শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ২৬৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৪৬
মুসল্লীর সামনে দিয়ে যাতায়াত করা, এটা তার সালাতকে বিনষ্ট করে কিনা?
২৬৪৪-২৬৪৬। মুহাম্মাদ ইবন হুমাযদ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ (রাহঃ) ....... মুহাম্মাদ ইবন উমর (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ ﷺ আব্বাস (রাযিঃ) -এর সাথে সাক্ষাত করেন।
সুতরাং এই হাদীস অনুচ্ছেদের প্রথম দিকে উল্লেখিত ইবন আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে বর্নিত সুহায়ব (রাহঃ) ও উবাইদুল্লাহ (রাহঃ) -এর হাদীসের অনুকূলে প্রমাণিত হয়েছে।
তারপর আমরা ফিরে আসবো মুসল্লীর সম্মুখ দিয়ে কুকুর যাতায়াতের ব্যাপারে, যে এটির বিধান কী এবং তা সালাতকে বিনষ্ট করে কি না?
বস্তুত এ বিষয়ে একজন হচ্ছেন ইবন আব্বাস (রাযিঃ), যিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে তা (কুকুর) সালাতকে বিনষ্ট করে দেয়। আমরা এটি তারই সূত্রে এই অনুচ্ছেদের শুরুর ভাগে রিওয়ায়াত করে এসেছে। তারপর ফযল (রাযিঃ) -এর হাদীস আমরা উল্লেখ করেছি, যা এর পরিপন্থী। তারপর রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর ইন্তিকালের পরে ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে তাঁর নিজস্ব অভিমত রিওয়ায়াত করেছি, যা তাঁরই সূত্রে ইকরামা (রাহঃ) -এর হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, নিশ্চয়ই কুকুর সালাতকে বিনষ্ট করে না। এতে প্রমাণিত হয় যে, এটি, তাঁর নিকট রহিত হয়ে গিয়েছে এবং ফযল (রাযিঃ) এ বিষয়ে নবী করীম ﷺ থেকে যে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন তা ইবন আব্বাস (রাযিঃ) কর্তৃক নবী করীম ﷺ থেকে বর্নিত হাদীস অপেক্ষা পরবর্তীকালের। তবে আবু যার (রাযিঃ) নবী করীম ﷺ থেকে রিওয়ায়াতে করেছেন যে, তিনি ﷺ কালো কুকুরকে অপরাপর কুকুর থেকে পার্থক্য করেছেন। কালো কুকুরকে সালাত বিনষ্টকারী হিসাবে সাব্যস্ত করেছেন এবং অপরাপর কুকুরের ব্যাপারে এর বিপরীত বলেছেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ কে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছেনঃ 'কালো (কুকুর) শয়তান'। এতে বুঝা যাচ্ছে, যে অর্থে সালাত বিনষ্ট হওয়া জরুরী হয় তা হচ্ছে কালো হওয়া, যেহেতু এটি শয়তান। আমরা তলিয়ে দেখছি এর বিরোধী কিছু আছে কি না? নিন্মোক্ত হাদীসগুলো এর বিরোধী হিসাবে বিবেচিতঃ
2644 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ. ح

2645 - وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ: أنا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، قَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ فِي حَدِيثِهِ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُمَرَ،. وَقَالَ ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ فِي حَدِيثِهِ ,

2646 - قَالَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ، ثُمَّ ذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: " زَارَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَبَّاسًا فَقَدْ وَافَقَ هَذَا الْحَدِيثُ , حَدِيثَ صُهَيْبٍ وَعُبَيْدِ اللهِ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا اللَّذَيْنِ قَدَّمْنَا ذِكْرَهُمَا فِي الْفَصْلِ الَّذِي قَبْلَ هَذَا. ثُمَّ رَجَعْنَا إِلَى حُكْمِ مُرُورِ الْكَلْبِ بَيْنَ يَدَيِ الْمُصَلِّي , كَيْفَ هُوَ؟ وَهَلْ يَقْطَعُ الصَّلَاةَ أَمْ لَا؟ . فَكَانَ أَحَدَ مَنْ رُوِيَ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ يَقْطَعُ الصَّلَاةَ , ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , قَدْ رَوَيْنَا ذَلِكَ عَنْهُ فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ. ثُمَّ قَدْ رَوَيْنَا فِي حَدِيثِ الْفَضْلِ الَّذِي قَدْ ذَكَرْنَا مَا قَدْ خَالَفَهُ. ثُمَّ رَوَيْنَا عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا بَعْدُ , مِنْ قَوْلِهِ بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَدِيثِ عِكْرِمَةَ عَنْهُ , أَنَّ الْكَلْبَ لَا يَقْطَعُ الصَّلَاةَ. فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى ثُبُوتِ نَسْخِ ذَلِكَ عِنْدَهُ , وَعَلَى أَنَّ مَا رَوَاهُ الْفَضْلُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ فَصَلَ بَيْنَ الْكَلْبِ الْأَسْوَدِ مِنْ غَيْرِهِ مِنَ الْكِلَابِ , فَجَعَلَ الْأَسْوَدَ يَقْطَعُ الصَّلَاةَ وَجَعَلَ مَا سِوَاهُ بِخِلَافِ ذَلِكَ , وَأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ: «الْأَسْوَدُ شَيْطَانٌ» فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ الْمَعْنَى الَّذِي وَجَبَ لَهُ قَطْعُهُ إِنَّمَا هُوَ لِأَنَّهُ شَيْطَانٌ. فَأَرَدْنَا أَنَّ نَنْظُرَ هَلْ عَارَضَ ذَلِكَ شَيْءٌ؟
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ২৬৪৪ | মুসলিম বাংলা