আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫২- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৩০
২৬৩১. মুখস্থ কুরআন পাঠ করা
৪৬৬৪। কুতায়বা ইবনে সা‘ঈদ (রাহঃ) ......... সাহল ইবনে সা’দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদা জনৈকা মহিলা রাসূল (ﷺ)-এর কাছে এসে বলল: ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আমার জীবনকে আপনার জন্য দান করতে এসেছি। এরপর রাসূল (ﷺ) তার দিকে তাকিয়ে তার আপাদমস্তক অবলোকন করে মাথা নিচু করলেন। মহিলাটি যখন দেখল যে, রাসূল (ﷺ) কোন ফয়সালা দিচ্ছেন না তখন সে বসে পড়ল। এমতাবস্থায়, রাসূল (ﷺ)-এর সাহাবীদের একজন বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদি আপনার কোন প্রয়োজন না থাকে, তবে এ মহিলাটির সাথে আমার শাদী দিয়ে দিন। তিনি বললেন, তোমার কাছে কি কিছু আছে? সে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আল্লাহর কসম কিছুই নেই। তিনি বললেন, তুমি তোমার পরিবার-পরিজনদের কাছে ফিরে যাও এবং দেখ কিছু পাও কি-না!
এরপর লোকটি চলে গেল এবং ফিরে এসে বলল, আল্লাহর কসম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি কিছুই পেলাম না। রাসূল (ﷺ) বললেন, দেখ একটি লোহার আংটি হলেও! তারপর সে চলে গেল এবং ফিরে এসে বলল, আল্লাহর কসম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! একটি লোহার আংটিও পেলাম না’ কিন্তু এই যে আমার তহবন্দ আছে। হযরত সাহাল (রাযিঃ) বলেন, তার কোন চাঁদর ছিল না। অথচ লোকটি বলল, আমার তহবন্দের অর্ধেক দিতে পারি। এ কথা শুনে রাসূল (ﷺ) বললেন, এ তহবন্দ দিয়ে কি হবে? যদি তুমি পরিধান কর, তাহলে মহিলাটির কোন আবরণ থাকবে না। আর যদি সে পরিধান করে, তোমার কোন আবরণ থাকবে না।
লোকটি বসে পড়লো, অনেকক্ষণ সে বসে থাকল। এরপর উঠে দাঁড়াল। রাসূল (ﷺ) তাকে ফিরে যেতে দেখে তাকে ডেকে আনালেন। যখন সে ফিরে আসল, রাসূল (ﷺ) তাকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমার কুরআনের কতটুকু মুখস্থ আছে? সে উত্তরে বলল, অমুক অমুক সূরা মুখস্থ আছে। সে এমনিভাবে একে একে উল্লেখ করতে থাকল। তখন রাসূল (ﷺ) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি এ সকল সূরা মুখস্থ তিলাওয়াত করতে পার? সে উত্তর করল, হ্যাঁ! তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, যাও তুমি যে পরিমাণ কুরআন মুখস্থ রেখেছ, উহার বিনিময়ে এ মহিলাটিকে তোমার সঙ্গে শাদী দিলাম।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন