাং আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর হাদীসে অতিরিক্ত বিষয় সংযােজনের কারণে। তা উত্তম বিবেচিত হবে। আর মালিক (রাহঃ) ও ইবন জুরায়জ (রাহঃ)-এর হাদীস তারা উভয়ে যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, যা আমরা উল্লেখ করেছি এবং এই অনুচ্ছেদে পূর্বে এ ব্যাপারে কারণ বর্ণনা করেছি। সুতরাং আমাদের উল্লিখিত বর্ণনার দ্বারা সাব্যস্ত হলাে, রামাযান মাসে স্ত্রী সঙ্গমের দ্বারা সিয়াম ভেঙ্গে ফেললে। কাফফারা প্রদান করতে হবে, যা মনসুর (রাহঃ), ইবন উয়ায়না ও তাদের উভয়ের সাথে যারা ঐকমত্য পােষণ করেছেন যুহরী (রাহঃ) হুমায়দ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে। আর এটি ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
99 - 3192 - حَدَّثَنِي فَهْدٌ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ , قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ خَالِدِ بْنِ مُسَافِرٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: بَيْنَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ جَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ هَلَكْتُ. فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَيْلَكَ , مَا لَكَ» , قَالَ: " وَقَعْتُ عَلَى امْرَأَتِي , وَأَنَا صَائِمٌ فِي رَمَضَانَ. فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَهَلْ تَجِدُ رَقَبَةً تُعْتِقُهَا؟» فَقَالَ: لَا. فَقَالَ: «فَهَلْ تَسْتَطِيعُ أَنْ تَصُومَ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ؟» قَالَ: لَا وَاللهِ يَا رَسُولَ اللهِ. قَالَ: «فَهَلْ تَجِدُ طَعَامَ سِتِّينَ مِسْكِينًا؟» قَالَ: لَا يَا رَسُولَ اللهِ , فَسَكَتَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَبَيْنَا نَحْنُ عَلَى ذَلِكَ , أُتِيَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَرْقٍ فِيهِ تَمْرٌ , وَالْعَرْقُ: الْمِكْتَلُ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَيْنَ السَّائِلُ آنِفًا؟ خُذْ هَذَا فَتَصَدَّقْ بِهِ» . فَقَالَ الرَّجُلُ: أَعَلَى أَهْلٍ أَفْقَرَ مِنِّي يَا رَسُولَ اللهِ؟ فَوَاللهِ مَا بَيْنَ لَابَتَيْهَا يُرِيدُ الْحَرَّتَيْنِ أَفْقَرُ مِنْ أَهْلِ بَيْتِي. فَضَحِكَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى بَدَتْ أَنْيَابُهُ ثُمَّ قَالَ: «أَطْعِمْهُ أَهْلَكَ» قَالَ: فَصَارَتِ الْكَفَّارَةُ إِلَى عِتْقِ رَقَبَةٍ , أَوْ صِيَامِ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ , أَوْ إِطْعَامِ سِتِّينَ مِسْكِينًا

حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو الْيَمَانِ , قَالَ: أنا شُعَيْبٌ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ فَهَذَا هُوَ الْحَدِيثُ عَلَى وَجْهِهِ , وَإِنَّمَا جَاءَ حَدِيثُ مَالِكٍ , وَابْنِ جُرَيْجٍ فِي ذَلِكَ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَلَى لَفْظِ قَوْلِ الزُّهْرِيِّ , فِي هَذَا الْحَدِيثِ: فَصَارَتِ الْكَفَّارَةُ إِلَى عِتْقِ رَقَبَةٍ , أَوْ صِيَامِ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ , أَوْ إِطْعَامِ سِتِّينَ مِسْكِينًا. فَالتَّخْيِيرُ هُوَ كَلَامُ الزُّهْرِيِّ عَلَى مَا تَوَهَّمَ , مَنْ لَمْ يَحْكِهِ فِي حَدِيثِهِ عَنْ حُمَيْدٍ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ يَحْيَى الْمُزَنِيُّ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ قَوْلَهُ فَصَارَتْ سُنَّةً إِلَى آخِرِ الْحَدِيثِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ , قَالَ: ثنا أَبِي , قَالَ: سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ رَاشِدٍ , يُحَدِّثُ عَنِ الزُّهْرِيِّ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حَفْصَةَ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا مُؤَمَّلُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ مَنْصُورٍ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , وَقَالَ خَمْسَةَ عَشَرَ صَاعًا تَمْرًا وَلَمْ يَشُكَّ

حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي الْأَوْزَاعِيُّ , قَالَ: سَأَلْتُ الزُّهْرِيُّ , عَنْ رَجُلٍ جَامَعَ امْرَأَتَهُ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ. فَقَالَ: حَدَّثَنِي حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , فَذَكَرَ نَحْوَهُ غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرِ الْآصُعَ [ص:62] فَكَانَ مَا رَوَيْنَا فِي هَذَا الْحَدِيثِ قَدْ دَخَلَ فِيهِ مَا فِي الْحَدِيثَيْنِ الْأَوَّلَيْنِ , لِأَنَّ فِيهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُ: " أَتَجِدُ رَقَبَةً؟ قَالَ: لَا , قَالَ فَصُمْ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ. قَالَ: مَا أَسْتَطِيعُ , قَالَ فَأَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا؟ ". فَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا أَمَرَهُ بِكُلِّ صِنْفٍ مِنْ هَذِهِ الْأَصْنَافِ الثَّلَاثَةِ لِمَا لَمْ يَكُنْ وَاجِدًا لِلصِّنْفِ الَّذِي ذَكَرَهُ لَهُ قَبْلَهُ. فَلَمَّا أَخْبَرَهُ الرَّجُلُ أَنَّهُ غَيْرُ قَادِرٍ عَلَى شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ أُتِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَرْقٍ فِيهِ تَمْرٌ , فَكَانَ ذِكْرُ الْعَرْقِ وَمَا كَانَ مِنْ دَفْعِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاهُ إِلَى الرَّجُلِ , وَأَمْرِهِ إِيَّاهُ بِالصَّدَقَةِ، هُوَ الَّذِي رَوَتْهُ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فِي حَدِيثِهَا الَّذِي بَدَأْنَا بِرِوَايَتِهِ. فَحَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ هَذَا أَوْلَى مِنْهُ , لِأَنَّهُ قَدْ كَانَ قَبْلَ الَّذِي فِي حَدِيثِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا شَيْءٌ قَدْ حَفِظَهُ أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَلَمْ تَحْفَظْهُ عَائِشَةُ , فَهُوَ أَوْلَى , لِمَا قَدْ زَادَهُ. وَأَمَّا حَدِيثُ مَالِكٍ وَابْنِ جُرَيْجٍ , فَهُمَا عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَلَى مَا قَدْ ذَكَرْنَا , وَقَدْ بَيَّنَّا الْعِلَّةَ فِي ذَلِكَ فِيمَا تَقَدَّمَ مِنْ هَذَا الْبَابِ. فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا مِنَ الْكَفَّارَةِ فِي الْإِفْطَارِ بِالْجِمَاعِ فِي الصِّيَامِ , فِي شَهْرِ رَمَضَانَ , مَا فِي حَدِيثِ مَنْصُورٍ , وَابْنِ عُيَيْنَةَ , وَمَنْ وَافَقَهُمَا , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ حُمَيْدٍ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى

হাদীসের ব্যাখ্যা:

রমযানে রোযা রেখে দিনে স্ত্রী সহবাস করলে বীর্যপাত না হলেও স্বামী-স্ত্রী উভয়ের উপর কাযা ও কাফফারা ওয়াজিব হবে।

কাফফারা আদায়ের নিয়ম
একটি রোযার জন্য দুই মাস ধারাবাহিকভাবে রোযা রাখতে হবে। রোযা রাখতে সক্ষম না হলে ৬০ জন ফকির-মিসকীনকে দুই বেলা পেট ভরে খাওয়াতে হবে। অথবা প্রত্যেককে এর মূল্য দিয়ে দিতে হবে।
মনে রাখতে হবে, রোযা রাখতে সক্ষম হলে ফিদিয়া আদায় করলে তা আদায় হবে না।
-খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৬০; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪১৩; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৭; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৩৯৪

কোনো কারণে ধারাবাহিকতা ছুটে গেলে পুনরায় নতুন করে রোযা রাখতে হবে। পেছনের রোযাগুলো কাফফারার রোযা হিসাবে ধর্তব্য হবে না। তবে মহিলাদের হায়েযের কারণে ধারাবাহিকতা নষ্ট হলে অসুবিধা নেই।

ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. বলেন, ‘যার উপর কাফফারা হিসাবে দুই মাস ধারাবাহিকভাবে রোযা রাখা জরুরি সে যদি মাঝে অসুস্থ হওয়ার কারণে রোযা রাখতে না পারে, তাহলে আবার নতুন করে রোযা রাখা শুরু করবে।’-আলমুহাল্লা ৪/৩৩১; মাবসূত, সারাখসী ৭/১৪; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৭; আলমুহীতুল বুরহানী ৫/১৯৬

#সংগৃহীত
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান