আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫২- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৪১
২৬৩৬. যারা সূরা বাকারা বা অমুক অমুক সূরা বলাতে দোষ মনে করেন না
৪৬৭৬। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) ......... উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হিশাম ইবনে হাকীম ইবনে হিযামকে রাসূল (ﷺ) এর জীবদ্দশায় ‘সূরা ফুরকান’ তিলাওয়াত করতে শুনলাম। আমি লক্ষ্য করলাম যে, সে বিভিন্ন কিরাআতে তা পাঠ করছে, যা আল্লাহর রাসূল আমাকে শিখাননি। যার ফলে তাকে নামাযের মধ্যেই ধরতে উদ্যাত হলাম। অবশ্য আমি তার নামায শেষে সালাম ফিরানো পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম। নামায শেষ হতেই তার গলায় রুমাল পেঁচিয়ে ধরলাম এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, এই মাত্র তোমাকে যা পাঠ করতে শুনলাম, তা তোমাকে কে শিখিয়েছে? সে উত্তর করল রাসূল (ﷺ) আমাকে এরূপ শিখিয়েছেন। আমি বললাম, তুমি মিথ্যা বলছো। আল্লাহর কসম রাসূল (ﷺ) আমাকে ভিন্ন পদ্ধতিতে তিলাওয়াত করা শিখিয়েছেন, যা তোমাকে তিলাওয়াত করতে শুনেছি।
এরপর আমি তাকে টেনে নিয়ে রাসূল (ﷺ)-এর কাছে উপস্থিত হলাম এবং বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি এই ব্যক্তিকে ভিন্ন এক পদ্ধতিতে “সূরা ফুরকান” পাঠ করতে শুনেছি, যে পদ্ধতি আপনি আমাকে তিলাওয়াত করতে শিখাননি। অথচ আপনি আমাকে সূরা ফুরকান তিলাওয়াত শিখিয়েছেন।
এরপর তিনি বললেন, হে হিশাম! পাঠ করো! সুতরাং আমি যে পদ্ধতিতে পাঠ করতে শুনেছি, সে সেই পদ্ধতিতেই পাঠ করল। এরপর রাসূল (ﷺ) বললেন, এভাবে কুরআন নাযিল হয়েছে।
এরপর রাসূল (ﷺ) বললেন, হে উমর। তুমি পাঠ করো, সুতরাং রাসূল (ﷺ) আমাকে যেভাবে শিখিয়েছিলেন,
আমি সেভাবে পাঠ করলাম।
এরপর তিনি বললেন, কুরআন এভাবেই নাযিল হয়েছে। রাসূল (ﷺ) আরও বললেন, সাত কিরাআত বা পদ্ধতিতে পাঠ করার জন্য কুরআন নাযিল হয়েছে। সুতরাং এর মধ্যে যে পদ্ধতি তোমার জন্য সহজ, সে পদ্ধতিতে পড়।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন