আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫২- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৫০০৭
২৬২৩. সূরা ফাতিহার ফযীলত
৪৬৪৫। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... আবু সা‘ঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমরা সফরে চলছিলাম। (পথিমধ্যে) অবতরণ করলাম। তখন একটি বালিকা এসে বলল, এখানকার গোত্র প্রধানকে সাপে কেটেছে। আমাদের পুরুষগণ অনুপস্থিত। অতএব, আপনাদের মধ্যে এমন কেউ আছেন কি, যিনি ঝাড়-ফুঁক করতে পারেন? তখন আমাদের মধ্য থেকে একজন ঐ বালিকাটির সঙ্গে গেলেন। যদিও আমরা ভাবিনি যে সে ঝাড়-ফুঁক জানে। এরপর সে ঝাড়-ফুঁক করল এবং গোত্রপ্রধান সুস্থ হয়ে উঠল। এতে সর্দার খুশী হয়ে তাকে ত্রিশটি বকরী দান করলেন এবং আমাদের সকলকে দুধ পান করালেন। ফিরে আসার পথে আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি ভালভাবে ঝাড়-ফুঁক করতে জান (অথবা রাবীর সন্দেহ) তুমি কি ঝাড়-ফুঁক করতে পার?
সে উত্তর করল, না, আমি তো কেবল উম্মুল কিতাব- সূরা ফাতিহা দিয়েই ঝাড়-ফুঁক করেছি। আমরা তখন বললাম, যতক্ষণ না আমরা রাসূল (ﷺ) এর কাছে পৌঁছে তাঁকে জিজ্ঞাসা করি ততক্ষণ কেউ কিছু বলবে না। এরপর আমরা মদীনায় পৌছে রাসূল (ﷺ) এর কাছে ঘটনাটি তুলে ধরলাম। তিনি বললেন, সে কেমন করে জানল যে, তা (সূরা ফাতিহা) চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে? তোমরা নিজেদের মধ্যে এগুলো বন্টন করে নাও এবং আমার জন্যও একাংশ রাখো।
আবু মা’মার ......... আবু সা‘ঈদ থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
সে উত্তর করল, না, আমি তো কেবল উম্মুল কিতাব- সূরা ফাতিহা দিয়েই ঝাড়-ফুঁক করেছি। আমরা তখন বললাম, যতক্ষণ না আমরা রাসূল (ﷺ) এর কাছে পৌঁছে তাঁকে জিজ্ঞাসা করি ততক্ষণ কেউ কিছু বলবে না। এরপর আমরা মদীনায় পৌছে রাসূল (ﷺ) এর কাছে ঘটনাটি তুলে ধরলাম। তিনি বললেন, সে কেমন করে জানল যে, তা (সূরা ফাতিহা) চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে? তোমরা নিজেদের মধ্যে এগুলো বন্টন করে নাও এবং আমার জন্যও একাংশ রাখো।
আবু মা’মার ......... আবু সা‘ঈদ থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।


বর্ণনাকারী: