শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৫০৮
নামাযের অধ্যায়
সালাতে কেউ তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে, এ বিষয়ে যদি সন্দিহান হয়
২৫০৮। ইয়াযীদ ইব্ন সিনান (রাহঃ) ও ইবরাহীম ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ..... আবু সাঈদ খুদ্রী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদেরকে বলেছেনঃ তোমাদের কারো সালাত আদায়কালে যদি সে বুঝতে না পারে তিন রাক’আত না চার রাক’আত আদায় করেছে, তবে সে যেন (শেষ বৈঠকে) বসা অবস্থায় দুই সিজ্দা (সাহো) করে ।
ইমাম আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম উপরোক্ত হাদীসগুলোর মর্ম গ্রহণ করে বলেছেন যে, এটি (বিধান) হচ্ছে সেই ব্যক্তির যার সালাতে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। তাই সে বুঝতে পারে না (সালাত) কম হয়েছে, না বেশী। তাহলে সে যেন (শেষ বৈঠকে) বসা অবস্থায় দুই সিজ্দা (সাহো) করে। তারপর সালাম ফিরাবে। তার জন্য আর অন্য কিছুর প্রয়োজন নেই। পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধী মত পোষণ করে বলেছেনঃ বরং কম (সংখ্যার) উপর ভিত্তি করবে, যতক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিতরূপে জানা না হবে যে, সে কত রাক’আত আদায় করেছে। আর তাঁরা বলেছেন, “দুই সিজ্দা (সাহো) ব্যতীত মুসল্লীর উপরে অন্য কিছু নেই” আলোচ্য হাদীস এ কথার দলীল বহন করে না। যেহেতু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে দুই সিজদা অপেক্ষা অতিরিক্ত বস্তু বর্ণিত আছে এবং তিনি মুসল্লীর উপরে দুই সিজ্দার পূর্বে ইয়াকীন (নিশ্চিত জ্ঞান) এর উপর ভিত্তি করাকে জরুরী করেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা বিদূরিত হওয়া সম্পর্কে নিশ্চিতরূপে জানবে; যার অপরিহার্যতা তার উপর সুনিশ্চিতভাবে প্রমাণিত।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁর থেকে কিছু হাদীস পেশ করা গেলঃ
ইমাম আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম উপরোক্ত হাদীসগুলোর মর্ম গ্রহণ করে বলেছেন যে, এটি (বিধান) হচ্ছে সেই ব্যক্তির যার সালাতে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। তাই সে বুঝতে পারে না (সালাত) কম হয়েছে, না বেশী। তাহলে সে যেন (শেষ বৈঠকে) বসা অবস্থায় দুই সিজ্দা (সাহো) করে। তারপর সালাম ফিরাবে। তার জন্য আর অন্য কিছুর প্রয়োজন নেই। পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধী মত পোষণ করে বলেছেনঃ বরং কম (সংখ্যার) উপর ভিত্তি করবে, যতক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিতরূপে জানা না হবে যে, সে কত রাক’আত আদায় করেছে। আর তাঁরা বলেছেন, “দুই সিজ্দা (সাহো) ব্যতীত মুসল্লীর উপরে অন্য কিছু নেই” আলোচ্য হাদীস এ কথার দলীল বহন করে না। যেহেতু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে দুই সিজদা অপেক্ষা অতিরিক্ত বস্তু বর্ণিত আছে এবং তিনি মুসল্লীর উপরে দুই সিজ্দার পূর্বে ইয়াকীন (নিশ্চিত জ্ঞান) এর উপর ভিত্তি করাকে জরুরী করেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা বিদূরিত হওয়া সম্পর্কে নিশ্চিতরূপে জানবে; যার অপরিহার্যতা তার উপর সুনিশ্চিতভাবে প্রমাণিত।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁর থেকে কিছু হাদীস পেশ করা গেলঃ
كتاب الصلاة
2508 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَا: ثنا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ، قَالَ: ثنا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي هِلَالُ بْنُ عِيَاضٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , قَالَ: قَالَ لَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ , فَلَمْ يَدْرِ أَثَلَاثًا صَلَّى أَمْ أَرْبَعًا؟ فَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا فَقَالُوا: هَذَا حُكْمُ مَنْ دَخَلَ عَلَيْهِ الشَّكُّ فِي صَلَاتِهِ , فَلَمْ يَدْرِ أَزَادَ أَمْ نَقَصَ؟ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ , ثُمَّ يُسَلِّمُ , لَيْسَ عَلَيْهِ غَيْرُ ذَلِكَ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: بَلْ يَبْنِي عَلَى الْأَقَلِّ حَتَّى يَعْلَمَ أَنَّهُ قَدْ أَتَى بِمَا عَلَيْهِ يَقِينًا. وَقَالُوا: لَيْسَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهُ لَيْسَ عَلَى الْمُصَلِّي غَيْرُ تَيْنِكَ السَّجْدَتَيْنِ , لِأَنَّهُ قَدْ رُوِيَ عَنْهُ مَا قَدْ زَادَ عَلَى ذَلِكَ , وَأَوْجَبَ عَلَيْهِ قَبْلَ السَّجْدَتَيْنِ الْبِنَاءَ عَلَى الْيَقِينِ , حَتَّى يَعْلَمَ يَقِينًا زَوَالَ مَا قَدْ كَانَ عَلِمَ وُجُوبَهُ عَلَيْهِ بِالْيَقِينِ
فَمِمَّا رُوِيَ عَنْهُ فِي ذَلِكَ
فَمِمَّا رُوِيَ عَنْهُ فِي ذَلِكَ